এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুজোয় বড়সড় উপহারের ডালি নিয়ে হাজির তৃণমূল, ভোট জেতা লক্ষ্য, কটাক্ষ বিরোধীদের !

পুজোয় বড়সড় উপহারের ডালি নিয়ে হাজির তৃণমূল, ভোট জেতা লক্ষ্য, কটাক্ষ বিরোধীদের !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা পরিস্থিতিতে সবথেকে খারাপ অবস্থায় পড়েছেন গরীব অসহায় মানুষগুলি। লকডাউনের কারণে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে উঠেছে। দু’মুঠো খাবার জোগার হবে কি করে, সেই চিন্তায় রীতিমত ব্যস্ত তাঁরা। এই সময়ে তাঁদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, অনেক ব্যক্তিগত উদ্যোগ। অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বহুভাবে আবেদন করেন প্রায়ই গরীব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।

আর এবার মুখ্যমন্ত্রীর কথার ওপর ভিত্তি করেই দক্ষিণ কলকাতায় পুজোয় নয়া উদ্যোগ তৃণমূলের। পুজোর পাঁচদিনব্যাপী চালু হচ্ছে মমতাময়ীর হেঁশেল। জানা গিয়েছে পুজোর পাঁচদিন অর্থাৎ পঞ্চমী থেকে নবমী বিনা পয়সায় মাংস ভাত বিতরণ করা হবে কসবা এলাকার গরীব মানুষদের মধ্যে। পঞ্চমী থেকে নবমী ওই অঞ্চলের 1000 গরিব মানুষকে বিনা পয়সায় খাওয়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে শাসক দলের পক্ষ থেকে। জানা গিয়েছে, আগ্রহী মানুষের কাছে উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে কুপন বিলি করা হবে।

পুজোর পাঁচদিন নির্দিষ্ট জায়গায় দুপুর 12 টা থেকে খাবার বিতরণ হবে। অন্যদিকে শাসকদলের এই উদ্যোগ নিয়ে শুরু হয়েছে বিরোধী দলের কটাক্ষ। বিরোধীদের প্রত্যেকেই দাবি করেছে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে তৃণমূল শিবিরের এই আয়োজন। অন্যদিকে মমতাময়ী  হেঁশেলের স্লোগান নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন রাজনৈতিক বিতর্ক। লকডাউনের প্রাক্কালে যাদবপুর অঞ্চলে বাম শিবিরের পক্ষ থেকে একটি শ্রমজীবী ক্যান্টিন চালু করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যার স্লোগান  ‘কেউ খাবে কেউ খাবে না । তা হবে না, তা হবে না।’ ঠিক একই রকম- বলা ভাল, হুবহু এই স্লোগানটি নিজেদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করছে তৃণমূল। আর এখান থেকেই শুরু যাবতীয় বিতর্কের। মমতাময়ী হেঁশেল নিয়ে কসবার কাউন্সিলর এবং বোড়ো চেয়ারম্যান সুশান্ত কুমার ঘোষের দাবি, এই স্লোগান তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর তাই তাঁরা এই স্লোগান ব্যবহার করবেন। অন্যদিকে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর সুশান্ত ঘোষের কথা পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন।

তাঁর কথায়, তৃণমূল বরাবরই সমস্ত দলকে নকল করে। এই স্লোগান কখনোই তৃণমূলের নয়। অন্যদিকে তৃণমূলের মমতাময়ী হেঁশেলের উদ্যোগ নিয়ে সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী তীব্র কটাক্ষ করেছেন। তাঁর মতে, দূর্গাপূজায় কলকাতা এবং রাজ্যের বিভিন্ন ক্লাবগুলি এমনিতেই গরিব মানুষদের প্রতিবছরই খাওয়ায়। এবছর সেই পরিকল্পনাকেও নিজেদের নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহার করতে উদ্যোগী হয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধীদের কোন কথায় কান না দিয়ে শুরু করতে চলেছে এক হাজার লোকের মাংস ভাতের আয়োজন।

বিরোধীরা অবশ্য তৃণমূলের এই উদ্যোগকে মোটেই স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারছেন না। তাঁদের কথায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আসতে আর বিশেষ দেরি নেই। তাই মানুষের মন পেতে এবার নতুন উদ্যোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। তীব্র কটাক্ষে তাঁরা ভরিয়ে তুলেছে শাসক দলকে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে যদি লক্ষ্য রাখা যায়, তাহলে এই উদ্যোগ তৃণমূল শিবিরকে কিছুটা যে এগিয়ে রাখবে সে কথা বলাই বাহুল্য।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!