এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > রাজ্যের সব পুরো-নিয়োগ এক ছাতার তলায়, বাড়ছে জল্পনা – উঠছে প্রশ্ন

রাজ্যের সব পুরো-নিয়োগ এক ছাতার তলায়, বাড়ছে জল্পনা – উঠছে প্রশ্ন

স্কুল সার্ভিস কমিশন, কলেজ সার্ভিস কমিশনের মত রাজ্যের সমস্ত পুরসভা, উন্নয়ন সংস্থা, শিল্পতালুক সংস্থার কর্মী নিয়োগকে পশ্চিমবঙ্গ মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের আওতায় আনার উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। বিধানসভার চলতি অধিবেশনেই এই আইন পাশ করানোর তোড়জোড় চলছে। প্রস্তাবিত বিল বণ্টনের কাজও শুরু হয়েছে। এই আইন বলবৎ হওয়ার পর রাজ্যের সাতটি কর্পোরেশন, ১১৫টি পুরসভা, ১৮টি উন্নয়ন সংস্থা, তিনটি নোটিফায়েড এরিয়া এবং ভ্যালুয়েশন বোর্ডের মতো পুর দপ্তরের অধীনস্থ যাবতীয় সংস্থার নিয়োগের বিষয়টি কেন্দ্রীয়ভাবেই দেখভাল করবে ওই কমিশন।

দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল স্থানীয়ভাবে পুরসভা বা উন্নয়ন সংস্থাগুলিতে নিয়োগের সময় ব্যাপক হারে স্বজনপোষণ হয়। যদিও সরকারপক্ষের তরফে দাবি করা হচ্ছে আর্থিক শৃঙ্খলার পাশাপাশি প্রশাসনিক স্বচ্ছতা রক্ষাই এর উদ্দেশ্য তবুও কিছু প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জনগণের মনে। যেমন শিক্ষক, পুলিস বা অন্যান্য কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কমিশনগুলি বানিয়ে শুধুই ভূরি ভূরি দুর্নীতির অভিযোগ উঠে হয়েছে একের পর এক মামলা। এই নবগঠিত কমিশনের যে তাই করবে না সে কথা কে জোর দিয়ে বলতে পারে? তবে সরকারি সূত্রের খবর, বিভিন্ন পুরসভা ও উন্নয়ন সংস্থা আর্থিক শৃঙ্খলার দিকে খেয়াল না রেখে, পুরদপ্তরের সতর্কতাকে উপেক্ষা করে শুধুমাত্র রাজনৈতিক দাদাদের সুবিধার্থে দেদার স্বজনপোষণ করে গেছে। তারই শাস্তিস্বরূপ এই বিল।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

কারা আসছে এই বিলের আওতায়? জানা যাচ্ছে এতদিন কলকাতা পুরসভা শিলিগুড়ি সহ বাকি কর্পোরেশনগুলির নিয়োগ হত মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের দ্বারা। তবে এবার রাজ্যের বাকি ১১৫টি সাধারণ পুরসভা, তিনটি নোটিফায়েড এরিয়া অথরিটি, তিনটি শিল্পতালুক এলাকা এবং ১৮টি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি তথা উন্নয়ন সংস্থা, ভ্যালুয়েশন বোর্ড, পুর দপ্তরের বাকি কিছু ছোটখাট সংস্থা সবাই আসছে এই নবগঠিত কমিশনের অধীনে।

প্রস্তাবিত বিলে বলা হয়েছে কমিশনের সর্বোচ্চ চার সদস্যের মধ্যে একজন হবেন চেয়ারম্যান। বাকিরা হবেন কমিশনের সদস্য। তিনজন সদস্যের মধ্যে একজনকে রাজ্য অনগ্রসর কল্যাণ দপ্তরের আধিকারিক হতে হবে। চেয়ারম্যানের জন্য অন্তত ২০ এবং সদস্যদের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ১৫ বছর রাজ্য সরকারের গ্রুপ এ অফিসার পদে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এই পদ্গুলির মেয়াদকাল ৫ বছর। তবে বয়স ৬৫ হয়ে গেলে ৫ বছরের আগেই তাঁদের পদ ছাড়তে হবে

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!