এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > মমতার পুজো অনুদানেও চরম দুর্নীতি? টাকা যাচ্ছে নেতাদের পকেটে? তথ্য তুলে ধরে দাবি CPM, BJP-র

মমতার পুজো অনুদানেও চরম দুর্নীতি? টাকা যাচ্ছে নেতাদের পকেটে? তথ্য তুলে ধরে দাবি CPM, BJP-র


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সরকারি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছিল আগেই, কিন্তু এবার পুজোয় অনুদানের টাকা নিয়ে সামনে এলো নতুন ঘটনা। পুজোয় সরকারি টাকা অনুদান হিসেবে দেওয়া নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল প্রথমেই। এরপর সেই ঘটনা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু সম্প্রতি ক্লাবের সঙ্গে বনেদি বাড়িও অনুদানের টাকা পেয়েছে বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে।

জানা গেছে, কাটোয়ার সুদপুর পঞ্চায়েতের বীজনগর গ্রামের বক্সী পরিবারের টাকা পাওয়ার কথা। পরিবারের তরফে টাকা পাওযার কথা মেনেও নেওয়া হয়েছে। ওই পরিবারেরই এক সদস্য জানিয়েছেন, তাঁর অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। বস্তুত, এরপর সরকারি অনুদানের টাকা কিভাবে তছরুপ হচ্ছ সেই প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূল সরকারকে বিঁধতে দেখা গেছে বিরোধীদের।

এই প্রসঙ্গে কাটোয়ার সিপিএম নেতা জানান, আম্পনের মতো পুজোয় টাকা দেওয়া নিয়েও চরম দুর্নীতি হচ্ছে। শুধু তাই নয়, তৃণমূল কাটমানির বিনিময়ে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজে লাগিয়ে তালিকা তৈরি করছে। জনগণের টাকা এভাবেই নেতাদের পকেটে যাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। এছাড়া কাটোয়া জেলা বিজেপি সভাপতি জানান, তৃণমূল দলের কর্মীদের পকেট ভরাতেই অনুদানের নামে দুর্নীতি করছে।

অন্যদিকে, কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়কের মতে, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলেই জানান তিনি। প্রকৃত তথ্য গোপন করে সরকারের কাছ থেকে টাকা নেওয়া ঠিক নয় বলেই তাঁর অভিমত। তবে সেই সঙ্গে বিরোধীরা অযথা রাজনীতি করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। এছাড়া সুদপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য এর মতে, বারোয়ারি পুজো ছাড়া, অনুদান পাওয়া যায় না। বক্সী বাড়ির পুজো সম্পূর্ণ পারিবারিক। তবে ওঁরা টাকা পেল কিভাবে সেটাই দেখা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, ওই বাড়ির এক সদস্য এর কথায়, অনেক শরিক টাকা না দেওয়ায় পুজোয় আর্থিক সমস্যা রয়েছে। তাই পুজোয় সাহায্যের জন্য পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা। তবে সরকারি অনুদান পাওয়া বা বিতর্ক তৈরি হওয়ার মতো কোনও দাবি করেননি তিনি। সেরকম হলে টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলেও যান যায়।

বস্তুত, কাটোয়া থানা এলাকায় ৩৭৩টি পুজো কমিটিকে ৫০ হাজার করে দেড় কোটি টাকার উপরে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে বিরোধীদের দাবি এর মধ্যে বেশ কিছু পুজোর নাম ‘কাটমানি’র বিনিময়ে প্রাপক তালিকায় ঢুকে গিয়েছে। সেই সঙ্গে ওই তালিকা তৈরিতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজে লাগানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।

সেই সঙ্গে প্রশাসন সূত্রের দাবি, পুজো অনুদান পেতে ক্লাবের কর্তাদের নির্দিষ্ট ফর্মে আবেদন করতে হবে বলেই জানান হয়েছিল। তার সঙ্গে দমকল, পুলিশ, প্রশাসনের অনুমতি, নো অবজেকশন জমা দেওয়ার কথাও বলা হয়। কারণ শেষ পর্যন্ত সেসব খতিয়ে দেখেই টাকা আসার কথা।

অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নাম জমা দেওয়ার কথা বলা হয়। এবার এক্ষেত্রে সিভিক ভলান্টিয়ার ওই বাড়ির নাম কেন দিলেন, বা কী ভাবেই তার চূড়ান্ত তালিকা তৈরি হয়ে গেল, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অন্যদিকে, কাটোয়া থানার দাবি, সব নাম খতিয়ে দেখা হয়েছে। এটা ‘বিচ্ছিন্ন’ ঘটনা বলেই মনে করছেন তাঁরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!