এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নুন আনতে পান্তা ফুরাচ্ছে, তাই এবার অর্থের যোগান করতে নয়া পদক্ষেপ নিলেন রাহুল

নুন আনতে পান্তা ফুরাচ্ছে, তাই এবার অর্থের যোগান করতে নয়া পদক্ষেপ নিলেন রাহুল

সামনেই লোকসভা নির্বাচন। দলীয় সংগঠন পোক্ত করার পাশাপাশি প্রচার কার্য সহ একাধিক কর্মসূচিকে নজরে রাখতে হচ্ছে কংগ্রসের। কিন্তু বাধ সাধছে আর্থিক সমস্যা। বিজেপিকে টেক্কা দিতে গেলে অর্থের যে বেশি বেশি যোগান চাই,সেটা লোকসভা ভোটের আগেই আঁচ করতে পারছে কংগ্রেস। এই ইস্যু নিয়ে প্রকাশ্যে কেউ কোনো মন্তব্য না করলেও এমনটাই আভাস পাওয়া গেছে কংগ্রেস শিবির থেকে।

গতকাল প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছে AICC-র সাধারণ সম্পাদক অশোক গেহলটের তরফ থেকে একটি চিঠি আসে। সেই চিঠির মারফত জানানো হয়,আগামী ৬ সেপ্টেম্বর দিল্লির ১৫ নম্বর গুরুদ্বারা রাকবগঞ্জ রোডের একটি দলীয় কার্যালয়ে সংগঠন সংক্রান্ত একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এবং কোষাধ্যক্ষদের। তবে চিঠির ব্যাপারেও গোপনীয়তা রক্ষা করে চললেন অধীর চৌধুরী। এ বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানালেন,সংগঠন সংক্রান্ত ব্যাপার। দিল্লিতে আলোচনা হবে। এর বেশি কিছু বলব না।” তবে, কোষাগারের অবস্থা যে খারাপ সেটা অস্বীকার করলেন না অধীরবাবু। পাল্টা প্রশ্ন করে তিনি জানালেন “দেশজুড়েই তো খারাপ অবস্থা। এ আবার নতুন কী?”

কংগ্রেস সূত্রের খবর থেকে জানা গিয়েছে, আগামী বৈঠকে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি সমান গুরুত্বে আলোচিত হবে কোষাগারের হাল ফেরানোর ব্যাপারে। প্রদেশগুলো থেকে কীভাবে টাকা আসবে,কোন পথে হাঁটলে দলের অনুদান ব্যবস্থা করা যাবে, AICC এবং PCC সদস্যরা নির্ধারিত সময়ে টাকা দিচ্ছে না কেন, কোথায় কত চাঁদা বাকি রয়েছে এই সমস্ত একাধিক ইস্যুতে আলো ফেলা হতে পারে বৈঠকে। চাঁদা দেওয়ার বিষয়ে সবথেকে পিছনে রয়েছে বাংলার প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি। দিন কয়েক আগে AICC এবং PCC সদস্যদের কাছ থেকে ১০ হাজার এবং ২ হাজার টাকা চেয়েছিল কংগ্রেস সুপ্রিমো কিন্তু সে টাকা এখনো আদায় করা যায়নি। এরকমই অবস্থা অন্যান্য রাজ্যগুলোরও। এই অবস্থা ফেরাতেই এবার মাঠে নামার সিদ্ধান্ত রাহুল গান্ধীর।

এমনিতেই কংগ্রেসের সাংগঠনিক শক্তির হালও খুব একটা ভালো নয়। মাত্র দুটি রাজ্য এবং ১ টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী রয়েছে। বিজেপির ক্ষমতার কাছে তা নিতান্তই যৎসামান্য। এমতাবস্থায় বিজপির সঙ্গে লড়াই করতে গেলে অর্থ একটি গুরত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আর্থিক অবস্থার উন্নতির তাগিদে তড়িঘড়ি করে লোকসভা ভোটের আগেই বৈঠকের ডাক দিলেন কংগ্রেসের হাইকমান্ডার।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তবে শুধু বৈঠকে বসলেই কি সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে? এই প্রশ্ন উঠেছে কংগ্রেসের অন্দরেই। এ প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের এক নেতা জানালেন, সমস্যা কিছুটা হলেও মেটার সম্ভাবনা রয়েছে। এখন যা পরিস্থিতি তাতে ছোটখাটো খরচা চালানোই অসম্ভব হয়ে উঠেছে। আমজনতার দ্বারস্থ হতে হচ্ছে টাকার জন্য। সেজন্য আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দলীয় ওয়েবসাইটে “ডোনেশান কর্নার” খোলার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। সেখানে সাধারণ মানুষ কংগ্রেসের তহবিলে অনুদান করতে পারবেন। এরপর মূল সমস্যা সমাধানের জন্য রাহুল গান্ধী তো রয়েছেনই। তিনি নিশ্চয়ই এই সমস্যা থেকে বেরোনোর পথ বাতলে দেবেন, এমনটাই বিশ্বাস প্রদেশ কংগ্রেস নেতার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!