এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পুজোর ৫০ হাজার অনুদান আসলে ভোট প্রচার? মন্ডপে মন্ডপে মমতা আর তৃণমূল নেতাদের ব্যানারে প্রশ্ন

পুজোর ৫০ হাজার অনুদান আসলে ভোট প্রচার? মন্ডপে মন্ডপে মমতা আর তৃণমূল নেতাদের ব্যানারে প্রশ্ন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বীরভূম জেলার প্রায় সমস্ত পুজোমণ্ডপে শোভা পাচ্ছে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের ছবি। বড় বড় ব্যানার বা ফ্লেক্সে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে পুজো কমিটিগুলির পক্ষ থেকে। করোনা সংক্রমণ কালে মুখ্যমন্ত্রী পুজোর উদ্যোক্তা ক্লাবগুলোকে ৫০ হাজার টাকার অনুদানের কথা ঘোষণা করেছেন। সেই অনুদানের পর মুখ্যমন্ত্রী ও অনুব্রত মন্ডলের ছবি শোভা পাচ্ছে জেলার প্রায় সমস্ত ক্লাবে। মণ্ডপে ঢোকার মুখে বা মণ্ডপের ভেতরে জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের ছবি প্রতিমার আগেই নজর কেড়ে নিচ্ছে অনেকসময়।

বীরভূম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ২,৪৪৭ টি পুজো কমিটিকে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেয়া হয়েছিল। এই ক্লাবের মধ্যে আছে জেলার ২৫টি মহিলা পরিচালিত পূজা কমিটিও। জেলা পুলিশের দাবি এই তালিকার বাইরে বীরভূম জেলায় সামান্যই কিছু ক্লাব আছে যারা অনুদানের অর্থ পায় নি।

রাজ্য প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে যে, শহরের ক্লাবগুলো এই অনুদান পেয়ে তেমন প্রতিক্রিয়া না দেখালেও, গ্রামীণ এলাকার পূজা কমিটি গুলি সরকারি অনুদান পেয়ে যথেষ্ট উচ্বসিত। এ কারণে দলের জনসংযোগেও বেশ কিছুটা এগিয়ে গেছে তৃণমূল, পেছনে পড়ে গেছে বিজেপি। বীরভূম জেলাতে গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বেশকিছু আসনে মনোনয়ন জমা দিতে বিরোধীরা না পারলেও, জেলার অনেক আসলেই পেশী শক্তির লড়াই হয়েছিল শাসক ও বিরোধী দলের। সেদিক থেকে সম্প্রতি জনসংযোগে অনেকটাই এগিয়ে গেল শাসকদল তৃণমূল। এই প্রথম পূজামণ্ডপের ভেতরে অনুব্রত মন্ডলের ছবি প্রকাশ্যে দেখা গেল।

বীরভূম জেলার তিলপাড়া সম্মিলনী সমিতি এবছর বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান প্রতিযোগিতায় জিতেছে জেলার সেরা প্রতিমার পুরস্কার। এই ক্লাবেও শোভা পাচ্ছে অনুব্রত মন্ডলের ছবি। এই ক্লাবের পুজো পরিচালন কমিটির সভাপতি রাজা লালা
জানালেন, “আমরা অনুদানের টাকার বেশিটাই খরচ করেছি মাস্ক বিতরণ এবং কোভিড মোকাবিলায়।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সভাপতিকে যখন প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, সরকার থেকে তো তাঁরা সাহায্য পেয়েছেন, তবে তাঁরা তৃণমূলের জেলা সভাপতির ছবি কেন রেখেছেন মণ্ডপে? এর উত্তরে রাজা লালা জানালেন, “আমরা দাদাকে (অনুব্রত) ভালবাসি। দাদা আমাদের জন্য অনেক করেন। তাই অন্তর থেকে তাঁর ছবি রেখেছি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের ধন্যবাদসূচক ব্যানারে।” আবার এই এলাকার অপর এক তৃণমূল নেতা জানালেন যে, জেলা সভাপতি কাউকে বাধ্য করেন নি তাঁর ছবি টাঙাতে।

অন্যদিকে সাঁইথিয়া পুরসভার প্রশাসক বিপ্লব দত্ত জানালেন যে, মণ্ডপে অনুব্রত মন্ডলের ছবি সহ ব্যানার টাঙাতে কোনরকম চাপ দেওয়া হয়নি দলের পক্ষ থেকে। প্রসঙ্গত, সাঁইথিয়া পুরসভার প্রশাসক বিপ্লব দত্ত আবার অগ্রণী সমাজ পুজো কমিটির কর্তা। তাঁর এই পুজো আবার বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান প্রতিযোগিতায় সেরা কোভিড সচেতন পুজোর পুরস্কার জিতে নিয়েছে।

তবে, বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল জানালেন যে, জোর জবরদস্তি করেই অনুব্রত মণ্ডলের ছবি টাঙাতে বাধ্য করা হয়েছে ক্লাবগুলিকে। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, পুরো বিষয়টিই অনুব্রত মণ্ডলের জুলুম।পুজো কমিটিগুলিকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, তাঁর ছবি সহ ব্যানার টাঙাতে। এ প্রসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেছেন যে, যে সমস্ত পুজো কমিটিগুলিতে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য রয়েছেন, সেই কমিটিগুলি সরকারের অনুদান পায় নি।

জেলার অধিকাংশ পুজো কমিটির কর্মকর্তারা অনুব্রত মণ্ডলের ফ্লেক্স টাঙ্গানো সম্পর্কে কোন বক্তব্য রাখেন নি। তবে সিউড়ির এক পূজা কমিটির কর্তা নিজের নাম গোপন রেখে জানালেন, “পুজোয় কেউ স্পনসর করলে তার সংস্থার বিজ্ঞাপন হিসাবে ব্যানার-হোর্ডিং তো মণ্ডপে টাঙানোই হয়। ওই ৫০,০০০ টাকাও তো এক ধরনের স্পনসরশিপই। তা হলে ব্যানার টাঙাতে আর বাধা কোথায়?”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!