এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > পুলিশের হেফাজতে বন্দির অস্বাভাবিক মৃত্যু,পুলিশ ফাঁড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ উন্মত্ত জনতার

পুলিশের হেফাজতে বন্দির অস্বাভাবিক মৃত্যু,পুলিশ ফাঁড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ উন্মত্ত জনতার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল রাতে পশ্চিম বর্ধমানের বরাকর পুলিশ ফাঁড়িতে আরমান খান নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে আনা হয়। পুলিশের দাবি, চুরির অভিযোগে আরমান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের হেফাজতে তাকে রাখা হয়েছিল। এরপর গভীর রাতে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ে আরমান খান। সে সময় পুলিশ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। তবে পথের মধ্যেই মৃত্যু হয় তার। তার মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই উন্মত্ত হয়ে ওঠে এলাকাবাসী। তার আত্মীয়দের অভিযোগ পুলিশের অত্যাচারেই তার মৃত্যু ঘটেছে।

পুলিশের অত্যাচারেই আরমান খানের মৃত্যু ঘটেছে, এই অভিযোগ করে উত্তেজিত জনতা পুলিশ ফাঁড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। বেশ কয়েকটি পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে দেয়া হয়। গোটা চত্বরে আগুন জ্বলতে থাকে। কোন রকমে প্রাণ বাঁচিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা। জনতার প্রবল বিক্ষোভে একের পর এক দোকান বন্ধ হয়ে যায়। এলাকার যান চলাচল ব্যাহত হয়ে পড়ে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টাতে বিরাট পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। এরপর পুলিশদের লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছোড়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হন। শেষ পর্যন্ত লাঠিচার্জ করে, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এ ঘটনার পর এলাকা থমথমে হয়ে রয়েছে। এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ বাহিনী। পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বে থাকা দুজন আধিকারিক অমরনাথ দাস এবং প্রশান্তকুমার পালকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুর জানালেন যে, পুলিশ হেফাজতে এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ এসেছে। তার অভিযোগ ইতিমধ্যে জমা পড়েছে। তাঁরা এর তদন্ত শুরু করে দিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে দুজন পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। উন্মত্ত জনতা এসে পড়েছিলেন। পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে। তবে, তেমন ভাবে কেউ আঘাত পান নি।

অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে জনৈক এলাকাবাসী জানালেন যে, আরমান খানের নামে কি মামলা ছিল? তা তিনি জানেন না। সকালে তিনি শুনতে পেয়েছেন যে, তাকে বড়বাবু তুলে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলেছেন। তিনি প্রশ্ন করেছেন, বড়বাবু কি ভগবান? তাঁরা ন্যায় বিচার চান। তিনি আরও জানান যে, আরমান খানের পরিবার অত্যন্ত দরিদ্র। তার বাবা গদি মিস্ত্রির কাজ করেন। এবার কিভাবে এই পরিবারের দিন চলবে?

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!