এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > পুরসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ বিজেপি নেতার

পুরসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ বিজেপি নেতার

পুরসভা নির্বাচনের আর খুব বেশি দেরী নেই বলে মনে করা হচ্ছে। আর এবার পুরভোটের প্রাক্কালে সম্প্রতি রাজ্যের সমস্ত চেকপোস্ট বন্ধের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন চেকপোষ্টে কৃষিজাত পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘকালীন সময় ধরে। ফলে প্রচুর পণ্য নষ্ট হয়। সে কারণেই সমাধান হিসেবে আগামী পয়লা এপ্রিল থেকে রাজ্যের 109 টি চেকপোস্ট তুলে নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে সূত্রের খবর, চেকপোষ্টে কর্মরত কর্মীদের কাছাকাছি কিষাণ মান্ডিতে নিয়োগ করা হবে।

যদিও জানা গেছে, চেকপোস্ট তুলে দেওয়ার ফলে রাজ্যে বছরে প্রায় 200 কোটি টাকার রাজস্ব আয় বাধাপ্রাপ্ত হবে। কিন্তু তা সত্বেও চেকপোস্ট বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে চলেছে। অন্যদিকে চেকপোস্ট বন্ধ নিয়ে মুখ খুলেছেন বিরোধী শিবিরের রাজনৈতিক নেতারা। রাজনৈতিক মহলে রাজ্য সরকারের এহেন সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে সমালোচনা। বিরোধী শিবিরের দাবি, পুরসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আরো একবার জনদরদি ঘোষণার মাধ্যমে তাঁর দলের দিকে রাজনৈতিক হাওয়া টানতে চাইছেন।

রাজ্যবাসীর বিভিন্ন বিষয় থেকে নজর ঘোরানোর জন্যই চেকপোস্ট বন্ধের ঘোষণা বলে রীতিমতন তৃণমূল নেত্রীকে কটাক্ষ করলেন এদিন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। বুধবার বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক রহুল সিনহা পুর নির্বাচনের প্রাক্কালে মেদিনীপুর শহরে পৌঁছান একটি দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে। সেখানেই বৈঠক শেষে একটি চা চক্রে যোগ দেন তিনি এবং একের পর এক তীব্র কটাক্ষ করেন তৃণমূল নেত্রীর উদ্দেশ্যে। পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রীর চেকপোস্ট বন্ধের সিদ্ধান্তকে তিনি ‘চটকদারি সিদ্ধান্ত’ বলে কটাক্ষ করেছেন।

অন্যদিকে, সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শুরু হয়েছে ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচি। এই কর্মসূচী নিয়ে এমনিতেই বিতর্ক চলছে। এদিন রাহুল সিনহা তীব্র ভাষায় এই প্রকল্প নিয়ে কটাক্ষ করেন। এদিন চাঁচাছোলা ভাষায় রাহুল সিনহা প্রশ্ন তুলেছেন, “প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা ছাড়া আর কী গর্বের কাজ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?” অন্যদিকে বিজেপি শিবিরের দাবি, গত পাঁচ বছরে রাজ্যের যাবতীয় ভুলভ্রান্তি মেরামতির জন্যই পুরসভা নির্বাচনের আগে এহেন জনদরদি ঘোষণা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে পৌরসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে রাজ্যের বিরোধী শিবিরগুলি থেকে নির্ধারিত কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের শাসক শিবিরকে পরাস্ত করতে তাঁদের তরফ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। পুরসভা নির্বাচনের এবার বিজেপির মূল মন্ত্র তৃণমূল শিবিরের বিরুদ্ধে প্রচার। আর সেই প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে তাঁরা স্থানীয় ইস্যুকেই তুলে ধরবে বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, তৃণমূল সরকারের বিভিন্ন দুর্বলতা নিয়েও বিজেপি শিবির প্রবলভাবে প্রচার চালাবে পুরসভার নির্বাচনের আগে বলে খবর।

অন্যদিকে জোর রাজনৈতিক গুঞ্জন, এবারের পৌরসভা নির্বাচনে প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কেই রাজনৈতিক মঞ্চের সামনে রেখে বিজেপি নির্বাচনী লড়াইয়ে নামবে। একইভাবে এদিন রাহুল সিনহার গলাতেও এই সুর শোনা গেল। আপাতত পৌরসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে রাজ্যের রাজনৈতিক শিবিরগুলির অন্দরে ভোটের ময়দানে নামার আগের প্রস্তুতি চরমে। একে অপরকে টেক্কা দিতে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক কূটকৌশল তৈরি করা চলছে বলে জানা গেছে।

তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে পৌরসভা নির্বাচন হওয়ায় আগামী দিনের লড়াইয়ের বেশ কিছুটা আভাস পাওয়া যাবে। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, বিজেপির পক্ষ থেকে যদি তৃণমূলকে পৌরসভা নির্বাচনে জোরদার ধাক্কা দেওয়া হয়, তাহলে আগামী দিনে আত্মবিশ্বাস অনেকটাই শক্তপোক্ত হবে তাঁদের। আপাতত পুরসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের ওপর নজর রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!