এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কলকাতায় মেয়র মুখ কে? মুকুল-দিলীপের নেতৃত্বে বড়সড় সিদ্ধান্ত গেরুয়া শিবিরের

কলকাতায় মেয়র মুখ কে? মুকুল-দিলীপের নেতৃত্বে বড়সড় সিদ্ধান্ত গেরুয়া শিবিরের

আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই শুরু হতে চলেছে রাজ্যজুড়ে পুরসভা নির্বাচন। আর তারপরেই শুরু হবে মসনদ দখলের লড়াই বিধানসভা নির্বাচনে। আপাতত বিধানসভা নির্বাচনকে ফাইনাল ম্যাচ ধরে পুরসভা নির্বাচনকে সেমিফাইনাল হিসেবেই দেখছে রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলি। ইতিমধ্যে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল নির্বাচনী রণকৌশল তৈরি করতে রাজনৈতিক ময়দানে নেমে পড়েছে। লোকসভা নির্বাচনের পর এই মুহূর্তে শাসকদলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হল এই পুরসভা নির্বাচন। অন্যদিকে, বিজেপিও পুরনির্বাচনে রাজ্যের দখল পেতে জোরদার প্রস্তুতি শুরু করেছে।

অন্যদিকে বিজেপিও পিছিয়ে নেই। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে রাজ্য বিজেপি দলের পক্ষ থেকে পুরসভা নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বিজেপি সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে রাজ্যে পুরনির্বাচনকে গুরুত্ব সহকারে দেখছে বিজেপি। কারণ, কলকাতার বুকে যদি তৃণমূলকে বেশ কিছুটা ধাক্কা দেওয়া যায় তাহলে রাজ্যে তার দীর্ঘকালীন প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে বিজেপি। অন্যদিকে, পুরসভা নির্বাচনে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সম্পূর্ণ ভরসা রেখেছে মুকুল রায়ের ওপর বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ খবর, পুরসভা নির্বাচনে মুকুল রায়কেই পুরোধা করা হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে।

বৃহস্পতিবার বিজেপির পক্ষ থেকে পুরসভা নির্বাচনের জন্য পরিচালন কমিটির ঘোষণা করা হয়েছে। এই কমিটিতে মোট 57 জন সদস্য রয়েছেন বলে জানা গেছে। এবং এই কমিটির আহ্বায়ক রুপে রাখা হয়েছে মুকুল রায়কে। এছাড়া এই কমিটিতে রয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় সম্পাদক রহুল সিনহা, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চ্যাটার্জী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কিশোর বর্মন ও অমিতাভ চক্রবর্তী, রাজ্যের দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং দেবশ্রী চৌধুরী সহ 18 জন সংসদ এই কমিটিতে আছেন। এছাড়াও 13 জন এমএলএ, সব মিলিয়ে মোট 57 জনকে নিয়ে এই পরিচালন কমিটি গঠন হয়ছে বলে জানা গেছে।

তবে বিজেপির পক্ষ থেকে এখনও মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে কারো নাম জানানো হয়নি। তবে সূত্রের খবর, প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কেই এবারের নির্বাচনে বিজেপির পক্ষ থেকে মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে রেখে নির্বাচন লড়া হতে পারে। তবে সে ব্যাপারে এখনো কোনো কিছু নিশ্চিত হয়নি। কারণ ইতিমধ্যে রাজনৈতিক গুঞ্জন শুরু হয়েছে, শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি শিবির ছাড়তে পারেন। তাই বলা যায়, এই মুহূর্তে বিজেপির পক্ষে কোনো মেয়র পদপ্রার্থী নেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে বিজেপির পক্ষ থেকে বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা পুরভোটে অংশগ্রহণ করতে পারেন বলে খবর। তবে এই নিয়েও দলের অন্দরে মুকুল রায়ের গোষ্ঠীর সঙ্গে মতানৈক্য সৃষ্টি হয়েছে। মুকুল রায়ের দাবি, পুরসভা নির্বাচনে প্রার্থী সব সময় পরিচিত মুখ হলেই জনগণ তার ওপর ভরসা করতে পারবে। অন্যদিকে, বিজেপির অন্য শিবিরের দাবি, গত লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বেশকিছু অভিনেতা-অভিনেত্রী, প্রাক্তন আইএএস, আইপিএস এবং বিশিষ্ট চিকিৎসকরা। তাঁদেরকেই পুরনির্বাচনের প্রার্থী করার দাবিতে মুখর বিজেপির একাংশ।

এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘আমরা এ রাজ্যে সরকার, কলকাতা পুরসভা— কোথাওই ক্ষমতায় নেই ৷ তাই কলকাতায় আমাদের মেয়র পদপ্রার্থীর নাম পুরভোটের আগে ঘোষণা করা হবে না৷ কাউকে মুখ করেও আমরা এই ভোটে যাব না৷’ লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ভালো ফল করার পর বিজেপির লক্ষ্য আগামী নির্বাচনগুলিতে জয়ের পথে এগিয়ে চলা। সে দিক থেকে দেখতে গেলে খুব স্বাভাবিকভাবেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে আগামীদিনের পুরসভা নির্বাচন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ রাজ্যের শাসক ও বিরোধী দলগুলোর কাছে।

রাজ্যের দরজায় কড়া নাড়ছে এই মুহূর্তে পুরসভা নির্বাচন। আর সেই নিয়েই পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক শিবিরে সাজো সাজো রব। নির্বাচনী রণাঙ্গনে নামার জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে পুরসভা নির্বাচন হওয়ায় আগামী দিনের রাজনৈতিক প্রতিচ্ছবির কিছুটা আভাস পাওয়া যেতে পারে। পুরসভা নির্বাচনে সেই প্রতিচ্ছবি যাতে নিজেদের হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে রাজ্যের প্রতিটি রাজনৈতিক দল এই মুহূর্তে চূড়ান্ত ব্যস্ত। সম্পূর্ণ পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!