এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রাফাল সহ একাধিক ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে প্রবল কটাক্ষ হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদের

রাফাল সহ একাধিক ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে প্রবল কটাক্ষ হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাফাল সহ একাধিক ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রবল কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ শ্রীরামপুরে তৃণমূলের এক কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে প্রবল ভাষায় আক্রমণ করলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কী অবস্থা হয়? তা শুধু সকলে দেখতে থাকুন। এর আগেও একটা কেলেঙ্কারি সামনে এসেছে, তার তদন্ত চলছে। এই তো সবে খেলা শুরু হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, যত রকমের কেলেঙ্কারি আছে, তার সব কিছুর মাস্টারমাইন্ড হলো বিজেপি। এমন দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার আর হয় না। তিনি কটাক্ষ করেছেন, প্রধান মন্ত্রীর দাড়ির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তাঁর অপদার্থতা ও দুর্নীতি বেড়েছে।

রাফাল সম্পর্কে তিনি জানালেন যে, ফ্রান্সের সরকারকে তিনি অনুরোধ করতে চান, যাতে সঠিকভাবে এর তদন্ত করা হয়। এর সঙ্গে যারা জড়িত তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। তিনি জানান, আরও অনেক দুর্নীতি হয়েছে। তাঁরা আগেই বলেছিলেন যে ২০২০ তে নরেন্দ্র মোদি সরকার আর থাকবে না। কেনা গোলাম সিবিআইও তাঁদেরকে বাচাতে পারবে না।

রাফাল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপিকে প্রবল কটাক্ষের পর জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও বিজেপিকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, গোটা দেশ এখন জ্বলছে। আজ ১০০ টাকা লিটার পেট্রোল বিক্রি করা হচ্ছে। গুজরাটে যে সময় মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি, সেসময় পেট্রোলের দাম বৃদ্ধি পেলে তিনি প্রতিবাদে নামতেন। তিনি কটাক্ষ করেছেন, কাদেরকে জিতিয়ে আনা হয়েছে, এখন তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মানুষ নিশ্চয়ই এর জবাব দেবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে জ্বালানির মূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে রাজ্য সরকারকেও এগিয়ে আসার কথা বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যকে মূল্যযুক্ত কর হ্রাস করার দাবি করেছে কেন্দ্র। তবে, এ প্রসঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পেট্রোল-ডিজেল নিয়ে বিজেপির জ্ঞান দেবার কিছু নেই। আগে কেন্দ্রীয় সরকার কমাক, তারপর রাজ্য চিন্তা-ভাবনা করবে। এরপর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, এমন অপদার্থ অর্থমন্ত্রীর জন্যেই দেশের অর্থনীতির এমন অবস্থা হয়েছে। যিনি গ্যাসের দাম বাড়লে বলে থাকেন যে, তিনি তো রান্না করেন না।

আবার, তৃণমূলের একাধিক নেতা নেত্রীর বিরুদ্ধে সমবায় দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন যে, তদন্ত করলে সমবায় দুর্নীতিতে যাদের নাম আছে, তা স্পষ্ট হবে। তিনি জানালেন এই দুর্নীতিতে যাদের নাম আছে, তাঁরা এখন বিজেপিতে রয়েছেন। তিনি চান, পুলিশ এর তদন্ত করুক ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। যত রকমের দুর্নীতি আছে বিজেপি হলো তার হেড মাস্টার, কটাক্ষ করেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, রাফাল নিয়ে ইতিপূর্বেও সরব হয়েছিল একাধিক বিরোধী শিবির। সে সময়ে এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলেছিল। তবে, সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে রাফাল নিয়ে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ খারিজ করে দেয়া হয়েছে। তবে সম্প্রতি ফ্রান্সের পক্ষ থেকে রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তি নিয়ে আবার তদন্ত শুরু হয়েছে। এরপর থেকেই এ বিষয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে একহাত নিয়েছে একাধিক বিরোধী শিবির।

অন্যদিকে পেট্রোল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে যে, রাজ্য থেকে যত কর আদায় করে কেন্দ্র, তার ৪২ শতাংশই রাজ্যের প্রয়োজনে বরাদ্দ করা হয়। এর পরও কেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যের লেভির পরিমাণ কমিয়ে দিচ্ছেন না? অন্য রাজ্যগুলির চেয়ে পেট্রোল-ডিজেলের দাম পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। সিন্ডিকেটের হাতে টাকা তুলে দেবার জন্যই কি রাজ্য সরকার লেভির পরিমাণ কমাচ্ছে না? কোন সরকারকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করা হয়েছে, এবার মানুষই বুঝবেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!