প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সময় যত যাচ্ছে, ততই পুরসভার নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচন এবং উপনির্বাচনের মতনই এবারেও বিশেষজ্ঞদের নজর রয়েছে তৃণমূল ভার্সেস বিজেপির লড়াইয়ের ওপর। তবে জানা যাচ্ছে, বিজেপির প্রধান লক্ষ্য যেকোনোভাবে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে পুরভোটে টিকে থাকা। কোনভাবেই যেন বামেরা দ্বিতীয় জায়গা দখল করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই ইতিমধ্যেই বিজেপি রণকৌশল তৈরি করতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, কলকাতা জোনের নেতাদের নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি অভ্যন্তরীণ বৈঠক হয়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার সহ অন্যান্য হেভিওয়েটরা। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করেন, কলকাতাতে কিন্তু বিজেপির সংগঠন সে রকম শক্তিশালী নয়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সে কথা ভালোমতো বোঝা গেছে। কারণ কলকাতার সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রে বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছে বিজেপি প্রার্থীরা। তাই বিজেপির লক্ষ্য, তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে টিকে থাকা। কলকাতা পুরসভার ভোট পরিচালনার জন্য ইতিমধ্যেই চারটি জোন তৈরি করা হয়েছে।

এবং চারটি কমিটি তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে বলে খবর। এই কমিটির দায়িত্ব তুলে দেওয়া হচ্ছে বিজেপির বিভিন্ন নেতা-নেত্রীদের হাতে। আগামী উনিশে ডিসেম্বর কলকাতা এবং হাওড়ায় ভোটগ্রহণপর্ব চলবে। হাওড়া থেকে বালি পুরসভাকে আলাদা করা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা জমে উঠেছে। রাজ্য মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, বালি পুরসভাকে আলাদা করে দেওয়া হবে। আর তারপরেই দিলীপ ঘোষ থেকে সুকান্ত মজুমদার নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেছেন।

যদিও এ ব্যাপারে দিলীপ ঘোষ এবং সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যে ভিন্নমত উঠে এসেছে। আর তাই নিয়ে চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে। সব মিলিয়ে পুরভোটের আগে গেরুয়া শিবির কিন্তু প্রধান বিরোধী দল থাকার দিকেই এগিয়ে চলেছে। তাঁদের এই লক্ষ্য যে তৃণমুলকেই আসলে সাহায্য করবে, সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই বিশ্লেষকদের। আপাতত পুরভোটের আবহে নতুন কি কি রাজনৈতিক ঘটনা সামনে আসে, সে দিকেই নজর ওয়াকিবহাল মহলের।