এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ফের সংবাদ শিরোনামে পুরুলিয়া বিজেপি কর্মীকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ

ফের সংবাদ শিরোনামে পুরুলিয়া বিজেপি কর্মীকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ


সন্ত্রাসের ছোবল অব্যাহত পুরুলিয়ায়। নজির গড়ছে দফায় দফায় বিজেপি খুনের খবর। মে মাসের ৩০ তারিখ পুরুলিয়ার বলরামপুরে ত্রিলোচন মাহাতো নামের এক বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তার তিন দিনের মাথায় ফের খবর পাওয়া যায় ডাভা গ্রামের বিদ্যুৎ এর হাইটেনশেন লাইনের টাওয়ারে ঝুলছে বিজেপি কর্মী দুলাল দাসের মৃতদেহ। পর পর দুটি ক্ষত শুকাতে না শুকাতেই ফের পদ্মশিবির আহত হল বলরামপুর থানা এলাকার সেরেংহাতু গ্রামে বিজেপি কর্মী অপহরণের খবর প্রকাশ্যে আসায়। আসুন চোখ রাখা যাক প্রকৃত খবরে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

রাজনৈতিক সূত্রের খবর থেকে জানা গেছে, অপহরণের দিন সন্ধ্যায় বলরামপুরের ঘাটবেড়া থেকে সাইকেল চালিয়ে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলেন বিজেপি কর্মী নিরঞ্জন লায়া। সেই সময় মুখে রুমাল- কাপড় বাঁধা এক দুষ্কৃতিবাহিনী হঠাৎ করেই তাঁর পথ আটকায় এবং এবং অপহরণের চেষ্টা করে। অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন যে ওই অবস্থায় তিনি দুষ্কৃতিদের নজর এড়িয়ে নিজেকে বাঁচাতে পড়শিদের ফোন করেন। তারপর স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে জড়ো হলে দুষ্কৃতিরা পালিয়ে যায়। তবে পরে একটি গাড়িতে তিনজন নাগা জোয়ানকে দেখতে পেয়ে তাঁদের আটক করে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। টানা দেড় ঘন্টা ঘিরে রেখেছিলে এলাকাবাসীরা তাঁদের। তবে পুলিশ বহিরাগতদের এই অপহরণের অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন বলে দাবী করছে। পুরুলিয়ার নতুন পুলিশ সুপার আকাশ মাঘারিয়ার বক্তব্য,” এই ঘটনা একেবারে ভিত্তিহীন। কিছু না পেয়ে টহলরত নাগা জওয়ানদের ঘিরে রাখা হয়।” তবে এ বক্তব্য মানছেন না গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবী, নাগা জওয়ানরা যদি শুধু টহলই দিতো তাহলে তাঁদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র থাকতো। কিন্তু আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়া তাঁরা ও এলাকায় কী করছিল তা নিয়ে প্রশ্নে সরব হয়েছেন আড়শার,ফুরসাটাঁড়,মুদালী এলাকার বাসিন্দারা।

এদিকে এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলল বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী। তিনি জানান যে অপহরণের ঘটনার কথা পুলিশকে জানানো সত্ত্বেও তাঁরা কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছেন না। সেই কারণে স্থানীয়রাই বলরামপুরের গ্রামে গ্রামে রাতে পাহারাদারী শুরু করেছে। তবে এসব ঘটনা ভুঁয়ো বলে উড়িয়ে দিয়ে ‘বিজেপির ষড়যন্ত্র’ আখ্যা দিচ্ছে পুরুলিয়ার ঘাসশিবির। দলীয় জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিভাগের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো জানান যে বিজেপির অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। রাতে পুলিশ পাহারা দিলেও পুলিশকে তাঁর কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বিজেপি যে কুৎসা ষড়যন্ত্র করছে তা মানুষের বুঝতে আর বাকি নেই। একের পর এক নিষ্পাপ প্রাণ বলি হচ্ছে পুরুলিয়ায়। বিজেপিমহলের উদ্বেগ বাড়িয়ে এ সমস্যার কোনো সমাধান হচ্ছে না। হত্যার প্রতিবাদে সরব হতেও দেখা গেছে রাজ্য বিজেপিকে দফায় দফায়। তবে, পুলিশি তদন্তে এখনো কেনো অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়নি। থমথমে অবস্থায় আপাতত পুরুলিয়া।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!