এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নতুন এক পুরসভাতে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রভাব, আতঙ্ক বাড়ছে এলাকাবাসীর

নতুন এক পুরসভাতে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রভাব, আতঙ্ক বাড়ছে এলাকাবাসীর

শহর কলকাতায় ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত নিয়ে বেশ কিছুদিন আগেই শাসক বনাম বিরোধীর তরজায় সরগরম হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। তবে এবার আর কলকাতা নয়, চন্দননগরে সেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়াতেই পুরসভার বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলছেন অনেকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত দুর্গাপুজোর সময় থেকেই এই চন্দননগর কর্পোরেশনের 5,6,11,12, 25 26 নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু এলাকায় জ্বরের প্রকোপ বাড়তে দেখা যায়। আর সেখানে সব থেকে বেশি এই জ্বরে আক্রান্ত হন 25 এবং 26 নম্বর ওয়ার্ডের গোন্দলপাড়ার শ্রমিক মহল্লার একাংশ বাসিন্দারা।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চন্দননগর হাসপাতালে মোট 6 জন ব্যক্তি ভর্তি রয়েছেন। আর এই ভাবে দিনের পর দিন এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে থাকায় পুরসভার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, বিগত পাঁচ মাস ধরে জুটমিল বন্ধ থাকায় এই শ্রমিক মহল্লায় আবর্জনা পরিষ্কারের দিকে কোনো নজরই নেই পুরসভার। আর যার জেরে সেই নোংরা আবর্জনা থেকেই ছড়াচ্ছে রোগ। এদিকে বাসিন্দাদের ক্ষোভকে প্রশমন করতে গত বুধবার বিকেলে পুরসভা ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা গোটা এলাকা পরিদর্শন করেছে।

তবে কেন কাজে এতো ঢিলেমি এদিন এই প্রসঙ্গে শিবপুর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তোপ দেগে 25 নম্বরের আর কারো পূর্বতন কাউন্সিলার ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজেশ জয়সওয়াল বলেন, “আমি বারবার সতর্ক করার পরও ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য পুর কর্তৃপক্ষের তরপে ব্লিচিং বা মশা মারার তেল ছেটানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি‌। এলাকার মানুষ খুবই আতঙ্কে রয়েছেন।”

তবে বিরোধীদের এই সমস্ত দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডেই যে বিশেষ টিম কাজ করছে তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন চন্দননগর কর্পোরেশনের কমিশনার স্বপন কুণ্ডু।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

অন্যদিকে গোন্দলপাড়ার এই বিষয়টি নজরে আসার সাথে সাথে স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশেষ দল এলাকা পরিদর্শন করেছে বলে জানান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যাই বলা হোক না কেন ডেঙ্গু মোকাবিলায় যদি আরও একটু আগে ব্যবস্থা নেওয়া হতো তবে এতটা ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না বলেই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!