এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > পূর্ব মেদিনীপুরের সমবায় ব্যাংকের তদন্তের সূত্রে প্রাসঙ্গিক মমতা-শুভেন্দু মহারণ

পূর্ব মেদিনীপুরের সমবায় ব্যাংকের তদন্তের সূত্রে প্রাসঙ্গিক মমতা-শুভেন্দু মহারণ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর তৃণমূল সরকার গঠন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আসার পরেই সমবায় ব্যাংকের দুর্নীতি প্রসঙ্গ সামনে আসে। একদিকে যখন ভ্যাকসিন নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে জোরদার পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত, ঠিক সেসময় এবার শুভেন্দুর বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার হিসাব কষছে। সম্প্রতি ভ্যাকসিন কান্ড ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনকে চিঠি লিখে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেন রাজ্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই চিঠির ভিত্তিতে বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবের পক্ষ থেকে রাজ্যের মুখ্য সচিবের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।

আর তার কিছুক্ষণের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, রাজ্যের যে ক’টি সমবায় ব্যাংকের নামে অভিযোগ এসেছে, তার প্রত্যেকটির এবার অডিট হবে। খুঁজে বার করা হবে ভুয়ো অ্যাকাউন্টধারীদের। প্রসঙ্গত কাঁথি সমবায় ব্যাংক, মেদিনীপুর সমবায় ব্যাংক এবং তমলুক সমবায় ব্যাংকের আভ্যন্তরীণ অডিট করা হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়ে দিয়েছেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই সমবায় ব্যাংকের অভিযোগের তদন্ত করলে সবার আগে যে নামটি উঠে আসবে সেটি হল শুভেন্দু অধিকারী। পূর্ব মেদিনীপুরের বেশিরভাগ সমবায় ব্যাংকের মাথায় ছিলেন তিনি। সেক্ষেত্রে অডিট করানো বা তদন্ত চালানোর পেছনে যে শুভেন্দুকেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হলো, সে ব্যাপারে একমত রাজনৈতিক মহল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মুখ্যমন্ত্রী এদিন পাল্টা জানিয়েছেন, কন্টাই কোঅপারেটিভ ব্যাংকে ইন্টারনাল অডিট করার প্রসঙ্গ ওঠায় তাড়াতাড়ি রিট পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। এক্ষেত্রেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইঙ্গিত করেছেন শুভেন্দু অধিকারীর দিকেই বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত বাংলার সমবায় ব্যাংক নিয়ে দুর্নীতি নতুন কিছু নয়। বাম আমলে কিংবা তৃণমূল আমলেও দেখা গিয়েছে এই দুর্নীতি। কালের হাত ধরে সেইসব দুর্নীতি চাপাও পড়ে গেছে। কিন্তু এবার যেহেতু শুভেন্দু অধিকারী সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে ছিলেন, তাই তার আমলে সমবায় দুর্নীতিকে সামনে এনে কার্যত রাজ্য সরকার এবার শুভেন্দুকে চাপে ফেলার কৌশল নীতি গ্রহণ করছে বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, সমবায় তদন্তে যদি শুভেন্দু অধিকারী দোষী প্রমাণিত হন তাহলে কিন্তু তাঁকে বিরোধী দলনেতার পদ থেকে সরে যেতে হবে। পাশাপাশি কার্যত তিনি রাজনৈতিকভাবেও চাপের মুখে পড়বেন। এবার দেখার, রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্সেস বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর এই লড়াই কোথায় গিয়ে থামে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!