এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > প্রয়াণ দিবসে চরম অসম্মানের মুখে কবিগুরু, সমালোচনার ঝড় রাজ্যজুড়ে!

প্রয়াণ দিবসে চরম অসম্মানের মুখে কবিগুরু, সমালোচনার ঝড় রাজ্যজুড়ে!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রবিবার ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস। বিশ্বকবির প্রয়ান দিবসে রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় নানা অনুষ্ঠান পালন করা হয়। কিন্তু কবিগুরুর প্রয়াণ দিবসে একটি ভিন্ন ছবি চোখে এলো। যেখানে বিশ্বকবির মূর্তির ওপরে একটি জুতোর বিজ্ঞাপনের ছবি চোখে পড়ল। স্বাভাবিকভাবেই জুতো আবিষ্কারের স্রষ্টার মূর্তির উপরে এই ধরনের বিজ্ঞাপন নিয়ে এখন নানা মহলে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। গোটা বিষয়টিকে কেন্দ্র করে সমালোচনার ঝড় উঠতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই দুর্গাপুর সিটি সেন্টারের সামনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তির উপরে এই বিজ্ঞাপন ছিল। কিন্তু কবিগুরুর প্রয়াণ দিবসের দিন তা সামনে আসার পরেই নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

সূত্রের খবর, এদিন এই দৃশ্য সামনে আসতেই বাংলা পক্ষ নামে একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ করা হয়। পরবর্তীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মাথার উপর থেকে জুতোর ছবি দেওয়া এই বিজ্ঞাপনটি সরিয়ে দেয় সেই সংগঠন। শুধু তাই নয়, কবিগুরুকে অসম্মান করা হয়েছে এই অভিযোগ তুলে সেই স্থানে থাকা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি গঙ্গা জল দিয়ে ধুইয়েও দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বাংলাপক্ষ সংগঠনের অন্যতম সদস্য অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, “এটা ন্যাক্কারজনক ঘটনা। সংস্কৃতি কোথায় গিয়ে ঠেকেছে, এটা তার প্রমান। রবীন্দ্র চেতনা হারিয়ে গিয়েছে, এই ঘটনায় স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। না হলে এই দৃশ্য দেখে খারাপ লাগলো না?”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এই গোটা বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি তরজাও সামনে আসতে দেখা গিয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই বলেন, “মূর্তির পাশে রেস্তোরাঁ থাকায় সামনে রেস্তোরাঁর উচ্ছিষ্ট ফেলা হয়েছে। প্রস্রাব করার অবস্থানটিও উপযুক্ত নয়। এসবের পরেও কোনো বুদ্ধিজীবীকে রাস্তায় নেমে এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে দেখা গেল না। স্থানীয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে সাফাই দিতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকেও।

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অবমাননা করেছেন, তাদের জানা উচিত, এভাবে হোডিং দেওয়া অন্যায়। এভাবে খাবার ফেলা বা প্রস্রাব করা উচিত নয়। যে জায়গায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি লাগানো আছে, সেই জায়গাটা ঠিক নয়। সেখান থেকে তুলে অন্য কোথাও নিয়ে যেতে হবে। আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ ভালো জায়গা দিয়ে দেবে। যদি বিজেপি মনে করে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভালো মূর্তি লাগাতে পারে। কিন্তু এসব নিয়ে নাটক করা অনর্থক।” তবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তির ওপরে জুতোর বিজ্ঞাপনের ছবি এখন শোরগোল ফেলে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!