পুজোর সেলিব্রেশনে মদের জোয়ার বাংলা জুড়ে! বিক্রিবাটা ও মুনাফায় খুশির হাওয়া আবগারি দপ্তরে বিশেষ খবর মেদিনীপুর রাজ্য October 28, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- লকডাউনের পর থেকেই আবগারি দপ্তরের চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল রাজস্ব ঘাটতি নিয়ে। কারণ রাজ্যের আয়ের অনেক অংশই আসে মদ বিক্রির উপর থেকে। অন্যদিকে লকডাউনের পর মদের দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছিলেন আবগারি দফতরের কর্মীরা। কারণ উৎসবের মরশুমে মানুষের ভালো লাগার জন্য মদ কেনার ওপরই তাকিয়ে ছিলেন তাঁরা। তবে মে মাস থেকে ধাপে ধাপে মদের দোকান খোলার অনুমতি দেওয়ায় মদ বিক্রির ক্ষেত্রে কিছুটা রাজস্ব সঞ্চয় করতে পেরেছিল সরকার। অন্যদিকে বিয়ার বা অন্যান্য বিলিতি মদের দাম বাড়ায় মানুষ কতটা মূল্য বৃদ্ধির সময় মদ কিনবেন সেই নিয়েও সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তবে করোনা আবহে যেমন সরকারকে মদ্যপায়ীরা হতাশ করেনি, তেমনভাবেই পুজোর মরসুমেও আবগারি দপ্তরের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন তারা। বস্তুত এবারে করোনা সংক্রমনের জেরে দূর্গাপূজা, প্রতিমা দর্শন সমস্ত কিছুর ওপরই নিষেধাজ্ঞা জারি করে দিয়েছিল কোর্ট। সেইসঙ্গে এমন পরিস্থিতিতে বাড়ির বাইরে মানুষ আদৌ বেরোবেন কিনা, সেই গিয়ে চিন্তায় ছিল সরকার। অন্যদিকে মানুষের সুবিধা করে দেবার জন্য ইতিমধ্যেই মদের হোম ডেলিভারি চালু করা হয়েছিল অনেক অ্যাপের মাধ্যমে। যাতে মানুষ পুজোর দিনগুলিতে হতাশ না হতে পারে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে সেক্ষেত্রে জানা গেছে, পূজোর পাঁচ দিন প্রায় কুড়ি কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। জানা গেছে, ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত পূজার মণ্ডপগুলিতে ভিড় না থাকলেও নবমী এবং দশমীর দিন একটু বেশি ভিড় হতে দেখা গিয়েছিল মণ্ডপগুলোতে। তবে গত বছর কিন্তু মদ বিক্রির এই সংখ্যাটা ছিল ২৫ কোটি টাকা। তবে এ বছর সে জায়গায় ২০ কোটি টাকার ব্যবসা করাতেও খানিকটা নিশ্চিন্ত হয়েছেন আবগারি দফতরের কর্তারা। কারণ প্রতিকূল পরিস্থিতিতে এতটাও বিক্রি হবে, সেই আশা করেননি কেউই। বস্তুত জানা গেছে কুড়ি কোটি টাকার মধ্যে থেকে বিলাতি মদ বিক্রি হয়েছে প্রায় ১২ কোটি টাকার। যার মধ্যে বিয়ার রয়েছে দেড় কোটি টাকার। এছাড়া দেশী মদ বিক্রি হয়েছে প্রায় ৭ কোটি টাকার। সূত্রে জানা গেছে, পূজোর সময় জেলার প্রায় ২৪৮টি সরকারি লাইসেন্স প্রাপ্ত মদের দোকান খোলা রাখা হয়েছিল। লকডাউনের ফলে অন্যান্য খাতে সরকারের রাজস্ব আয় একেবারে তলানিতে থাকলেও এক্ষেত্রে আশা জাগিয়েছে মদের দোকানগুলি। এক্ষেত্রে আবগারি দপ্তরের এক আধিকারিকের মতে, পূর্ব মেদিনীপুরে এবার এত টাকার মদ বিক্রি হওয়ায় জেলা নিয়ে বেশ খুশির পরিস্থিতি রয়েছে। যদিও এই পরিমাণটা গতবারের তুলনায় খানিকটা কম, তবুও এতটা আশা করেননি তাঁরা। সেইসঙ্গে সামনে কালীপুজো, দিওয়ালি, ভাইফোঁটা এবং জগদ্ধাত্রী পূজার মত অনেকগুলি পুজো থাকায় ভালোই মদ বিক্রি হবে এমনটাই আশা করেছেন তারা। আপনার মতামত জানান -