প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের আগে এবার বড়োসড়ো অস্বস্তিতে পড়লেও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস হাইকোর্টের পক্ষ থেকে আগে থেকেই নিষেধাজ্ঞা ছিল কিন্তু তা সত্ত্বেও নির্বাচনের মুখে শিলিগুড়িতে সবুজ সাথী সাইকেল করে স্কুলপড়ুয়াদের নিয়ে মিছিল করতে দেখা গেল ঘাসফুল শিবিরকে যে ঘটনায় এখন তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নির্বাচনের আগেই প্রতিটি রাজনৈতিক দল নিজেদের নিজেদের মতো করে প্রচার প্রক্রিয়া চালাতে শুরু করেছে। কিন্তু এদিন শিলিগুড়ির খড়িবাড়ি ব্লকে মহিলাদের নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি মিছিলের আয়োজন করা হয়। যেখানে সবুজসাথীর সাইকেলে করে সেই সমস্ত মিছিলে অংশ নিতে দেখা যায় অনেক স্কুল পড়ুয়াদের। যাদের গায়ে ছিল স্কুলের ইউনিফর্ম। সাইকেলে ছিল তৃণমূলের পতাকা।

স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা শিলিগুড়ি শহর জুড়ে। বলা বাহুল্য, প্রায় দুই বছর আগে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। যেখানে আদালতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, বিদ্যালয় চলার সময় পড়ুয়াদের নিয়ে কোনোভাবেই রাজনৈতিক মিছিল মিটিং করা যাবে না।

এমনকি যদি কোনো রাজনৈতিক দল এইরকম কর্মসূচি করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সেদিক থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ ওঠার পর এখন শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। যার ফলে নির্বাচনের আগে এই নতুন চাপে কার্যত অস্বস্তি বাড়ছে ঘাসফুল শিবিরের বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি কাঞ্চন দেবনাথ বলেন, “সকালে যখন খড়িবাড়ি বাজারে এই মিছিল দেখি, তখন বিডিওকে ফোন করেছিলাম। কিন্তু কেউ ফোন তোলেনি। বর্তমান পরিস্থিতিতে তৃণমূল এমন জঘন্য কাজ করতে পারে। প্রশাসনের কাছে আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।” কিন্তু এইরকম বিতর্কিত মূলক ঘটনা কেন তারা ঘটালেন? কেন নির্বাচনের মুখে এইভাবে পড়ুয়াদের মিছিলে শামিল করালেন তৃণমূল নেতারা?

এদিন এই প্রসঙ্গে খড়িবাড়ি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি হিরণ্ময় রায় বলেন, “আমরা আসতে বলিনি। নিজেদের উৎসাহে পড়ুয়ারা মিছিলে যোগ দিয়েছে। ওদের মনে আঘাত দিতে চাইনি।” তবে হাইকোর্টের রায় অনুসারে এই ঘটনা অন্যায়। সেদিক থেকে বিজেপির পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে সেই রায় মোতাবেক তৃণমূলের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আবেদন জানানো হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, প্রশাসন এই ব্যাপারে শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করেন কিনা! যার দিকেই নজর থাকবে সকলের।