পুরসভা নির্বাচনের দিন ঘোষনার আগেই দেওয়াল লিখন শুরু বিজেপির পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া রাজ্য February 25, 2020 পশ্চিমবঙ্গে দোরগোড়ায় হাজির হয়েছে পুরসভা নির্বাচন। আর হাতে গোনা মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরেই একে অপরের সামনে রাজনৈতিক যুদ্ধে নামতে চলেছে রাজ্যের যুযুধান রাজনৈতিক শিবিরগুলি। আপাতত পুরসভার নির্বাচনের দিকে মনোনিবেশ করে রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের রণকৌশল তৈরি করে নিচ্ছে। অন্যদিকে রাজ্য বিজেপির শিবিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই পুরসভা নির্বাচন তাঁদের কাছে ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সূত্রের খবর, এই পুরনির্বাচনে সম্পূর্ণ রাজ্যের দখল পেতেই জোরদার প্রস্তুতি শুরু করেছে রাজ্য বিজেপি শিবির। আর মাত্র কিছুদিনের অপেক্ষা। তারপরেই সম্পূর্ণরূপে দিনক্ষণ স্থির হয়ে যাবে পুরসভা নির্বাচনের। তবে আগে থেকেই এই নির্বাচনের প্রস্তুতিতে মনোনিবেশ করেছে রাজ্য বিজেপি শিবির। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এবার বাঁকুড়া শহরে বিজেপির পক্ষ থেকে প্রার্থীর নাম ছাড়াই দেওয়াল লিখন শুরু হয়েছে। তবে জানা গেছে, পুরসভা নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা স্থির করতে ইতিমধ্যে রাজ্য বিজেপি নেতারা বুথ লেভেল কর্মীদের সঙ্গে প্রাথমিক বৈঠক করে নিয়েছেন। তবে এখনো পর্যন্ত প্রার্থীদের নামের তালিকায় কেন্দ্রীয় সীলমোহর পড়েনি, তার জন্যই প্রার্থীদের নাম সামনে আসছেনা। অন্যদিকে, এদিন বাঁকুড়া বিজেপি শিবিরের বৈঠকের পর সেখানকার সংসদ সদস্য সুভাষ সরকার জানিয়েছেন, ‘পুরসভা নির্বাচনের জন্য দলের তরফে প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়েছে। আমরা প্রতিটি বুথের কর্মীদের নিয়ে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা নিয়ে আলোচনা করেছি। আগে প্রার্থী খুঁজতে আমাদের হিমশিম খেতে হতো। তবে এখন সম্পূর্ণ উল্টো। প্রতিটি ওয়ার্ডে ১৫থেকে ২০ জন করে প্রার্থী হতে চেয়ে আবেদন করেছেন। তার মধ্যথেকেই আমরা যোগ্য ব্যক্তিদের প্রার্থী হিসেবে চিহ্নিত করব। তবে অপেক্ষাকৃত নতুন ও গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে এমন আবেদনকারীদেরই আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।’ এদিকে সূত্রের খবর, বাঁকুড়া পুরসভায় আসন সংখ্যা 24 টি। আর এই 24 টি আসনের দখল নেওয়ার জন্য রীতিমত কোমর বেঁধে রাজনৈতিক ময়দানে নেমেছে বিজেপি শিবির। এ প্রসঙ্গে সুভাষ সরকার আরও জানিয়েছেন, ‘দল যাঁকে প্রার্থী করবে কর্মীরা তাঁর জন্যই কাজ করবেন। আমরা এক নয়, একাধিক চেয়ারম্যান উপযোগী প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা নিচ্ছি। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলই নয়, আমাদের লক্ষ্য ২৪-০ করা।’ উল্লেখ্য, 2015 সালে পুরসভার নির্বাচনে বাঁকুড়ার দুটি আসন দখল করে নেয় বিজেপি। তারপর কত লোকসভা নির্বাচনে অর্থাৎ 2019 সালে মোট 23 টি ওয়ার্ড থেকে বিজেপি লিড পায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এবার সামনের পুরসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ধরে রাখার জন্য বিভিন্ন রকম রাজনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে বিজেপি শিবির। এদিন বিজেপি শিবির থেকে জানানো হয়, বাঁকুড়া শহরের পুরসভা নির্বাচনে লোকসভার ফলাফল ধরে রাখার জন্য ইতিমধ্যে শহরের দুটি মন্ডলের বুথ কমিটি, শক্তিকেন্দ্র ও মণ্ডল কমিটির সদস্যদের নিয়ে বিজেপি নেতারা বৈঠক করেছেন। সেখানে প্রত্যেককে নির্দিষ্টভাবে নির্দেশ দেওয়া হয় কিভাবে পুরসভার নির্বাচনে দলকে সংগঠিতভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। অন্যদিকে, এদিন কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয় এলাকায় প্রত্যেকের বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষের অভিযোগ জানতে হবে এবং এলাকার মানুষদের অভাব অভিযোগ নথিবদ্ধ করে রাখতে হবে। রাজনৈতিকভাবে পুরসভার নির্বাচনে দখল পাওয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপের পাশাপাশি এদিন থেকেই বাঁকুড়া শহরে প্রার্থীর নাম বাদ দিয়ে দেয়াল লেখার কাজ শুরু হয়ে গেছে বিজেপির পক্ষ থেকে। এদিন সকালে দেখা যায়, বাঁকুড়া পুরসভার 16 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নীলাদ্রি এলাকায় বেশ কয়েকটি দেওয়ালে বিজেপির প্রতীক এঁকে দেওয়াল লিখনের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। দেওয়াল লিখনে দেখা যায়, বিজেপি মূলত দাবি জানিয়েছে দুর্নীতি মুক্ত স্বচ্ছ পুরবোর্ড গঠনের দিকে। এদিন বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আর কিছুদিনের মধ্যেই বাঁকুড়া শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে দেওয়াল লিখনের কাজ শুরু করে দেবে তাঁরা। ইতিমধ্যে পুরসভার নির্বাচনকে ঘিরে সাজো সাজো রব রাজনৈতিক শিবিরগুলির মধ্যে। রাজনৈতিক লড়াইয়ে নামতে প্রতিটি দল নিজেদের মতন করেই তৈরি হচ্ছে। অন্যদিকে, বিজেপি শিবির বিধানসভা নির্বাচনের আগে হওয়া পুরসভার নির্বাচনে নামার জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে পুরসভা নির্বাচন হওয়ায় আগামী দিনের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের ছবি বেশ কিছুটা স্পষ্ট হয়ে উঠবে। আর সেই পেক্ষাপটে যাতে নিজেদের ছবি সর্বাগ্রে থাকে সে কথা মাথায় রেখে রাজ্য বিজেপি শিবির তৎপর হয়ে উঠেছে। আপাতত সম্পূর্ণ পরিস্থিতির ওপর নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। আপনার মতামত জানান -