এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুরসভা নির্বাচনের সন্ত্রাসের আশঙ্কায় এবার নির্বাচন কমিশনের শরণাপন্ন বামেরা

পুরসভা নির্বাচনের সন্ত্রাসের আশঙ্কায় এবার নির্বাচন কমিশনের শরণাপন্ন বামেরা


আগামী দিনের পুরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে সাজে সাজো রব রাজ্যের রাজনৈতিক শিবিরগুলির অন্দরে। ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসেছে আগেই। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে সম্ভাব্য পুরসভা নির্বাচনের দিনের তালিকা দিয়ে এসেছে বলে জানা গেছে। রাজনৈতিক দিক থেকে বলা যায়, গত লোকসভা নির্বাচনের পর এবারের পুরসভা নির্বাচন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে।

রাজনৈতিক মহলের দাবি, এই পুরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একাধারে যেরকম শাসক দল তাদের অস্তিত্ব কায়েম রাখার চেষ্টা করবে, সেরকম অন্যদিকে বিরোধী দল বিজেপিও লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল আরেকবার পশ্চিমবঙ্গের বুকে বাড়িয়ে নেবার চেষ্টা করবে। তবে উল্লেখযোগ্যভাবে এদিন নির্বাচন কমিশন এর অফিসে দেখা করতে গেলেন বাম শিবিরের অধিকর্তারা। এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস এর সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছলেন নির্বাচন কমিশনের অফিসে বামফ্রন্টের প্রতিনিধিদল।

সূত্রের খবর, সামনেই দোল উৎসব। আর তারপরেই বহুল প্রতীক্ষিত পশ্চিমবঙ্গের পুরসভা নির্বাচন হতে চলেছে বাংলা জুড়ে। জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে দোল উৎসব মেটার সাথে সাথেই পুরসভার নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। আর সেই সূত্রেই এদিন বাম প্রতিনিধিরা নির্বাচন কমিশনারের সাথে দেখা করে একপ্রস্থ নির্বাচন নিয়ে দাবি রেখে আসেন। জানা গেছে বাম প্রতিনিধিদল রাজ্যের প্রতিটি পুরসভার ভোট একই দিনে করার পরিপ্রেক্ষিতে দাবি জানিয়েছে। শুধু তাই নয়, তাঁরা পুর নির্বাচনের প্রতিটি বুথে ওয়েবক্যাম লাগানোর আবেদন রেখেছে নির্বাচন কমিশনারের কাছে।

সূত্রের খবর, এদিন নির্বাচন কমিশনের অফিসে হাজির হন সিপিএমের শমীক লাহিড়ী, পলাশ দাস, কল্লোল মজুমদার ও সুখেন্দু পানিগ্রাহী। অন্যদিকে সিপিআইএম এর প্রবীর দেব ও গৌতম রায় ছিলেন এই প্রতিনিধি দলে। ছিলেন আরেক বাম গোষ্ঠী আরএসপির সুভাষ নস্কর ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের জীবন সাহা। এদিন তাঁরা সকলেই নির্বাচন কমিশনের অফিসে গিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ জানিয়ে আসে। এদিন বাম প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানায়, শাসক দল একেক এলাকায় দুষ্কৃতী বাহিনী দিয়ে ভোট লুট করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেই ঘটনাকে আটকানোর জন্যই সমস্ত পুরসভা নির্বাচন একই দিনে করার দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। অন্যদিকে বরাবরের মতো এদিন অন্যান্য বিরোধীদলের ন্যায় পুলিশের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ আনেন বাম নেতারা। তাঁরা জানান, পুলিশ প্রকারান্তরে সরকারের দাসে পরিণত হয়েছে। তাই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকে প্রার্থী, রাজনৈতিক কর্মী এবং পোলিং এজেন্টের যথাযথ নিরাপত্তার দাবী জানান তাঁরা। এর সাথে প্রতিটি বুথে যাতে ওয়েবক্যাম লাগে সেদিকে নির্বাচন কমিশনের নজর ঘোরান বাম প্রতিনিধিরা।

এবং ভোট গণনার সময় শাসক দল যে কারচুপি করে তা আটকানোর দাবি জানায় এদিন বাম প্রতিনিধিদল। এছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সরকারি জায়গায় কেন্দ্রীয় শাসক দল এবং রাজ্য শাসকদলের যেসব হোডিং রয়েছে, সেগুলি খুলে দেবার প্রস্তাব জানিয়ে এসেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে। সূত্রের খবর আগামী 2 মার্চ আসন বন্টন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দলীয় বৈঠকে বসতে চলেছে বাম ও কংগ্রেস শিবির। পুরসভার নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে জোর তৎপরতা দেখা গিয়েছে।

যদিও এখনো পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে পুরসভা নির্বাচনের জন্য কোন নির্দিষ্ট দিন ধার্য করা হয়নি। তবে পুরসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ অনুমান করেই এবার রাজনৈতিক লড়াইয়ের রূপরেখা সাজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বিজেপি, তৃণমূল সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরসভার নির্বাচনের মধ্য দিয়েই এবার রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের সংগঠনের জল মেপে নিতে পারবে। যে কারণে কখনো বিজেপি নেতা, কখনো তৃণমূল নেত্রী নিজেদের দলকে চাঙ্গা করতে উঠে পড়ে লেগেছেন। আপাতত পুরসভার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক শিবিরগুলির মধ্যে লড়াই কিরকম জমে ওঠে, সেদিকে লক্ষ্য রাখবে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!