এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুনর্গণনার দাবিতে করা মামলাগুলি নিয়ে বিশেষ নির্দেশ হাইকোর্টের বিচারপতিদের

পুনর্গণনার দাবিতে করা মামলাগুলি নিয়ে বিশেষ নির্দেশ হাইকোর্টের বিচারপতিদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে অস্বচ্ছতা, দুর্নীতির অভিযোগ এনে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। পরে নানা চাপানউতোরের পর সম্প্রতি বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে এই মামলার শুনানি চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপের পর একাধিক পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী এই ধরনের মামলা করেছেন। এর পাল্টা হিসেবে বেশ কিছু বিজেপি প্রার্থী, যারা অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন, তাঁরাও পুনর্গণনার দাবি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।

উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ দক্ষিণ ও মালদহের বৈষ্ণবনগর কেন্দ্রের পরাজিত প্রার্থীরা পুনর্গণনার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রে পুনর্গণনার দাবি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী আলোরানী সরকার। বৈষ্ণবনগর কেন্দ্রে এই ধরনের মামলা করেছেন পরাজিত বিজেপি প্রার্থী স্বাধীন সরকার। বনগাঁ দক্ষিণ এর মামলায় গতকাল সমস্ত নথিপত্র, যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম সংরক্ষন করে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, এই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সমস্ত নথিপত্র সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। গতকাল, আদালতে একই ধরনের নির্দেশ দিয়েছেন বৈষ্ণবনগরের মামলার ক্ষেত্রে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহ। আবার, নন্দীগ্রামে ফলাফল নিয়ে চলা মামলার ক্ষেত্রেও সমস্ত কিছু সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি শম্পা সরকার।
তবে, পুনর্গণনার দাবীতে করা মামলাগুলো নিয়ে একটি প্রশ্ন উঠে আসছে। জানা যাচ্ছে, এখনো পর্যন্ত মোট ১৫ টি মামলা করা হয়েছে পুনর্গণনার দাবিতে।

বেশকিছু আইনজীবী জানিয়েছেন, আদালতের নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার ৪৫ দিনের মধ্যে পুনর্গণনার মামলা দায়ের করা যায়। কিন্তু বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ৪৫ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাই এই মামলাগুলি আদালত নেবে কিনা? তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তবে বেশ কিছু আইনজীবী মনে করছেন, করোনা সংক্রমণকালীন পরিস্থিতি থাকার কারণে, ৪৫ দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও হাইকোর্টের বিচারপতিরা বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে মামলা গ্রহণ করতে পারেন। উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে সে ক্ষেত্রে মামলা গ্রহণ করতেই পারেন বিচারপতিরা। তাই সমস্ত কিছু নির্ভর করছে বিচারপতিদের সিদ্ধান্তের ওপর।

অন্যদিকে, নন্দীগ্রাম মামলায় নোটিশ জারি করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাখিল করা ইলেকশন পিটিশনের ওপর ভিত্তি করে এই নোটিশ জারি করা হয়েছে। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সমস্ত নথি সংরক্ষণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগামী ১২ ই আগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি হাইকোর্টে। এই মামলা অন্য কোন রাজ্যে নিয়ে যাবার আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগ করা হয়েছে, চাপ সৃষ্টি করে বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!