এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > পুজোর আবহে ধর্ম-রঙ ভুলে একসঙ্গে কুমারী পুজো দেখলেন বিজেপি-কংগ্রেস সাংসদ-তৃণমূল জেলা সভাপতি

পুজোর আবহে ধর্ম-রঙ ভুলে একসঙ্গে কুমারী পুজো দেখলেন বিজেপি-কংগ্রেস সাংসদ-তৃণমূল জেলা সভাপতি

শারদীয় দূর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক রঙ ভুলে কিছু সময়ের জন্য যে একাত্ম হওয়া যায় রাজনৈতিক সৌজন‍্যবোধ দেখিয়ে তা প্রমাণ হলো মালদার তিনজন হেবিওয়েট রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের কর্মকাণ্ডে। সব সময় যুযুধান রাজনৈতিক শিবিরগুলো একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলতেই ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু মাতৃমূর্তির আরাধনায় তিন যুযুধান শিবির থেকে তিনজন গণ্যমান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যেভাবে রাজনৈতিক সৌজন্যবোধ দেখালেন মালদা রামকৃষ্ণ মিশনের কুমারী পূজা একসাথে বসে দেখে, মাতৃমূর্তির আরাধনায় মাতলেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।

রবিবার সকালে দুর্গা অষ্টমীর সকালে মালদা রামকৃষ্ণ মিশনের কুমারী পুজো একসাথে বসে দেখলেন দক্ষিণ মালদার সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু), তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী মৌসম নুর এবং বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। এখানেই শেষ নয়, একসাথে বসে মায়ের প্রসাদ গ্রহণ করলেন ডালু ও মৌসম।

এদিন কোতোয়ালী ভবন থেকে সরাসরি রামকৃষ্ণ মিশনে এসে পৌঁছান আবু হাসেম খান চৌধুরী ও মৌসম নুর। এরপর একসাথে বসে তাঁরা কুমারী পুজো দেখেন। তাঁদের সাথে যোগ দেন সেই সময় সুকান্ত মজুমদার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মালদার সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী বলেন, “উৎসবে সকলে মিলে সামিল হওয়াই আনন্দের।” অন্যদিকে বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানান, “এবারই প্রথম এখানে পুজো দেখা। রাজনৈতিক সৌজন্য বজায় থাকা উচিত।”

পুজোর পরে একসাথে ভোগ খান ডালু ও মৌসম। মিশনের পূজার রীতি মেনে এখানে বরাবরই মা দুর্গাকে মাছ ভোগ দেওয়া হয়। সেই প্রসাদ পেয়ে তৃণমূল জেলা সভানেত্রী মৌসম নুর আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, “মিশনের পুজো দেখতে প্রতিবারই আসি। রাজনীতি রাজনীতির জায়গায় রয়েছে। উৎসবে সকলে মিলে সামিল হওয়াতেই আনন্দ।”

এদিন রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী ত‍্যাগরূপা নন্দ বলেন, “সকাল পৌনে ছ’টা থেকে আমাদের পুজো শুরু হয়। আমাদের শিশু সদনের ছাত্রী ঐশী চক্রবর্তীকে দেবী রূপে সাজিয়ে নিয়ম-নীতি মেনে পুজো করা হয়। এর পরেই সন্ধিপুজো হয়।”

এই ঘটনায় রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রাজনৈতিক সৌজন্যবোধ যদি সারা বছর দেখা যেত, তাহলে বোধহয় রাজনৈতিক হানাহানি হিংসার ঘটনা বরাবরের মতো মুছে যেত। খুশির আবহে নির্বাচন হতো। তাও দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে যে রাজনৈতিক সৌজন্যবোধ দেখিয়েছেন তিন যুযুধান রাজনৈতিক ব‍্যক্তিত্ব তা সত্যিই প্রশংসনীয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!