পুজোর আগে আশা কর্মী থেকে সিভিক ভলান্টিয়ার সকলের বেতন বৃদ্ধির বড়সড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর কলকাতা তৃণমূল রাজ্য September 25, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এবার জোরদার চমক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা নির্বাচনের জেরে সাংগঠনিক পরিবর্তন করে তিনি দলের শক্তি বৃদ্ধিতে যে রকম সাহায্য করেছেন, ঠিক সেভাবেই এবার জনগণের মন জেতার জন্য একের পর এক সুখবর দিয়ে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং সেই বৈঠকেই সিভিক ভলেন্টিয়ার থেকে আশা কর্মী, প্রত্যেকের মাইনে বাড়ানোর সুখবর দিলেন তিনি। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং আশা কর্মীদের হাজার টাকা করে বেতন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছেন। বর্ধিত বেতন পয়লা অক্টোবর থেকে চালু হবে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, এবার থেকে অবসর গ্রহণের পরও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা পাবেন তিন লক্ষ টাকা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - হকারদের জন্যও মুখ্যমন্ত্রী সুখবর এনেছেন। করোনা পরিস্থিতিতে সবথেকে বেশি দুর্ভোগের মুখে পড়েছিলেন হকাররা। আর তাই এবার পুজোর মাসে প্রত্যেক হকারকে 2000 টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। করোনা পরিস্থিতিতে পুজো কমিটিগুলোকেও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ দিয়েছেন কিভাবে চলতি বছরে দুর্গাপুজো বিধি মেনে করতে হবে। উল্লেখ্য, মার্চ থেকে আড়াই মাস পর্যন্ত সম্পূর্ণ স্তব্ধ থাকার পর সম্প্রতি একটু একটু করে স্বাভাবিক হতে চলেছে রাজ্য। কিন্তু তা সত্ত্বেও বলা যায় আশঙ্কা এখনো কাটেনি। এই অবস্থায় দুর্গা পুজো করতে গেলে একাধিক বিধিনিষেধ মেনে করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেই অনুযায়ী প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্ত নির্দেশ আজকে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর আজকের ঘোষণাকে জনমোহিনী বলে ব্যাখ্যা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে জনগণের মন জিততে উঠেপড়ে লেগেছেন, এ তারই ফলশ্রুতি। তবে এবার দেখার, মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া সুবিধা পেয়ে বাংলার জনগণ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকেই আবার ফিরিয়ে আনেন কিনা! আপনার মতামত জানান -