এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > রাহুল গান্ধীর ‘নেশার দ্রব্য’ নিয়ে তীব্র আক্রমণের ঝাঁঝে আসরে বিজেপি! ক্রমশ বাড়ছে উত্তাপ!

রাহুল গান্ধীর ‘নেশার দ্রব্য’ নিয়ে তীব্র আক্রমণের ঝাঁঝে আসরে বিজেপি! ক্রমশ বাড়ছে উত্তাপ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে রাহুল গান্ধীর তর্জার করা অজানা নয় কারো। সুযোগ পেলে কেই যে কাউকে কটাক্ষ করতে ছাড়েন না সেটা আলাদা করে বলে দিতে হয় না। সম্প্রতি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে সারা দেশে। বাংলাতেও এই কৃষক বিরোধী বিলের প্রতিবাদে এক হতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল থেকে বামপন্থীদের। তবে সম্প্রতি সেই তালিকায় বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খুলে নাম জড়িয়েছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর।

সম্প্রতি এই কৃষি বিলের প্রতিবাদে পাঞ্জাবে তিন দিনের ট্রাক্টর র‌্যালিতে যোগ দিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। পরে সেখান থেকে তিনি হরিয়ানাতেও যান। এই দুই রাজ্যেই ভাষণ দেওয়ার সময় রাহুল গান্ধী একাধিকবার সমালোচনায় করেন নরেন্দ্র মোদির সরকারের। সেই সমালোচনায় উঠে আসে ভারত-চিন সীমান্ত উত্তেজনার পাশাপাশি হাথরাস গণধর্ষণ, জিএসটি ইত্যাদি নানা বিষয়। এগুলোকে হাতিয়ার করেই এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় তাঁকে। তবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে অবশ্য ছিল সেই বহু চর্চিত কৃষি আইন। এখানে প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনি দাবি করেন যে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে এই তিন নতুন কৃষি আইনকে বাতিল করবেই। শুধু তাই নয়, এই তিন আইনকে ‘কালা কানুন’ বলেও কটাক্ষ করতে দেখা গেছে তাঁকে। তবে ঝামেলা বাঁধলো কোথায়?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বস্তুত, এদিন হরিয়ানায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাহুল গান্ধীকে বলতে শোনা যায় যে, পৃথিবীতে এমন একটাই দেশ রয়েছে যার ভূখণ্ডে অন্য কোনও দেশের সেনা ১২০০ বর্গকিলোমিটার দখল করে নিয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রী বলছেন, দেশের জমি কেউ নেয়নি। এরপরেও প্রধানমন্ত্রী নিজেকে দেশভক্ত হিসেবে দাবি করেন কিভাবে। তাঁর কথায়, পুরো দেশ জানে চীনা সেনা ভারতের ভিতরে প্রবেশ করেছে। তাহলে কেমন দেশভক্ত উনি? তাঁর দাবি, তাঁর সরকার যদি থাকত, তাহলে চিনা সেনাকে উৎখাত করে দেশের বাইরে ফেলে দিতে ১৫ মিনিটও সময় লাগত না। আর এখানেই শুরু হয় বিতর্ক।

তাঁর সেই বক্তব্যকেই এদিন কটাক্ষ করতে দেখা গেছে বিজেপির মন্ত্রীকে। রাহুল গান্ধীর কথার প্রতিবাদ করে এদিন তিনি বলেন, ‘‘দশ দিনে ঋণ মাফ, ১৫ মিনিটে চিন সাফ! আমি তো সেই গুরুকে প্রণাম জানাই যিনি ওঁকে পড়িয়েছেন। এত ভালো কোয়ালিটির নেশার দ্রব্য আনেন কোথা থেকে?’’ ফলে এই কথায় বিরুদ্ধে তাঁকে যে সহজে ছেড়ে দেওয়া হবে না সেটা বলাই বাহুল্য। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জুন মাসের ১৫ তারিখ লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সংঘর্ষে সেদিন ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন বলে খবর পাওয়া যায়। এরপর চিনের তরফ থেকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানানো না হলেও, তাদের ৫০ জন জাওয়ান এতে প্রাণ হারিয়েছিল বলেই অনুমান করা হয়। তারপর থেকেই লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে ভারত-চিনের মধ্যে সেনা ও প্রশাসনিক স্তরে অনেকবার আলোচনা চলেছে অনেকবার। দুপক্ষই নিজেদের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে রাজি হয়েও ৩১ তারিখ পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্ত দিয়ে ভারতের জমিতে ঢোকার চেষ্টা করে চীনা সৈন্য। কিন্তু ভারতীয় সেনার তৎপরতায় সেই চেষ্টা ভেস্তে দেওয়া হয়। এদিন এই কথার কটাক্ষ করেই রাহুল গান্ধীকে বিরোধীদের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!