রাজ্য সরকারের 25 হাজারের পর এবার পুরসভা থেকেও পুজো কমিটিগুলোকে 10 হাজার টাকা করে অনুদান! কলকাতা রাজ্য September 24, 2019 শারদোৎসব বাঙালির সবথেকে প্রিয় উৎসব। আর সেই উৎসবকে আরও আকর্ষণীয় করতে এবং যে ক্লাবগুলো বিভিন্ন রকমারি মণ্ডপসজ্জা প্রতিমার মধ্যে দিয়ে সাধারণ মানুষকে আনন্দ দেন, সেই ক্লাবগুলোকে সহযোগিতা করার রেওয়াজ গত 2011 সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই চলে আসছে। এতদিন সে ক্লাবগুলোকে 10000 টাকা করে দেওয়া হলেও সম্প্রতি তা 25 হাজার টাকা করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যার পরেই ক্লাব কর্তৃপক্ষ চরম আনন্দে ডগমগ হতে শুরু করেছে। তবে শুধু সরকারের তরফেই নয়, এবার পৌরসভার পক্ষ থেকেও প্রতিটি পুজো কমিটিকে 10000 টাকা করে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। কিন্তু কোন পৌরসভা এমন আধুনিক সিদ্ধান্ত নিল! সূত্রের খবর, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং সবুজায়নের উদ্দেশ্যে এবারেই প্রথম কান্দি পৌরসভার পক্ষ থেকে এলাকার প্রতিটি পুজো কমিটিকে 10000 টাকা করে অনুদান দেওয়ার জন্য আবেদনপত্র নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। জানা গেছে, এই কান্দি পৌরসভার প্রায় 80 টি পুজো কমিটিকে এই অনুদান দেওয়া হবে। বস্তুত, প্রায় বছর দেড়েক আগে থেকেই এই কান্দি পৌরসভায় গ্রীন সিটি, ক্লিন সিটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। শহরের বিভিন্ন মোড়গুলিকে পরিষ্কার রাখতে নানা পোস্টার, ফ্লেক্স টাঙানো হয়েছে। সবুজায়নের দিকেও জোর দিচ্ছে এই পৌরসভা। আর তাই দুর্গাপূজোর সময় ক্লাবগুলোর মধ্যেও এই ব্যাপারে সচেতনতা গড়ে তুলতে পৌরসভার পক্ষ থেকে পরিষ্কার, পরিছন্নতা এবং সবুজায়নের দিক দিয়ে পুরোএলাকার পুজো কমিটিকে 10000 টাকা করে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে আবেদনপত্র নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। আগামী মহালয়ার দিন পর্যন্ত সেই কাজ চলবে বলে পৌরসভার তরফে জানা গেছে। আর পুরসভার পক্ষ থেকে এহেন উদ্যোগে রীতিমতো খুশি কান্দি পৌরসভার অন্তর্গত বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তারা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে রুপপুর জেলোপাড়া সার্বজনীন পূজা কমিটির সদস্য গোলক দাস বলেন, “পৌরসভার এই উদ্যোগকে আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা পুজোর সময় এলাকাকে জঞ্জালমুক্ত করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। এবার পুরসভার সাহায্য পাওয়ায় সেই কাজ আরও ভালোভাবে সম্পন্ন হবে।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে বাঘাযতীন ক্লাবের সম্পাদক গৌরাঙ্গগোপাল সাহা বলেন, “আমরা পৌরসভার অনুদানের টাকায় সবুজায়নের প্রচারের সাথে সাথে দর্শনার্থীদের হাতে একটি করে চারা গাছ তুলে দেব।” তবে বেশ কিছু পুজো কমিটি পৌরসভার এই সিদ্ধান্তে খুশি হলেও তা নিয়ে তৃণমূল পরিচালিত পৌরসভার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা। এদিন এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস বিধায়ক শফিউল আলম খান বলেন, “পুরসভা ভোটের আগে এভাবে টাকা ছড়িয়ে ক্লাবগুলোকে হাতে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু মানুষ সচেতন। ওরা আগামী পুরোভোটেই এর ফল পাবে।” তবে বিরোধীদের তরফ যে কথাই বলা হোক না কেন, তা গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। সবুজকে রক্ষা করতে এবং পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখতে কান্দি পৌরসভার উদ্যোগ সম্পর্কে বলতে গিয়ে এদিন এই পৌরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের অপূর্ব সরকার বলেন, “একদিকে পুজো কমিটিগুলোকে উৎসাহদান এবং পৌরসভা এলাকায় জঞ্জালমুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলে সবুজায়ন করার প্রচারের উদ্দেশ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” সব মিলিয়ে রাজ্য সরকারের দেখানো পথে হেঁটেই এবার কান্দি পৌরসভার পক্ষ থেকে পুজো কমিটিগুলোকে 10 হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হল। আপনার মতামত জানান -