এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > পুজোর আনন্দ মাটি করে বিজেপির দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্র এলাকা! ক্রমশ তীব্র হচ্ছে ক্ষোভ

পুজোর আনন্দ মাটি করে বিজেপির দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্র এলাকা! ক্রমশ তীব্র হচ্ছে ক্ষোভ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এতকাল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিভিন্ন এলাকায় শান্তি বিঘ্নিত হতে দেখা যেত। কিন্তু এবার রাজ্যের বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসায় উৎসবের মরসুম আতঙ্কে পরিণত হল। সূত্রের খবর, বুধবার পূর্বস্থলীতে পার্টি অফিসের দখল নিয়ে বিজেপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। যেখানে এক পক্ষ অপরপক্ষের দিকে ইট, লোহার রড দিয়ে হামলা করে বলে অভিযোগ। আর যার জেরে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে যেভাবে বিজেপির দুই গোষ্ঠী উৎসবের মরসুমে একে অপরের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল, তাতে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পূর্বস্থলী থানার মাঠের 39 নম্বর জেডপির একটি দলীয় কার্যালয় রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই অফিসের দখল কাদের হাতে থাকবে, তা নিয়ে বিজেপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দড়ি টানাটানি চলছিল। জানা যায়, এক গোষ্ঠীর কর্মীরা এই কার্যালয় নিজেদের দখলে রেখে ছিলেন।

এমনকি কিছুদিন আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করা জেলা পরিষদের সদস্য বিপুল দাস এবং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তাপস দেকে এই কার্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। এদিন সেই কার্যালয়ের দখল নিতে দলীয় কর্মীদের নিয়ে সেখানে আসেন মন্ডল সভাপতি বিজয় ঘোষ। আর তারপরেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে বলে খবর। পরবর্তীতে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তবে পুলিশের লাঠির আঘাতে 20 জন কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি ভারতীয় জনতা পার্টির। কেন এই হামলা হল?

এদিন এই প্রসঙ্গে আক্রান্ত বিজেপি নেতা বিজয় ঘোষ বলেন, “সুস্থ হওয়ার পর যা বলার বলব।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে বিজেপি নেতা বিপুল দাস বলেন, “আমরা অফিসে ঢুকতে গেলে 10-12 জন মিলে আমাদের মারধর শুরু করে।” কিন্তু সামনে যখন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করা উচিত ভারতীয় জনতা পার্টির, তখন এভাবে যদি একে অপরের দিকে আক্রমণ করতে শুরু করে, তাহলে তো বিজেপি আরও অস্বস্থিতে পড়বে!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, “পূর্বস্থলীতে গোষ্ঠী সংঘর্ষের বিষয়ে কিছু জানি না।” তবে গোটা ঘটনাকে নিয়ে ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি স্বপন বলেন, “বেশ কয়েক মাস ধরেই শুনছি, পূর্বস্থলী রেল বাজারে বিজেপির দলীয় কার্যালয় নিয়ে ওরা নিজেদের মধ্যে মারপিট করেছে। এভাবে প্রতিদিন এলাকায় ভয়ঙ্কর পরিবেশ তৈরি হওয়াটা ভালো নয়। আমি পূর্বস্থলীর বিএমওএইচকে বলেছি, জখম বিজেপি নেতাদের চিকিৎসা যেন কোনো ত্রুটি না হয়। বৃহস্পতিবার আমি ওদের আরোগ্য কামনায় দেখতে যাব।”

তবে যে যাই বলুন না কেন, বিধানসভা নির্বাচনে যদি বিজেপিকে ভালো ফল করতে হয়, তাহলে অবিলম্বে যে এই গোষ্ঠী কোন্দলের সমস্যা মেটাতে হবে, সেই বিষয়টি উপলব্ধি করতে শুরু করেছে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। তবে নীচুতলার গোষ্ঠী কোন্দল বন্ধ করতে বিজেপির পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!