পুর নির্বাচনের আগে আবার বড় ভাঙন গেরুয়া শিবিরে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই কি মূল কারণ? তৃণমূল নদীয়া-২৪ পরগনা বিজেপি রাজনীতি রাজ্য November 12, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই গেরুয়া শিবিরে শুরু হয়েছে ভাঙনের ঝড়। কিন্তু ছবিটা পুরো অন্য ছিল বিধানসভা নির্বাচনের আগে। তখন কিন্তু তৃণমূল থেকে একাধিক নেতাকর্মী, সাংসদ, বিধায়ক রাতারাতি তৃণমূল ছেড়ে যোগদান করে বিজেপিতে। কিন্তু তা সত্বেও তৃণমূল যখন বিপুল ভোটে জয়লাভ করে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে, রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তারপর থেকেই গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেছিলেন যারা, তাঁরা প্রায় বেশির ভাগই একে একে ফেরার পথ ধরেন। অনেকেই বিজেপি ছেড়ে চলে আসেন তৃণমূলে। আবার অনেকেই তৃণমূলে যোগ দেবেন বলে অপেক্ষা করছেন। এই অবস্থায় এবার বনগাঁ অঞ্চলে বিজেপির এক পঞ্চায়েত সদস্যাসহ শতাধিক কর্মী সমর্থক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কার্যত বনগাঁ মতুয়া অধ্যুষিত এলাকা। যেখানে গেরুয়া শিবির যথেষ্ট শক্তিসম্পন্ন। কিন্তু এবার দেখা যাচ্ছে, বনগাঁ অঞ্চলে তৃণমূল শক্তি বাড়াতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার গোপালনগর অঞ্চল তৃণমূলের তরফ থেকে একটি বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সেখানে বনগাঁর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি আলোরানী সরকার, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের সামনেই বৈরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা শম্পা বিশ্বাস সহ বহু বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেন। এবং আলোরাণী সরকারের হাত থেকে তৃণমূলের দলীয় পতাকা গ্রহণ করেন। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই দলবদলকারীরা জানান, গেরুয়া শিবিরের অন্দরে চরম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে। কাজ করার উপযুক্ত পরিবেশ নেই। তাই মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নে সামিল হতে তাঁরা তৃণমূলে যোগদান করলেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই মতুয়া অঞ্চলে এভাবে শক্তি হারানো গেরুয়া শিবিরের পক্ষে পুর নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজ্যের সর্বত্রই কমবেশী গেরুয়া শিবিরের ভাঙন অব্যাহত। নীচুতলা থেকে উপরমহল সর্বত্র ভাঙন চলছে। আপাতত ভাঙনের হাত ধরে গেরুয়া শিবির থেকে আর কারা শাসকদলের চৌকাঠ পেরোতে চায়, এখন সেটাই দেখার। আপনার মতামত জানান -