পুরভোটের লড়াই – সরকারি প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, শাসকদলের অসন্তোষ কি অ্যাডভ্যান্টেজ দেবে? রাজ্য November 28, 2018 কলকাতা পুরসভার১১৭ নম্বর ওয়ার্ডে সরকারি প্রার্থী ঘোষণার পর বিজেপি আশা করছে অন্তর্কলহ অনেকটাই অ্যাডভান্টেজ দেবে তাদের। এবার কলকাতা পুসভার ১১৭নং ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে লড়বেন দীর্ঘদিনের বিজেপি নেতা সোমনাথ বন্দোপাধ্যায়। যিনি এখন দলের দক্ষিণ শহরতলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি। এর আগে ২০১৫ সালেও কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে তিনি এই ওয়ার্ডেই বিজেপি’র টিকিটে প্রার্থী হয়েছিলেন। গত পুরসভার বিজেপির ভরাডুবির মরশুমেও বেহালা (পূর্ব) বিধানসভা কেন্দ্রের অধীনে একমাত্র এই ওয়ার্ডেই গত পুরসভা নির্বাচনে বিজেপি শাসকদলকে জোর টক্কর দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছিল। বর্তমানে এলাকায় যথেষ্ট প্রভাবশালী বিজেপির এই বর্ষীয়ান নেতা। সবদিক খতিয়ে দেখে দল শেষ পর্যন্ত এই পুরনো কর্মীর উপরই ভরসা রেখেছে এই উপনির্বাচনে। প্রসঙ্গত, আগামী ১৬ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভার এই ওয়ার্ডে উপনির্বাচন এবং হাজার ১৯ ডিসেম্বর তার ফল প্রকাশ। তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। মেয়র পরিষদ সদস্য তারক সিংয়ের ছেলে অমিত সিং আসন্ন ভোটে জোড়াফুল প্রতীকে লড়বেন।ধরা হচ্ছে তিনি হবেন সোমনাথ বাবুর মূল প্রতিপক্ষ। ২০১৫ সালের পুরসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিটে এই ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছিলেন শৈলেন দাশগুপ্ত। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে তাঁর আকস্মিক মৃত্যুর পর দীর্ঘ দু’বছর ওয়ার্ডটিতে কোন কাউন্সিলার ছিলনা। সম্প্রতিবিরোধীরা এ নিয়ে মামলা দায়ের করলে নির্বাচন কমিশন তড়িঘড়ি ভোটের সিদ্ধান্ত নেয়। তৃণমূলের অভ্যন্তরে গুঞ্জন ছিল, প্রয়াত শৈলেনবাবুর স্ত্রী কল্যাণীদেবীওই আসন থেকে শাসকদলের টিকিটে লড়াই করবেন। কিন্তু অমিত সিংকে দল প্রার্থী করে দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই দাশগুপ্ত পরিবার ও স্থানীয় নেতৃত্বের মধ্যে চাপা ক্ষোভের সঞ্চার হয়। কল্যাণীদেবী নিজেও এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। অন্যদিকে, বিজেপি এই কোন্দলকে মুল অস্ত্র হিসেবে প্রয়োগ করতে বদ্ধপরিকর। সূত্রের দাবি, সম্প্রতি বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে ভোট নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা করেছেন প্রয়াত প্রাক্তন কাউন্সিলার দাশগুপ্তের স্ত্রী কল্যাণী দাশগুপ্ত। এই ওয়ার্ডে টিকেট পেলেই তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে তিনি সাফ জানিয়ে দেন। যদিও মানতে রাজি হননি দিলীপবাবু। তাঁর বক্তব্য, “এভাবে শর্ত সাপেক্ষে বিজেপি যোগ দেওয়া যায় না।”পাশাপাশি তাঁকে তৃণমূলের সঙ্গ ত্যাগ করে গেরুয়া শিবিরের হয়ে এলাকায় কাজ করার পরামর্শ দেন বিজেপি সভাপতি। তাতে অবশ্য নিমরাজি ১১৭নং ওয়ার্ডের তৃণমূল সভানেত্রী। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, বিজেপি’র দল ভাঙানোর খেলা রুখতে গত বৃহস্পতিবার রাজ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী মন্ত্রী কল্যাণীদেবীর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁকে দল না ছাড়ার পরামর্শ দেন এবং বলেন ওয়ার্ড সভাপতি হিসেবে নিজের কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা। যদিও শনিবার পর্যন্ত কল্যাণীদেবী নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত জল কোথায় গড়ায় এখন তাই দেখার। আপনার মতামত জানান -