এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুরসভা নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সারা শাসক দলের

পুরসভা নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সারা শাসক দলের

আর মাত্র কিছুদিনের ব্যবধান। তারপরেই শুরু হতে চলেছে রাজ্যজুড়ে পৌরসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনের পরেই শুরু হবে বিধানসভার মসনদ দখলের লড়াইয়ের প্রস্তুতি অর্থাৎ বিধানসভা নির্বাচন পর্ব। আপাতত বিধানসভা নির্বাচনকে ফাইনাল ম্যাচ ধরে পুরসভার নির্বাচনকে সেমিফাইনাল হিসেবেই দেখছে রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলি। ইতিমধ্যে, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল নির্বাচনী রণকৌশল তৈরি করতে রাজনৈতিক ময়দানে নেমে পড়েছে। লোকসভা নির্বাচনের পর এই মুহূর্তে শাসক দলের কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ পুরসভার নির্বাচন। সেই লক্ষ্যেই এবার রাজ্য সরকার নিজেদের মতো করে দুটি দিন ঠিক করল রাজ্যের পুরভোটের জন্য।

আপাতত রাজ্য সরকার দুটি দিন ঠিক করেছে পুরসভা নির্বাচনের জন্য। আগামী 12 ই এপ্রিল কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার নির্বাচনের জন্য এবং  পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য পুরসভায় 26 কিংবা 27 তারিখ নির্বাচনের দিন ঠিক করা হয়েছে। উল্লেখ্য,পশ্চিমবঙ্গের সব জায়গায় পুর নির্বাচন হলেও  ব্যারাকপুরের 8 টি পুরসভা এবার পুরনির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেনা বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার তাঁদের নির্ধারিত দিনেই পুর নির্বাচন স্থির করে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে। তবে যে কোন নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেন নির্বাচন কমিশন। সুতরাং, রাজ্য সরকারের প্রস্তাবিত দিনেই যে নির্বাচন হবে, তার কোনো স্থিরতা নেই।

সূত্রের খবর, বহুদিন ধরেই রাজ্য সরকার ঠিক করে এসেছে এপ্রিলের মধ্যেই তাঁরা পুরনির্বাচন শেষ করবেন। সে কথা মাথায় রেখেই রাজ্য সরকার আগামী 12 ই এপ্রিল কলকাতা ও হাওড়া পুরসভায় পুরনির্বাচন করতে চাইছেন। অন্যদিকে, জানা গেছে, পুরনো মেয়র ফিরহাদ হাকিমকেই সন্তোষজনকভাবে মুখ্যমন্ত্রী এবারের পুরনির্বাচনেও মেয়র পদে রেখে কলকাতার পুরভোটের লড়াইতে নামবে শাসক দল অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে। ইতিমধ্যে পুরভোট জেতার লক্ষ্যে রণকৌশল ঠিক করছে শাসক দল। অন্যদিকে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে আগামী মার্চে ‘আমার গর্ব মমতা’ বলে একটি কর্মসূচির সূচনা হতে চলেছে। তবে এই কর্মসূচীর বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, আগামী 12 ই এপ্রিল তাঁরাও হাওড়া পুরসভার নির্বাচন চাইছেন। তবে শুধুমাত্র হাওড়া ও কলকাতায় আগামী 12 ই এপ্রিল নির্বাচনের জন্য দিন স্থির হয়েছে। রাজ্যের অন্যত্র পুরসভাগুলিতে নির্বাচনের দিন স্থির হয়েছে আগামী 26 অথবা 27 এপ্রিল। তবে এখনো পর্যন্ত এই তারিখ সম্পর্কিত সিদ্ধান্তে নির্বাচন কমিশনের গ্রীন সিগন্যাল পাওয়া যায়নি। তবে সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই রাজ্য সরকার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবে। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের অনুমান, পুরসভা নির্বাচনের পরিকল্পনায় নির্বাচন কমিশন হয়তো খুব শীঘ্রই সর্বদল বৈঠক ডাকবে। তারপরেই পুরভোটের জন্য চূড়ান্ত দিন স্থির হবে। অন্যদিকে সূত্রের খবর, রমজান পড়ার আগেই পুরসভাগুলির নির্বাচন শেষ করার ওপর জোর দিচ্ছে শাসক মহল।

প্রসঙ্গত, 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস বেশ কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়ে। অবশ্য গত বছর হয়ে যাওয়া উপ-নির্বাচনে কিছুটা রাজনৈতিক জমি পুনরুদ্ধার করে শাসকদল। আর তাই এবার পুরভোটকে কেন্দ্র করে রাজ্যের জমি দখল করতে আবার ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। তাই তার আগে জনমত মেপে নেওয়ার কাজটি এখনি সেরে রাখতে চাইছে তৃণমূল। বলা যেতে পারে পুরসভার নির্বাচন শাসকদলের কাছে একটা অ্যাসিড টেস্ট। অন্যদিকে, রাজ্যের বিরোধী শক্তিগুলিও পিছিয়ে নেই। ইতিমধ্যে বিজেপিও তাঁদের সাংগঠনিক শক্তি দেখিয়েছে 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে। তাঁরাও পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার মসনদ দখল করতে মরিয়া। তাই পুরসভার নির্বাচন তাঁদেরও মর্যাদা রক্ষার লড়াই।

আপাতত অপেক্ষা শুধু নির্বাচন কমিশনের দিন ঘোষণার। রাজ্যের দরজায় এই মুহূর্তে কড়া নাড়ছে পুরসভা নির্বাচন। আর তাই নিয়েই পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক শিবিরগুলির মধ্যে সাজো সাজো রব। নির্বাচনী রণাঙ্গনে নামার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলি। অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে পুরসভা নির্বাচন হওয়ায় আগামী দিনের রাজনৈতিক প্রতিচ্ছবি বেশ কিছুটা স্পষ্ট হয়ে উঠবে। আর সেই ছবি যাতে নিজেদের হয়, সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রেখে রাজ্যের প্রতিটি রাজনৈতিক দল এই মুহূর্তে চূড়ান্ত ব্যস্ত। সম্পূর্ণ পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!