এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > পুরোভোট নিয়ে কি ভাবছে রাজ্য? সুপ্রিম কোর্টে কি ব্যাখ্যা দিতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন

পুরোভোট নিয়ে কি ভাবছে রাজ্য? সুপ্রিম কোর্টে কি ব্যাখ্যা দিতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মার্চ মাসে করোনা ভাইরাসের আগমনের কারণে রাজ্যের অনেক মেয়াদোত্তীর্ণ পৌরসভার নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। যার ফলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সেই সমস্ত পৌরসভা পরিচালনা করার জন্য প্রশাসক বোর্ড গঠন করে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে নানা মহলে এই ব্যাপারে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। অনেকেই অভিযোগ করতে শুরু করেছিলেন, আসলে রাজ্য সরকার নিজেদের হাতে ক্ষমতা রাখবার জন্য নিজেদের লোকদের সেই পৌরসভার প্রশাসক করে দিচ্ছে। এটা নির্বাচন না করিয়ে ক্ষমতা ভোগ করার একটা কৌশল।

সাম্প্রতিককালে দ্রুত যাতে পৌরসভা ভোট করানো যায়, তার জন্য শীর্ষ আদালতে একটি মামলা করেছিলেন উত্তর কলকাতার বাসিন্দা শরদকুমার সিংহ। যেখানে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আদালতের পক্ষ থেকে একটি কমিটি পৌরসভায় মাথায় বসানোর দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কবে হবে পৌরসভার নির্বাচন? বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্থিতাবস্থার আকার নিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিতে মেয়াদোত্তীর্ণ পৌরসভাগুলোর নির্বাচন আদৌ হবে, নাকি প্রশাসক দিয়ে বোর্ড পরিচালনা করা হবে! তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। আর এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিমকোর্টে কলকাতা পৌরসভার ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে করোনা পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে ব্যাখ্যা দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 7 মে কলকাতা পৌরসভার বোর্ডের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে। আর তারপরেই পৌর আইনের 634 নম্বর ধারা অনুযায়ী রাজ্যের নগর উন্নয়ন দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রশাসকমন্ডলী গঠন করে দেওয়া হয়। মূলত মার্চ মাসে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করার পরেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও, সেই পৌরসভার নির্বাচন করা আর সম্ভব হয়নি। এখনও পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আকার নেয়নি। তাই কবে এই নির্বাচন হবে, তা কারোরই জানা নেই।

ফলে গোটা প্রক্রিয়াটি এখন সুপ্রিম কোর্টে চলে যাওয়ায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকার এই ব্যাপারে কি প্রতিক্রিয়া দেয়, তার দিকে অবশ্যই নজর থাকবে সকলের। অনেকে বলছেন, করোনা পরিস্থিতি যেহেতু স্বাভাবিক হয়নি, তাই এখন পৌরসভা ভোট নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে একদম আগামী বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গেই হতে পারে পৌরসভা নির্বাচন। তবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যদি এই যুক্তি খাড়া করা হয়, তাহলে বিরোধীরা তা কতটা মানবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে পৌরসভা নির্বাচনের পাশাপাশি ফালাকাটা বিধানসভা উপনির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তার কোনো দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি। প্রায় এক বছরের মত সময় গড়িয়ে যাচ্ছে, অথচ এই বিধানসভা কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত বিধায়কহীন অবস্থায় রয়েছে। সকলেই আশা করেছিলেন, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে হয়ত দ্রুত এই কেন্দ্রের নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে। কিন্তু ভারতবর্ষের অন্যান্য রাজ্যের বিধানসভা উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হলেও সেখানে বাংলার নাম নেই।

স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার পর গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন করা মুশকিল বলে জানানো হয়েছিল। আর তার কারণেই  ফালাকাটা  বিধানসভা  কেন্দ্র  উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি বলে খবর। আর এখানেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, শাসকদল নির্বাচন করাতে চাইছে না।  আর তাই তারা নানা টালবাহানা দিচ্ছে। যদিও বা তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে পাল্টা যুক্তি দেওয়া হচ্ছে। তাদের বক্তব্য, তৃণমূল নির্বাচনে যেতে ভয় পায়না। মানুষের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। সব মিলিয়ে কবে মেয়াদোত্তীর্ণ পৌরসভাগুলোর নির্বাচন হয়, সুপ্রিম কোর্টে এই ব্যাপারে কি ব্যাখ্যা দেয় রাজ্য সরকার, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!