এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > প্রভূত সঙ্কটে তৃনমূল! কিভাবে মিটবে সমাধান! আশঙ্কা ঘাসফুলে!

প্রভূত সঙ্কটে তৃনমূল! কিভাবে মিটবে সমাধান! আশঙ্কা ঘাসফুলে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একদিকে গোষ্ঠী কোন্দল এবং অন্যদিকে দলে ভাঙনের আশঙ্কা, এই দুই পরিস্থিতি সামাল দিতে এখন বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করা কার্যত ভুলতে বসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে তৃণমূলের কাছে গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে নিজেদের দলের গোষ্ঠী কোন্দল। আর প্রতিনিয়ত যেভাবে সেই গোষ্ঠী কোন্দলের জন্য এক নেতা থেকে শুরু করে আরেক নেতা দল ছাড়তে শুরু করেছেন, তাতে নিজেদের দলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষায় এখন কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে ঘাসফুল শিবিরকে।

অনেকে বলছেন, দলে এখনও এমন অনেকে রয়েছেন, যারা বিজেপির সঙ্গে তলায় তলায় যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই এরকম অনেক নেতা জল্পনা বাড়িয়ে দিয়ে মাঝেমধ্যেই দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিস্ফোরক মন্তব্য করছেন। তাই সেই সমস্ত নেতারা যদি বিজেপিতে না গিয়ে তৃণমূলেই থেকে যান এবং বিধানসভা নির্বাচনের কিছুদিন আগে দলবদলের মত সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তা যে শাসকদলের কাছে আরও সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে, তা একপ্রকার নিশ্চিত। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল এই প্রভূত সমস্যাকে কিভাবে মোকাবিলা করবে, সেটাই দেখার বিষয় রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কাছে।

গত লোকসভা নির্বাচনে এমনিতেই উত্তরবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের ফলাফল খুব একটা ভালো হয়নি। বিভিন্ন জেলায় শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ বিজেপিকে বাড়তি মাইলেজ পাইয়ে দিয়েছিল। যার ফলে উত্তরবঙ্গের আটটি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে সাতটি আসন দখল করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি এবং একটি আসন চলে যায় কংগ্রেসের দখলে। তবে এরপর থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় সংগঠন পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের শক্তি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেছিল।

কিন্তু কোচবিহার থেকে শুরু করে দিনাজপুর বিভিন্ন জেলায় যেভাবে মাঝেমধ্যেই গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে, তাতে সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে। অনেকেই দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে বিরোধী শিবিরে নাম লেখাতে শুরু করেছেন। আবার অনেকে দলে থাকা সত্ত্বেও এমন কিছু মন্তব্য করছেন, যা মেনে নেওয়া শাসকদলের কাছে খুব একটা স্বস্তিকর হচ্ছে না। তাই এই পরিস্থিতিতে দলে থেকে নেতাদের এই বেসুরো সুর কিভাবে আটকানো যাবে, সেটাই বড় চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলের জেলা থেকে শুরু করে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বর্তমানে পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে গেছে যে, পান থেকে চুন খসলেই দলের অনেক নেতারা প্রকাশ্যে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। আর সেই সমস্ত নেতাদের এভাবে প্রকাশ্যে মুখ খোলাকে হাতিয়ার করে পাল্টা ময়দানে নেমে পড়েছে বিরোধীরা। যার ফলে বিরোধীদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা তো দূরের কথা, উল্টে নিজেদের নেতাদের জন্যয় বিরোধীদের তোপের মুখে পড়ে আরও বেশি পরিমাণে বিধ্বস্ত হতে হচ্ছে শাসক শিবিরকে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অনেকে বলছেন, তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই সমস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার সাহস এখনও হয়ে ওঠেনি। কেননা যদি বিদ্রোহী সেই সমস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করে শাসকদল, তাহলে তারা সাথে সাথেই দল পরিবর্তনের মত সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে পারেন। তাই বিদ্রোহ ঘোষণা করা সেই সমস্ত নেতাদের মন্তব্য শাসক দলকে অস্বস্তিতে ফেললেও, তা অনেক ক্ষেত্রেই মুখ বুজে সহ্য করে নিতে হচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্বকে।

কিন্তু এভাবে যদি তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব সেই সমস্ত বিদ্রোহী নেতাদের মন্তব্য মুখ বুজে সহ্য করে নেয়, তাহলে দলের শৃঙ্খলা যেমন নষ্ট হবে, ঠিক তেমনই বিরোধীরা যে এটাকে হাতিয়ার করবে, তা অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার। তাই এই পরিস্থিতিতে শাসকদলের নিজেদের দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষা করা অত্যন্ত প্রয়োজন বলে দাবি একাংশের। তবে একের পর এক যেভাবে বিদ্রোহ বাড়তে শুরু করেছে, তাতে যদি তৃণমূল সেই সমস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে শুরু করে, তাহলে ঠগ বাঁচাতে গাঁ উজাড় হয়ে যাবে বলে দাবি একাংশের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!