এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে তৃণমূলের অবাধ যাতায়াত! বিজেপি নেতাদের আটকাতে মামলা পুলিশের! উঠছে প্রশ্ন

কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে তৃণমূলের অবাধ যাতায়াত! বিজেপি নেতাদের আটকাতে মামলা পুলিশের! উঠছে প্রশ্ন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কথায় আছে, আইন সকলের জন্য সমান। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে শাসকের জন্য এক আইন, আর বিরোধী নেতাদের জন্য এক আর এক আইন, এই অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই তুলছেন বিরোধীদলের নেতারা। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে মানুষকে ত্রাণ দেওয়া থেকে শুরু করে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার পরিদর্শন করা, প্রতিমুহূর্তে শাসক দলের নেতারা দাপিয়ে বেড়ালেও বিরোধীদলের নেতা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিদের বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে।

এবার কোয়ারেন্টাইনে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের দেখা সাথে দেখা করতে যাওয়ায় পুরুলিয়া জেলা বিজেপির সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী সহ বিজেপির একাধিক নেতার বিরুদ্ধে দায়ের করা হল মামলা। যে ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হিসেবে দাবি করছে গেরুয়া শিবির থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

জানা গেছে, গত শুক্রবার পুরুলিয়ার হুড়ার কেশরগড় এবং জবগড়া হাইস্কুলের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার পরিদর্শনে যান জেলা বিজেপির সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী সহ বিজেপি নেতা কর্মীরা। আর এই ঘটনার পরেই বিজেপির নেতা কর্মীরা কোনো রকম নিয়ম না মেনে সেখানে গিয়েছেন এই অভিযোগ তুলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে জেলা জুড়ে। কেন হঠাৎ বিজেপির বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হল?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার বলেন, “কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দল বলে মামলা করা হয়েছে, এমনটা নয়। অনুমতি না নিয়ে ওরা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে গিয়েছিলেন। তাছাড়া যারা সেখানে ঢুকেছিলেন, তাদের মাধ্যমেও তো সংক্রমণ ছড়াতে পারে।” তবে পুলিশ সুপার একথা বললেও, বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য অন্য দাবি করা হচ্ছে। তাদের বক্তব্য, তৃণমূলের অনেক নেতা থেকে শুরু করে সাধারণ কর্মী লকডাউনকে উপেক্ষা করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রে তারা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে প্রবেশ করছেন। কিন্তু তাদের ক্ষেত্রে কোনো রকম পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না পুলিশ প্রশাসনকে।

এক্ষেত্রে শুধুমাত্র বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি করার জন্যই নজিরবিহীনভাবে শুধুমাত্র কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যাওয়ার জন্য মামলা দায়ের করা হল। এদিন এই প্রসঙ্গে পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো বলেন, “সর্বত্র এটা হচ্ছে। আমরা নিয়ম মেনে রাস্তায় নামলেও মামলা করা হচ্ছে। পরিচিত শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েও মামলায় জড়াতে হচ্ছে।” একইভাবে এই ব্যাপারে পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হয়ে জেলা বিজেপি সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূল নেতারা সমস্ত জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাদের বেলায় সাতখুন মাপ। কাশিপুরের বিধায়ক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে গিয়ে জিনিস দিচ্ছেন। কোথাও কোনো মামলা হচ্ছে না।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা সত্যিই যুক্তিযুক্ত ব্যাপার। যেখানে তৃণমূলের নেতারা প্রকাশ্যে বেরিয়ে মানুষকে সাহায্য করছেন, সেখানে বিজেপি কেন সাহায্য করতে পারবে না? কেন দুই দলের জন্য দুই প্রকারের আইন! এদিন এই প্রসঙ্গে বিদ্যাসাগরবাবুর তোলা অভিযোগ অবশ্য সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন কাশীপুরে তৃণমূল বিধায়ক স্বপন বেলথড়িয়া। তিনি বলেন, “যেখানে ঢোকা উচিত নয় সেখানে আমি বা দলের সদস্য কেউই ঢোকেনি। পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যার কথা জানানোয় সংশ্লিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের বাইরে থেকে তাদের সহায়তা দিয়েছি।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তা সত্যিই অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে যেখানে শাসক সুবিধা পাচ্ছে, সেখানে কেন বিরোধীরা সুযোগ পাবে না! দুর্দিনে মানুষের পাশে দাঁড়ানো রাজনৈতিক দলগুলোর প্রধান কাজ। সেদিক থেকে তৃণমূলের নেতা জনপ্রতিনিধিরা ঘুরে বেড়ালেও, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। কিন্তু বেছে বেছে কেন বিজেপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে! এখন এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বঙ্গ রাজনীতির অলিন্দে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!