এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > পুজো মিটতেই তড়িঘড়ি ‘বিদ্রোহী’ হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার বাড়িতে ছুটলেন পার্থ! জল্পনা শাসকদলেই

পুজো মিটতেই তড়িঘড়ি ‘বিদ্রোহী’ হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার বাড়িতে ছুটলেন পার্থ! জল্পনা শাসকদলেই


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –দলের অন্দরে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন তিনি। তাকে নিয়ে বিস্তর জল্পনা চলছিল যে, তিনি অন্য কোনো রাজনৈতিক দলে নাম লেখাতে পারেন। তবে বিজয়াকে হাতিয়ার করে এবার সেই কোচবিহারের বিদ্রোহী তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামীর বাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। যে ঘটনাকে কার্যত মিহিরবাবুর মান ভাঙানোর চেষ্টা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বলা বাহুল্য, কোচবিহারের নতুন কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা গেছে কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামীকে। পাশাপাশি নিজের কার্যালয় থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের প্রতীক চিহ্ন খুলে দিয়ে মনীষীদের ছবি লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই তার এই ধরনের পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। মাঝে জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে মিহির গোস্বামীর মান ভাঙানোর জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অবশেষে দুর্গোৎসব মিটতে না মিটতেই বিজয়াকে হাতিয়ার করে সেই বিদ্রোহী তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে গেলেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়।

সূত্রের খবর, কোচবিহার জেলা তৃনমূলের সভাপতি পার্থবাবু বেশ কিছুক্ষণ মিহিরবাবুর বাড়িতে থাকেন। সেখানে দুজনের মধ্যে বেশ কিছু কথাবার্তা হয়। এমনকি তিনদিন পর তিনি আবার মিহিরবাবুর সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি। তাহলে কি দুজনেই সাক্ষাতে কিছুটা হলেও মিহিরবাবুর মানভঙ্গ হল? বিদ্রোহী এই তৃণমূল বিধায়কের ক্রোধ কি মেটাতে পারলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কি আলোচনা হল? এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “আমি প্রতিবছর মিহিরবাবুর বাড়িতে বিজয়ার প্রনাম করতে যাই। এবারও গিয়েছি। এটা নেহাতই সৌজন্য সাক্ষাৎ। আমার যা বক্তব্য আমি তাকে জানিয়েছি। তিনি আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। তাকে সবসময় আমাদের সঙ্গে অভিভাবকের মত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। কোনো সমস্যা নেই। তার সঙ্গে সদর্থক আলোচনা হয়েছে।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন, “পার্থবাবু আমার বাড়িতে এসেছিলেন। তিনি আমাকে প্রণাম করেছেন। আমি তাকে প্রাণভরে আশীর্বাদ করেছি। কোনো রাজনৈতিক আলোচনা করিনি। তিনি আবার আসবেন বলে জানিয়েছেন। আমার কাছে সবার জন্য দরজা খোলা রয়েছে।” তবে যে যাই বলুন না কেন, বিজয়ার শুভেচ্ছা আড়ালে দুজনের মধ্যে যে কিছুটা হলেও রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে, তাতে একপ্রকার নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে এবার বিজয়াকে হাতিয়ার করে পার্থপ্রতিম রায়ের বিদ্রোহী তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে পৌঁছে যাওয়া আগামী দিনে কোন পরিস্থিতির সৃষ্টি করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!