এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > পুজোর বাংলাতেও চরমে রাজনৈতিক হিংসা! প্রভাবশালী তৃণমূল নেতাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংস কোপ!

পুজোর বাংলাতেও চরমে রাজনৈতিক হিংসা! প্রভাবশালী তৃণমূল নেতাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংস কোপ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল মহা নবমীর রাতে প্রতিমা দর্শন করে বাড়ি ফেরার পথে গলায় ও ঘাড়ে কোপ খেলেন কোচবিহার জেলার দিনহাটার এক পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ। কর্মাধ্যক্ষকে খুনের এই চেষ্টায় তৃণমূল অভিযোগ করেছে বিজেপিকে। তাদের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনার জন্য দায়ী। তবে তৃণমূলের এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।

স্থানীয় সংবাদ সূত্র অনুযায়ী, গতকাল নবমীর রাতে প্রতিমা দর্শনে বেরিয়েছিলেন দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের (বি) ভিলেজ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মিঠুন রাজভর। গতকাল পুজো দেখে একটু রাত করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। অভিযোগ উঠেছে, গতকাল বাড়ি ফেরার সময় সাতকুড়া এলাকায় বেশ কিছু দুষ্কৃতী অকস্মাত্ তাঁর ওপর চড়াও হয়।

অভিযোগ উঠেছে এই দুষ্কৃতীরা সকলেই ছিল বিজেপি আশ্রিত। বারবার তাঁকে কোপ দিতে শুরু করে এই দুষ্কৃতীরা। গলায় ও ঘারে গুরুতর আঘাত পান তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায়, যন্ত্রণায় কাতরাতে শুরু করেন তিনি। তাঁর চিৎকার শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে ছুটে যান। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মিঠুন রাজভরকে উদ্ধার করে স্থানীয় মানুষরাই তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু তাঁর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে শিলিগুড়ি মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এখনও তিনি সেখানে ভর্তি আছেন। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় জনতারা ক্ষুব্ধ হয়ে তারা করে দুষ্কৃতিকারীদের। স্থানীয় মানুষেরা এক দুষ্কৃতীকে পাকড়াও করে। ব্যাপক মারধর করা হয় তাকে। মারধরে আহত হয়ে পড়ে ওই দুষ্কৃতী। তাকেও ভর্তি করা হয় স্থানীয় হাসপাতালে। এই ঘটনার জন্য স্থানীয় বাসিন্দা ও তৃণমূল নেতৃত্ব সম্পূর্ণভাবে অভিযোগ করেছে বিজেপির দিকে।

তাদের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিকারীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে তাদের বিরুদ্ধে তৃণমূলের এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছে বিজেপি সম্পূর্ণভাবে। তাদের অভিযোগ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা আরও অভিযোগ করেছেন যে, বিজেপিকে কালিমালিপ্ত’ করতেই চক্রান্ত করে তাদের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন তাঁরা।

দ্রুত এই বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসবে। বস্তুত, আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন যত নিকটে এগিয়ে আসতে চলেছে, ততই রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সংঘর্ষ, মারামারি, খুনোখুনি, বোমাবাজি, ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বারবার রাজনৈতিক সংঘর্ষের শিকার হচ্ছেন কোনো না কোনো রাজনৈতিক নেতা, রাজ্যের নানা স্থানে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!