এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > পুকুরে ডুব দিলেই মিলছে গোছাগোছা টাকা-গয়না! এই বাংলার বুকেই! চূড়ান্ত চাঞ্চল্য এলাকায়!

পুকুরে ডুব দিলেই মিলছে গোছাগোছা টাকা-গয়না! এই বাংলার বুকেই! চূড়ান্ত চাঞ্চল্য এলাকায়!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- করোনা পরিস্থিতিতে কমবেশি অর্থনৈতিক সমস্যার মুখে পড়েছেন সকলেই। আর বর্তমানে সেই সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার যদি কোনো সুযোগ আসে, তবে সেই সমস্যা মিটিয়ে নিতে কেউই দ্বিরুক্তি করবেন বলে মনে হয় না। তবে চাকরির বাজারের যা অবস্থা তাতে মানুষের পুরনো চাকরিই থাকছে না, নতুন চাকরি পাওয়া তো দূরের কথা। অন্য দিকে ব্যবসার অবস্থাও তথৈবচ। তবে এমন পরিস্থিতিতে যদি কেবলমাত্র পুকুরে ডুব মেরেই টাকা পাওয়া যায়, তাহলে মন্দ হয় না, কি বলুন! শুনে ব্যাপারটা গুজব বা সিনেমার শুটিং মনে হলেও, ব্যাপারটা কিন্তু মোটেই গুজব বা সিনেমার শুটিং নয়। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনার খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

ঘটনাস্থল পূর্ব বর্ধমানের মেমারির বড় মশাগড়িয়া গ্রামের পাসুরডোবা। সেখানেই নাকি পুকুরে ডুব দিলেই মিলছে গোছা গোছা টাকা। আবার কেউ কেউ টাকার সঙ্গে নাকি গয়নাও পাচ্ছেন। তাই করোনা আবহে সামাজিক দূরত্ব ভুলে গিয়ে আট থেকে আশি সবাই নির্বিশেষে পুকুরে বেমালুম ডুব দিচ্ছেন আর তাতেই হচ্ছে লক্ষ্মীলাভ। খবর নিয়ে জানা গেছে, এই পুকুরটির বেশ কয়েকজন শরিক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছে শেখ মজিবর রহমান, মহম্মদ আসিফ, নুরুল ইসলাম, মহম্মদ রফিক ও ইউসুফ কয়াল। গ্রামবাসীদের কথায় ২০১২ সাল নাগাদ পুকুরটি কাটা হয়। তখন পুরনো কিছু না পাওয়া গেলেও পরে কীভাবে টাকা-পয়সা এল তা তারা কেউই বুঝতে পারছেন না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেখানের মানুষজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরেই গ্রামের কিছু মানুষজন নাকি বলাবলি বলছিল পুকুরে স্নান করতে গেলেই টাকা পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমে কেউ তা বিশ্বাস না করলেও পরে গ্রামের আরও কয়েকজন ৫০০ টাকা, ২ হাজার টাকা, ১০ টাকার নোট পায়। এরপর ধীরে ধীরে প্রচুর লোক আসতে থাকে। সবাই পুকুরে ডুব দিয়ে দিয়ে গোছা গোছা টাকাও পায়। এরপর খবর যায় পুলিশে। পুলিশের লোকও নাকি পুকুরে ডুব দিয়ে টাকা পেয়েছে বলে জানান গ্রামবাসীরা। এরপর পুকুরে মানুষের ঢল নামে। জলে অনেকক্ষণ থেকে চামড়ার দফারফা হয়ে গেলেও টাকা কুড়োনোর ধুম শেষ হয় না। মানুষের দাবী ছেঁড়া টাকা হলেও তা কোন না কোন রকম ভাবে ঠিক কাজে লাগিয়ে দেওয়া যাবে।

তবে পুলিশের কাছে কথা বলে জানা গেছে, সেদিন পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েকটি ১০০ ও ১০ টাকার ছেঁড়া নোট পায়। এরপর কেউ যাতে পুকুরে না নামতে পারে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে এলাকার বিডিওকেও বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে পুলিশের অনুমান নিশ্চয়ই কেউ এমনই এমনই টাকা পুকুরে ফেলে যাবে না। তাই নিশ্চয়ই কেউ চুরি করা কোনো টাকা লুকিয়ে রাখতেই প্যাকেটে মুড়ে পুকুরে ফেলে রাখা হয়েছিল। কিন্তু কোনওরকম ভাবে সেই প্যাকেট খুলে গিয়ে টাকা জলে ভেসে উঠেছে। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!