এবারের মত পুজো শেষ! চোখের জলে মা দূর্গাকে কৈলাসে পাঠিয়ে করোনাসুর থেকে মুক্তি খুঁজছে আমজনতা অন্যান্য পুজো, শাস্ত্র ও ভাগ্য রাজ্য October 27, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –এবারের শারদ উৎসবকে উৎসব বলা যাবে না। কেননা বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা। প্রতিবছর জাঁকজমক ভাবে পালন করা হলেও, এবার সেখানে অনেকটাই ভাটা পড়েছে। যার প্রধান কারণ করোনা ভাইরাস। হাইকোর্টের রায়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, পুজো প্যান্ডেলে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রথমদিকে সেই হাইকোর্টের রায়কে মানতে দেখা গেলেও অষ্টমীর সন্ধ্যা থেকেই মানুষের ঢল রাস্তায় নামতে শুরু করে। যা দেখে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করেছিলেন, পুজো মিটে যাওয়ার সাথে সাথেই বাংলায় করোনা ভাইরাসের উপদ্রব দেখা দিতে শুরু করবে। সোমবার বিজয়া দশমী হয়ে গেছে। চার দিন বাপের বাড়িতে থেকে আবার শ্বশুরবাড়ীতে ফিরে গেছেন সকলের প্রিয় উমা। চোখের জলে বিদায় দিয়েছেন ঘরের মেয়েকে আমজনতা। প্রতীক্ষা একবছরের। তারপরেই আবার আসবেন মহামায়া। ঘরের মেয়ে আসলেও তাকে দেখতে বা তার পূজার্চনায় সেইভাবে মাততে পারেনি বাঙালি। যার জন্য প্রধান দায়ী এই করোনা ভাইরাস। আর মাকে চোখের জলে বিদায় দেওয়ার সাথে সাথেই এখন বাঙালির মনে প্রধান চিন্তা সেই ভয়াবহ করোনাকে নিয়ে। কেননা হাইকোর্টের রায় সহ একাধিক বিধিনিষেধ থাকলেও মানুষকে রাস্তায় নামতে দেখা গেছে। তাই পুজোর পরে সামাজিক দূরত্ব ঠিকমত পালন না করার জন্যই করোনা ভাইরাসকে নিয়ে চিন্তায় থাকতে হতে পারে গোটা বঙ্গবাসীকে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থাকলেও, পুজোর কটাদিন ঠাকুর দেখা, ভুরিভোজ, আড্ডা একেবারে বাদ যায়নি। তাই এই সমস্ত কারণের জন্য এখন সকলের মনে একটাই চিন্তা, পুজোর মধ্যে মানুষ যেহেতু হাইকোর্টের রায়কে মানেননি, সেহেতু এবার ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করবে। একাংশ বলছেন, কিছুদিন যদি একটু গৃহবন্দি হয়ে থাকা যেত, তাহলে হয়ত বা পুজোর পরে এত আশংকা নিয়ে বাঁচতে হত না। অনেকে আবার বলছেন, বাঙালির সঙ্গে উৎসব যাবে না, এটা কি হয়! তাই যতই বিপদ আসুক না কেন, দুর্গাপুজোর মধ্যেও করোনাসুরকে কিছুটা পেছনের সারিতে ফেলে দিয়ে মানুষ প্রমাণ করে দিয়েছেন, তাদের কাছে উৎসব আগে। কিন্তু সাময়িক আনন্দ পালন করতে গিয়ে যে ভয়াবহ বিপদ চলে আসবে, তা হয়ত আনন্দের সময় টের পাননি সাধারণ আমজনতা। যার ফলে এবার বাংলায় উৎসবের মধ্যে সাধারণ মানুষের এইভাবে অবাধ যাতায়াতে করোনার প্রকোপ বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, সেই মার্চ মাস থেকে করোনা ভাইরাসের দাপট শুরু হয়েছে ভারতবর্ষে। দীর্ঘদিন লকডাউন করা হয়েছিল দেশ। যার ফলে মানুষের রুজি-রুটি সংশয়ের মধ্যে পড়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে যাতে আর লকডাউন না হয় এবং করোনা ভাইরাস না বৃদ্ধি পায়, তার জন্য হাইকোর্টের পক্ষ থেকে পুজোর মধ্যে উৎসবে কিছুটা বিরত থাকার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও মানুষকে রাস্তায় নামতে দেখা যায়। যার ফলে এই ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর যদি বিশেষজ্ঞদের এই আশঙ্কা সত্যি হয়, তাহলে আবার সামান্য উৎসবে মাতবার জন্য বাংলার মানুষকে যে বড় দুঃসময় পোয়াতে হবে, তা একপ্রকার নিশ্চিত সকলের কাছে। সব মিলিয়ে উৎসবের মধ্যে দুর্গাপ্রতিমা দর্শন করতে গিয়ে মানুষ করোনা সুরকে ডেকে এনে নিজেদের বিপদ কতটা বাড়াল, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -