এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুজোর আগে কৃষক ও মৎস্যজীবীদের জন্য বড়সড় সুখবর রাজ্য সরকারের, জেনে নিন

পুজোর আগে কৃষক ও মৎস্যজীবীদের জন্য বড়সড় সুখবর রাজ্য সরকারের, জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – চলতি বছরের পুজোর মরশুমে রাজ্যের এক লক্ষ বৃদ্ধ ও অশক্ত কৃষক এবং কুড়ি হাজার বৃদ্ধ, অশক্ত মৎস্যজীবীকে দু মাসের অগ্রিম পেনশন দেবার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। তাঁদের দুমাসের পেনশন বাবদ মোট ২০০০ টাকা অগ্রিম তাদের একাউন্টে প্রদান করা হবে। আগামী অক্টোবর-নভেম্বর মাসে তাদের এই অগ্রিম বেতন দেয়া হবে।

পূর্বে পশ্চিমবঙ্গের বৃদ্ধ কৃষক ও মৎস্যজীবীরা ৭৫০ টাকা করে মাসিক পেনশন দেওয়া পেতেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের পেনশন বৃদ্ধি করে ১০০০ টাকা করেছেন। এবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পুজোর সময় এই পরিবারগুলিকে অধিক আর্থিক সাহায্য দিতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ পদক্ষেপ। এই দারিদ্র পরিবারগুলির জন্য যা ছিল অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

প্রসঙ্গত, রাজ্যের মোট ১ লক্ষ বৃদ্ধ ও অশক্ত কৃষককে পেনশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। চলতি মাসে মোট ৮৭ হাজার ৯১১ জন কৃষক রাজ্য সরকারের কাছ থেকে এই পেনশন পেয়েছেন। এই সংখ্যা বাড়িয়ে ১ করা হবে বলে রাজ্যের কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এই পেনশন পেতে গেলে কৃষককে ৬০ বছরের অধিক বয়স্ক হতে হয়, সেই সঙ্গে তার কৃষি জমির সরকারি নথি দাখিল করতে হয়। যদি তা না থাকে, তবে সংশ্লিষ্ট জেলার ভূমি রাজস্ব আধিকারিক কিংবা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বাক্ষর করা আবেদন পত্র তাকে জমা দিতে হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অপরপক্ষ্যে রাজ্যের মোট ২০ হাজার বৃদ্ধ ও অশক্ত মৎস্যজীবীকে পেনশন দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। দুমাস আগে পর্যন্ত রাজ্যের মোট ৮৫০০ জন মৎস্যজীবী এই পেনশন পেতেন। বর্তমানে এই কোটা পূর্ণ হয়েছে। তাই পেনশন স্কিম নথিভূক্ত কোন মৎস্যজীবীর মৃত্যু না ঘটলো নতুন করে কোনো মৎস্যজীবীর নাম নথিভুক্ত করানো সম্ভব নয়। এই পেনশন পেতে গেলে মৎসজীবীকে ৬০ বছরের অধিক বছর বয়স্ক হতে হবে।সেইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিডিও অথবা পঞ্চায়েত প্রধানের কাছ থেকে মৎস্যজীবী হিসেবে স্বীকৃতি থাকতে হবে।

রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ” পেনশন প্রাপকদের কোটা আমরা ইতিমধ্যেই পূর্ণ করেছি। লকডাউন ও উম-পুনের জেরে মাছ শিকারে বিরাট নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বৃদ্ধ মৎস্যজীবীদের অবস্থা আরও করুণ। তাই পুজোর আগে তাঁদের আর্থিক সহায়তা দিতে এই সিদ্ধান্ত।” এ প্রসঙ্গে তিনি আরো জানিয়েছেন যে, রাজ্যের মৎস্যজীবীদের জন্য সরকার এই ধরনের আরও বহু সামাজিক সুরক্ষা ও সাহায্যদান মূলক প্রকল্প ইতিপূর্বেই চালু করেছে। যার ফলে তাদের আর্থিক সমস্যার অনেকটা সুরাহা হবে।

অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশিষ বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ” সারা দেশের কাছে এই পেনশন প্রকল্প একটি নজির হয়ে উঠেছে। করোনা মহামারীর জেরে এই বৃদ্ধ চাষিদের আর্থিক দুরাবস্থা চরমে। তাঁদের সাময়িক স্বস্তি দিতেই এই আর্থিক সাহায্য। অগ্রিম দু’মাসের পেনশন প্রদান করে তাঁদের হাতে কিছু টাকার সংস্থান করতে চাইছি।” এ প্রসঙ্গে তিনি জানান খুব শীঘ্রই ১২ হাজার বৃদ্ধ ও অশক্ত কৃষককে এই পেনশন প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!