এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পুলিশের আশ্বাসে বাড়ি ফিরেও ফের আক্রান্ত মহিলা বিজেপি কর্মী, অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে

পুলিশের আশ্বাসে বাড়ি ফিরেও ফের আক্রান্ত মহিলা বিজেপি কর্মী, অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে। বিজেপির অভিযোগ, বেছে বেছে তাঁদের কর্মীদের মারধর, হেনস্থা, বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর, লুটপাট করা হচ্ছে, মহিলা কর্মীরাও যা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। প্রাণ বাঁচাতে বহু মানুষ ঘরছাড়া হয়ে পড়েন। এরপর ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাবার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরার কাজ শুরু হয়। একাধিক স্থান থেকে পুলিশ বিপন্ন মানুষদের ঘরে ফেরাতে শুরু করেন। কিন্তু ঘরে ফিরেও আবার অত্যাচারিত হয়ে ফের ঘরছাড়া হতে হল পূর্ব বর্ধমান জেলার এক মহিলা বিজেপি কর্মীকে।

প্রসঙ্গত, ভোটের ফল ঘোষণার পরই পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ এলাকার জনৈক মহিলা বিজেপি কর্মী রাখি রায় দুষ্কৃতীদের অত্যাচারে ঘর ছাড়তে বাধ্য হন। ভোটের ফল ঘোষণার দিনই বাঁকুড়ার ইন্দাসে সপরিবারে চলে যেতে বাধ্য হন তিনি। এরপর তিনি সেখানেই ছিলেন। গত ১৮ ই জুন নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়ে পুলিশ তাঁদের আবার বাড়িতে ফিরিয়ে আনে। এরপর, আবার তাঁর বাড়িতে প্রবল আক্রমণ ঘটে। তিনি অভিযোগ করেছেন, গত সোমবার তৃণমূলের বেশ কিছু কর্মী তাঁর বাড়িতে হামলা চালান। অভিযোগ উঠেছে, বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়েছে তাঁকে, তাঁর স্বামীকেও মারধর করা হয়েছে। এরপর প্রাণ বাঁচাতে সপরিবারে তিনি আশ্রয় নিয়েছেন বর্ধমান জেলা বিজেপির কার্যালয়তে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই ঘটনায় সম্পূর্ণভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে। তবে, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী রাখি রায় সম্পূর্ণ বিষয়টি বিজেপি নেত্রী ও আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবড়েওয়ালকে জানিয়েছেন। এই অভিযোগ সামনে আসার পর পুলিশও খোঁজখবর করতে শুরু করেছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। খণ্ডঘোষ এলাকার ব্লক তৃণমূল সভাপতি অপার্থিব ইসলাম জানিয়েছেন যে, মহিলা বিজেপি কর্মীকে মারধর, তার বাড়িতে ভাঙচুর চালাবার যে অভিযোগ উঠেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিজেপি নেতারা ইচ্ছে করেই রাজ্যের বদনাম করতে চাইছেন, পুলিশকেও চাপে রাখতে চাইছেন। তাঁর দাবি, নির্বাচনে জিততে না পেরে এই সমস্ত নোংরা রাজনীতির খেলা এবার শুরু হয়েছে।

আবার, রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র ও বর্ধমান জেলা পরিষদের সহকারি সভাপতি দেবু টুডু জানিয়েছেন যে, কোথাও যদি এমন কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে থাকে, তবে তার ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি দেখছে। অন্যদিকে, বিজেপির আইনজীবী সেলের নেতা সুব্রত কর্মকার এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, ভোট-পরবর্তী হিংসার কারনে সমগ্র রাজ্যে বিজেপির বহু কর্মী ও সমর্থক ঘরছাড়া হয়েছেন। যার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছে। ঘরছাড়া হওয়া সবাইকে ঘরে ফেরাবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে। সেই নির্দেশ মেনে পূর্ব বর্ধমান জেলা সহ রাজ্যের সর্বত্র ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানো শুরু হয়েছে। কিন্তু পুলিশ ঘরে ফিরিয়ে দিলেও, তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের অত্যাচারে অনেকেই ফিরতে পারছেন না, অনেকে ফিরে এলেও আবার ঘরছাড়া হচ্ছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!