এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যের ১৮ টি পুরোহিতদের সংগঠনকে মিশিয়ে দিয়ে এবার একগুচ্ছ দাবির কথা জানাল তৃণমূল

রাজ্যের ১৮ টি পুরোহিতদের সংগঠনকে মিশিয়ে দিয়ে এবার একগুচ্ছ দাবির কথা জানাল তৃণমূল

এতদিন সংখ্যালঘুদের ইমাম ভাতা দেওয়া নিয়ে রাজ্যে তোষণের রাজনীতি চলছে বলে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে দেখা গিয়েছিল মা-মাটি-মানুষের সরকারকে।তবে এবার লোকসভা নির্বাচনে হিন্দুদের সমর্থন খুব একটা বেশি রাজ্যের শাসক দল না পাওয়ায় সেই হিন্দু সমাজের প্রধান পুরোহিতদের দিকে নজর দিতে শুরু করল তৃণমূল।

জানা যায়, শনিবার কলকাতার শিশির মঞ্চে রাজ্যের পুরোহিত সমাজ একত্রিত হয়েছিল। আর এই এই সভাতেই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্টের সঙ্গে পুরোহিত সমাজের মোট ১৭টি সংগঠন মিশে গেল। যেখানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, এদিন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বক্তব্যে পুরোহিতদের বিভিন্ন সমস্যা ও দাবিদাওয়াকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনার আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধেও সরব হন। তিনি বলেন, “বিজেপি দলটা ধর্ম নিয়ে সুড়সুড়ি দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। হিন্দুত্বের নাম করে সর্বত্র সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়াচ্ছে। আঞ্চলিক ও ব্লক স্তরে এই দলটি একই কাজ করছে। যা নিয়ে আমাদের প্রত্যেক঩কে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে।”

আর এরপরই রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পুরোহিতদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এর আগেও কলকাতার রানি রাসমণি রোডে পুরোহিতদের বিশাল জমায়েত হয়েছিল। আমরা চাই, আগামী দিনে শহিদ মিনার ময়দানে সমগ্র পুরোহিত সমাজকে নিয়ে বড় ধরনের সমাবেশ করতে। যা ইতিহাস তৈরি করবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়, এদিন পুরোহিতদের এই সম্মেলন মঞ্চ থেকে হিন্দু সমাজের প্রধানদের খুশি করার জন্য একটি ঘোষণাও করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, পুজোর মরশুম কেটে গেলে নভেম্বর মাসের প্রথমে তিনি রাজ্য সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্ট্রের কর্তাদের সঙ্গে পুরোহিত সমাজের নানা সমস্যা নিয়ে আলাপ‑আলোচনায় বসবেন। আর সেখানেই একটি গাইডলাইন তৈরি করে পুরোহিতদের বিভিন্ন সমস্যার প্রতিকারের বিষয়ে নজর দেবেন।

রাজীববাবু বলেন, “আগামীদিনে পুরোহিতদের স্বাস্থ্য পরিষেবা, ভাতার বিষয়গুলি নিয়ে কতখানি কী করা যায়, তা রাজ্য সরকার গুরুত্ব দিয়ে দেখবে। সরকার পুরোহিতদের পাশে রয়েছে। তার জন্য যা যা করণীয়, তা করা হবে। বিজেপি ধর্ম নিয়ে সঙ্কীর্ণ রাজনীতি করছে। যা মানুষের কোনও কাজে লাগছে না। বরং মানুষে মানুষে বিভেদ বাড়ছে। এতে পুরোহিত সমাজের কোনও উপকার হবে না।”

অন্যদিকে এদিনের এই সভায় সনাতন বাহ্মণ ট্রাস্টের কর্মকর্তারা তাদের একগুচ্ছ দাবিদাওয়ার কথা তুলে ধরেন। যেখানে প্রবীণ পুরোহিতদের জন্য মাসিক ভাতা প্রদান, জেলায় জেলায় সংস্কৃত কলেজ নির্মাণ, গৃহহীন পুরোহিতদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করা, পুরোহিতদের পরিচয়পত্র প্রদান ইত্যাদি রয়েছে।

সব মিলিয়ে এবার রাজ্যের আঠারোটি পুরোহিতের সংগঠনকে মিশিয়ে তা নিজেদের দিকে নিয়ে আসতে একদিকে যেমন তাদের দাবি-দাওয়া শোনা, ঠিক তেমনই অপরদিকে বিজেপিকে কুপোকাত করতে অভিনব পন্থা তৃণমূলের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!