এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > জোট ছেড়ে আসন সমঝোতার সম্ভবনাও ক্রমশ ক্ষীণ, জট ছাড়াতে শেষ ভরসা রাহুল গান্ধী

জোট ছেড়ে আসন সমঝোতার সম্ভবনাও ক্রমশ ক্ষীণ, জট ছাড়াতে শেষ ভরসা রাহুল গান্ধী

জোট জটিলতা অব্যাহত বাম-কংগ্রেস শিবিরে। লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ এগিয়ে এলেও কিছুতেই সমস্যা মিটছে না সোমেন মিত্র-সূর্যকান্ত মিশ্রদের। আসনরফা নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করে কোনোরফা সূত্র বেরোচ্ছে না দুই পক্ষের তরফ থেকে। ক্রমশ পরিস্থিতি আরো ঘোরালো হচ্ছে।

এই অবস্থায় কোনোএক সমাধানসূত্র বার করার দায় কংগ্রেসের হাইকমান্ডার রাহুল গান্ধীর উপর দিয়েছেন সোমেন মিত্র। রাজ্যে সিপিএম নেতৃত্বের সঙ্গে আপাতত আর কংগ্রেস নেতাদের বৈঠক হচ্ছে না বলে প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রের খবর। রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ আসনের সমঝোতার ক্ষেত্রেই এরকম সমস্যা তৈরি হয়েছিল।

রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সীতারাম ইয়েচুরির হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত সেই সমস্যা সমাধান হয়। ফের সেই সীতারাম ও রাহুলের উপরই আস্থা রেখেছে প্রদেশ কংগ্রেস। প্রসঙ্গত,বামেদের শর্ত অনুযায়ী জোট করার চেষ্টা একা লড়াই করাই সম্মানের,এমনটাই মনে করছেন প্রদেশ কংগ্রেসের একাংশ।

আবার কংগ্রেসের অন্য এক গোষ্ঠীর মতে,যেহেতু আসনরফা নিয়ে বেশিরভাগ আসনেই গোলমাল নেই তাই বামেদের হাত ধরে ভোট বৈতরণী পার করাটাই সঙ্গত হবে। এই পরিস্থিতিতে দলের হাইকমান্ডার কোন পথে হাঁটেন সেটা নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসের অন্দরে।

প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব তাঁর জোটের সিদ্ধান্ত রাহুল গান্ধীর উপর ছেড়ে দেওয়ায় বামেদেট মনোভাব একটু শিথিল হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে কংগ্রেস ১১ টি আসম বামেদের জন্যে ছাড়তে চেয়েছিল। আরো দু একটি আসন ছাড়া যায় কিনা তা নিয়েও দলের অন্দরে আলোচনা শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় জোট নিয়ে খুব একটা আশাবাদী হতে পারছে না তাঁরা।

তাছাড়া দার্জিলিং,জলপাইগুড়ি, হুগলি বা শ্রীরামপুর, মেদিনীপুর, বসিরহাট, পুরুলিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ আসনগুলির সব কটি কংগ্রেসকে দিতেও রাজি নয় লালশিবির৷ এই অবস্থায় জোটের ভবিষ্যত কী হবে তা ঠিক করতে মেদিনীপুর থেকে দলীয় কর্মসূচি সেরে রাতে শহরে ফিরে দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র রুদ্ধদ্বার আলোচনায় বসেন সম্পাদকমন্ডলীর বাকি সদস্যদের সঙ্গে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রের খবর,তাদের জেতা চারটি আসন বাদে সিপিএম তাঁদের দখলে থাকা সাতটি আসন দেওয়ায় বেশ অসন্তুষ্ট। এরমধ্যে পুরুলিয়া এবং বসিরহাটে জোট নিয়েও সমস্যা তৈরি হয়েছে। এসব কেন্দ্র বামশরিকদের হাতে রয়েছে। জোট নিয়ে এতো সমস্যা উঠে আসায় আসনরফা নিয়ে রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়েছে দুই দলই। এই অবস্থায় ঠিক করা হয়,সিপিএম তথা বামেদের তরফে দেওয়া আসনের প্রস্তাব সহ তাদের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকগুলির বিবরণ জানিয়ে হাইকমান্ডকে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানো হবে।

যেহেতু বামেদের সঙ্গে জোটের পক্ষে সওয়াল তুলেছিলেন হাইকমান্ড তাই এবিষয়ে তিনিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিক,এমনটাই চান সোমেন মিত্ররা। তাছাড়া কম এবং গুরুত্বহীন আসনগুলিতে বামেদের সঙ্গে জোট বেঁধে কংগ্রেসের লড়াই করা উচিত হবে কিনা, তা ঠিক করার ভার রাহুলের উপরই ছেড়ে দিয়েছেন তাঁরা। সেইসঙ্গে জোট না হলে সিপিএমের জেতা দুটি আসন রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদেও প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে রাহুলের মতামত কী সেটাও জানা জরুরি বলেও মনে করছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।

এ ব্যাপারে সোমেন মিত্র জানান,’জোট নিয়ে আমরা আলোচনা এখনও চালিয়ে যাচ্ছি। এটা ঠিক, আসন সংখ্যা এবং সেখানে জেতা বা ভালো ফলের সম্ভাবনা অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। তবে কোনও ব্যাটসম্যান নম্বইয়ের ঘরে থাকলে সে সেঞ্চুরির চেষ্টা করবেই। আমরা সেই চেষ্টাই করছি।’ ওদিকে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন,’তৃণমূল-বিজেপি’র বিরুদ্ধে মানুষের ভোট একত্রিত করার জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব। আমরা তাই সমঝোতার ব্যাপারে আশাবাদী এখনও।’

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!