এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুরভোটের আগে মানুষের মন জানতে বড়সড় পদক্ষেপ, কাজে লাগানো হচ্ছে পুরকর্মীদেরই!

পুরভোটের আগে মানুষের মন জানতে বড়সড় পদক্ষেপ, কাজে লাগানো হচ্ছে পুরকর্মীদেরই!

 

মানুষের পরামর্শ নিয়েই যে মানুষের কাজ করতে হয়, তা ক্ষমতায় এসে মাঝে মধ্যেই ভুলে যায় ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা। তবে ভোট বৈতরণী পার হওয়ার আগেই সেই মানুষকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা ফুটে ওঠে সেই নেতা-নেত্রীদের গলায়। সামনেই পৌরসভা নির্বাচন। আর তার আগে এবার ডানকুনি পৌরসভার সাধারণ মানুষদের যে বিষয়ে সব থেকে বেশি অভিযোগ, সেই সাফাই নিয়ে সাধারণ মানুষদের কাছ থেকেই পরামর্শ চাইতে শুরু করল পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, গত এক বছর আগে এই ডানকুনি পৌরসভার সাফাই ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়। যেখানে পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রায় 1 কোটি 65 লাখ টাকা খরচ করে ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করা হয়। এমনকি আবর্জনা সংগ্রহের গাড়ি, সাফাই কর্মী নিয়োগ ও কম্প্যাক্টর মেশিন ব্যবহার করেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। এই পরিস্থিতিতে যত দিন গিয়েছে, ততই ডানকুনি পৌরসভা এলাকায় জঞ্জালের স্তূপ নিয়ে সাধারন মানুষের অভিযোগ জমা পড়েছে।

যার ফলে কিছুটা হলেও চাপে পড়েছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। আর তাই পুর নির্বাচনের আগে সাধারন মানুষের সেই অভিযোগের বহর কমাতে, মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই সমস্যা সমাধানের জন্য পরামর্শ চাওয়ার পদ্ধতি অবলম্বন করল পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, সুডার তরফে একটি পৃথক সমীক্ষা এবং কঠিন, তরল বজ্র পৃথকীকরণের জন্য ইতিমধ্যেই প্রচারের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। যেখানে এই সমীক্ষক দল সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের মত সংগ্রহ করে কিভাবে স্বাভাবিক অবস্থা চালু করা যায়, তার ব্যাপারে পরামর্শ নেবে। আর সাধারন মানুষের আলোচনায় যা উঠে আসবে, তার ভিত্তিতেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে খবর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে ডানকুনি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবাশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, “পৌরসভা ব্যবস্থা আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। তবুও মানুষের প্রত্যাশার শেষ নেই। আর আমাদেরও দায়িত্ব পরিষেবা দেওয়া। সেই কারণে আমরা মানুষের প্রত্যাশার খোঁজ নিতে সমীক্ষা করছি। ইতিমধ্যেই বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আশা করছি, দ্রুত এই বিষয়ে রিপোর্ট পাব। আর তারপরেই উন্নত সাফাই পরিচালন ব্যবস্থা চালু করা হবে।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের সরকার বরাবরই মানুষের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং রুপায়ন করেছে। আমরা স্থানীয় প্রশাসনগুলিতেও উন্নয়নের সেই মডেলকে অনুসরন করি। মানুষের চাহিদা জানতে ডানকুনি পৌরসভার উদ্যোগ আখেরে কার্যকরী প্রমাণ হবে। জনতার মত নিয়ে চলার পদ্ধতি অন্যত্রও দৃষ্টান্ত হবে।”

তবে তৃণমূল নেতারা এখন এই উদ্যোগ নিলেও এটা কে বিলম্বিত বোধোদয় বলেই মনে করছে একাংশ। অনেকে বলছেন, সাধারণ মানুষের প্রতি যদি তৃণমূলের এতই দরদ হবে, তাহলে কেন এই ব্যাপারে আগে তারা পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি! এখন ভোটের বৈতরণী পার হওয়ার জন্য ভোটের মুখে তারা মানুষের মতামত গ্রহণ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তবে দেরি করে হলেও তৃণমূল পরিচালিত পৌরসভার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন একাংশ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!