এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুরনো কর্মীদের নিয়ে নয়া উদ্যোগ তৃণমূলের, জেনে নিন!

পুরনো কর্মীদের নিয়ে নয়া উদ্যোগ তৃণমূলের, জেনে নিন!

তৃণমূলের সম্পদ তাদের পুরনো কর্মীরা। বিগত বাম সরকারের আমলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে জেলায় জেলায় যে সমস্ত তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আন্দোলন করেছিলেন, ক্ষমতায় আসার পর তারা ব্রাত্য থেকে গেছেন। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, অন্য দল থেকে আসা নেতাকর্মীদের ভিড়ে তৃণমূলের পুরনো কর্মীরা দলে কার্যত কোণঠাসা। এমনকি খোদ শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে এই ব্যাপারে বারবার অনুযোগের কথা জানানো হলেও, কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

যার জেরে অভিমান ও ক্ষোভে সেই পুরনো কর্মীরা বসে যেতে শুরু করেছিলেন। তবে লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের দায়িত্ব নেওয়ার পর অনুভব করেছিলেন যে, তৃণমূলের সব থেকে বড় হারের কারণ তাদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। পুরাতন এবং নতুন কর্মীদের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব চলছে, তাকে মেটাতে পারলে এবং দলের শৃঙ্খলা আনতে পারলেই দলের জয়লাভ সম্ভব। আর সেই ব্যাপারটি অনুধাবন করেই “বাংলার গর্ব মমতা” নামে কর্মসূচিতে একটি অধ্যায় রাখা হয়েছিল সেই পুরনো কর্মীদের জন্য।

যেখানে রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের পুরনো কর্মীদের নিয়ে আলোচনা শিবির আয়োজনের কথা জানানো হয়েছিল। আর এসবকিছুর মূলে যে প্রশান্ত কিশোরের মাস্টারপ্ল্যান রয়েছে, তা বুঝতে বাকি ছিল না কারোরই। সূত্রের খবর, আগামী 15 মার্চ তৃণমূলের সমস্ত পুরনো কর্মীদের নিয়ে স্বীকৃতি সম্মেলন করা হবে। যেখানে কমপক্ষে 10 হাজারের বেশি পুরনো কর্মীদের সম্মান জানিয়ে পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঘাসফুল শিবির। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের সক্রিয় এবং নিষ্ক্রিয় থাকা পুরনো কর্মীদের তালিকা তৈরি করে প্রত্যেকটি বিধানসভার বিধায়ক এবং সংশ্লিষ্ট নেতাদের কাছে তা পৌঁছে দিয়েছে প্রশান্ত কিশোরের টিম।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সেই তালিকা মোতাবেক রাজ্যের 294 টি বিধানসভা কেন্দ্রে যেখানে যেখানে তৃণমূল বিধায়ক রয়েছেন এবং যেখানে বিধায়ক নেই, সেখানে সংশ্লিষ্ট নেতারা সেই সমস্ত কর্মীদের ফোন করে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরনো কর্মীরা এতদিন মান-অভিমানে দল থেকে অনেকটাই দূরে সরে গিয়েছিলেন। তবে বর্তমানে বিজেপির প্রভাবে তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ মানুষের মন থেকে সরে যাওয়ায়, সেই পুরনো কর্মীরাই সুদিন ফিরিয়ে আনতে পারেন, তা অনুধাবন করেছেন প্রশান্ত কিশোর।

আর তাই প্রত্যেকটি বিধানসভা কেন্দ্রে সেই পুরনো কর্মীদের স্বীকৃতি জানাতেই এই উদ্যোগ নিলেন তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা বলে মনে করছে একাংশ। এদিন এই প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সবসময়ই দলের পুরোনো কর্মীদের গুরুত্ব দেন। তবে আগামী 15 মার্চ স্বীকৃতি সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিটি বিধানসভাতে দুর্দিনের পুরনো কর্মীদের বিশেষ সম্মান জানানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আমাদের জেলায় প্রতিটি বিধানসভায় যাতে সুষ্ঠুভাবে এই কর্মসূচি সফল হয়, সেই ব্যাপারেও সকলকে বলা হয়েছে‌। আমার বিধানসভায় কর্মীদের যে নামের তালিকা এসেছে, তাদের সবাইকে আমি নিজে ফোন করে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তারা সকলেই আসবেন বলেছেন। এটা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই আমাদের দলের একটা অভিনব প্রয়াস।” তবে তৃণমূলের তরফে এখন পুরনো কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হলেও, সময়ের থেকে তা অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে বলে মনে করছে অনেকে। তবে দল ও নেত্রী পাগল তৃণমূলের পুরাতন কর্মীরা এখন এই স্বীকৃতি সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কতটা উজ্জীবিত হন, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!