এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসতে চলেছেন রাজ্যের শিক্ষকরা?

এবার মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসতে চলেছেন রাজ্যের শিক্ষকরা?


রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের সমস্যা মিটেও যেন মিটছে না! NCTE নর্ম অনুযায়ী কেন্দ্রের নির্দেশিকা মত নিজেদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বাড়িয়ে নিলেও, কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা মত মত বেতন পাচ্ছিলেন না রাজ্যের শিক্ষকরা। ফলে, দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া চালানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু, রাজ্য সরকারের তরফে কোনো সদর্থক সাড়া না পাওয়ায়, বিকাশ ভবনের অদূরে উন্নয়ন ভবনের সামনে অনশনে বসেন শিক্ষকরা।

আর সেই আন্দোলনের চাপে, নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হঠে শিক্ষকদের বেতন কিছুটা বাড়ানোর ব্যবস্থা করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর তারফলে, অনশন প্রত্যাহার করে নেন রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকরা। কিন্তু, সেই সমস্যার সমাধান হতে না হতেই, শিক্ষকদের এক নতুন সমস্যা নিয়ে এবার স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসতে চলেছেন রাজ্যের শিক্ষকরা। যদি আগামী সাতদিনের মধ্যে পিটিটিআইদের সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে এই পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষক নেতা পিন্টু পাড়ুই।

ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি ট্রেন্ড টিচার অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি পিন্টু পাড়ুই জানিয়েছেন, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে তাঁর আলোচনা চলছিল। এমনকি, নজরুল মঞ্চে শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকের দিন তাঁকে ও তাঁর সংগঠনকেও ডাকেন শিক্ষামন্ত্রী। এই ব্যাপারে পিন্টুবাবুদের যাওয়ার অনুমতিও দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু, পরবর্তীকালে পিন্টুবাবুরা জানতে পারেন, নজরুল মঞ্চের ওই বৈঠক আসলে তৃণমূলের দলীয় শিক্ষক সংগঠনের কর্মসূচি – তাই শেষপর্যন্ত আর তাঁরা যাননি সেখানে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে, সেদিনই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, শিক্ষকদের গ্রেড-পে ২,৪০০ থেকে বাড়িয়ে ৩,২০০ করা হল, তবে তিনি চেষ্টা করছেন তা বাড়িয়ে ৩,৬০০ করার। পিন্টুবাবুর দাবি, সেদিন রাত্রে পুনরায় তাঁর সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা হলে, তিনি জানান, রাজ্যের আর্থিক অবস্থার কথা ভেবে আপাতত তাঁরা কিছু কম টাকায় কাজ করতে রাজি। কিন্তু, তা যেন অন্তত ৩,৬০০ হয় – ৩,২০০ গ্রেড-পে হলে কিছুতেই মেনে নেওয়া যাবে না। শেষপর্যন্ত অবশ্য জিওতে দেখা যায় রাজ্য সরকার ওই ৩,৬০০ গ্রেড-পেই দিতে চলেছে শিক্ষকদের।

এই প্রসঙ্গে পিন্টুবাবু বলেন, রাজ্যের বর্তমান আর্থিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে ৩,৬০০ গ্রেড-পেকে আপাতত আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই আমরা ৪,২০০ গ্রেড-পের দাবি থেকে পিছিয়ে আসছি না। আগামী দিনে আমাদের NCTE নর্ম মেনেই বেতনের ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্য সরকারকে। একই সঙ্গে তিনি জানান, তবে আমাদের দ্বিতীয় দাবি নিয়ে সরকার দীর্ঘদিন ধরেই টালবাহানা করছে – তা আগামী সাত দিনের মধ্যে কোনো সমাধান না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।

কি সেই দাবি? পিন্টুবাবুর কথায়, পিটিটিআই আন্দোলনের জেরে বাম আমলে কেঁপে গিয়েছিল রাজ্য-রাজনীতি। তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এসে পিটিটিআই অনশনকারীদের ২৩ দিনের অনশন ভঙ্গ করেছিলেন। এমনকি, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর রাইটার্স বিল্ডিঙে ২০১১ সালে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি ঘোষণা করেন, আগামী ৩ বছরের মধ্যে তিনি পিটিটিআই নিয়োগের ব্যাপারটি সম্পূর্ণ করবেন। কিন্তু তারপর দীর্ঘ ৮ বছর কেটে গেলেও এই নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেন নি তিনি।

পিন্টুবাবু জানান, সুপ্রিম কোর্ট আগেও এই নিয়োগের বিষয়ে রায় দিয়েছিল, সম্প্রতি আবারো কালবিলম্ব না করে রাজ্য সরকারকে পিটিটিআইদের নিয়োগের বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে, এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চললেও, তিনি আজ দেখছি, কাল দেখছি – বলে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন। আর তাই, সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আর অপেক্ষা করতে রাজি নোই। আগামী ৭ দিনের মধ্যে এই নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে কোনো সদর্থক পদক্ষেপ নেওয়া না হলে, আমরা কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসে যাব।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!