এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাহুল গান্ধীর সবুজ সঙ্কেত মিলতেই চিটফান্ড নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে তৃণমূলের ঘুম ওড়াতে চাইছে কংগ্রেস

রাহুল গান্ধীর সবুজ সঙ্কেত মিলতেই চিটফান্ড নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে তৃণমূলের ঘুম ওড়াতে চাইছে কংগ্রেস


রাজ্যে চিটফান্ড কেলেঙ্কারি নিয়ে এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রায় প্রতিটা দলই নিজেদের মতো করে রাজনৈতিক রণাঙ্গনে নামতে শুরু করেছে। সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে চিটফান্ড কেলেঙ্কারি নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই কর্তারা হানা দিলে তড়িঘড়ি সেই রাজীব কুমারের বাড়িতে এসে সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসার কথা ঘোষণা করেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে তৃণমূল নেত্রীকে ফোন করেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী। কিন্তু জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধিতায় রাহুল গান্ধী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক হলেও বাংলায় সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কার্যত আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক রাহুল গান্ধীর দল কংগ্রেসের।

রাজ্য সরকার ও তৃনমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সারদা থেকে নারদা বিভিন্ন ইস্যুতে বিভিন্ন সময় সোচ্চার হতে দেখা গেছে সেই কংগ্রেসকে। তাই সিবিআইকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিরোধীদের ওপর লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে এই অভিযোগে যখন মেট্রো চ্যানেলে ধরনায় বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক তখনই কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতির তৃণমূল নেত্রীর পাশে থাকার ফোনে কিছুটা হলেও হতাশ হয়েছিল প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারা।

কিন্তু জাতীয় ক্ষেত্রে যাই হোক না কেন, বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের যে আন্দোলন চলবে তা প্রমাণ করে দিয়ে আজ চিটফান্ড কেলেঙ্কারি ইস্যুতে সেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পথে নামতে চলেছে প্রদেশ কংগ্রেস। সূত্রের খবর, আজ দুপুরে সুবোধ মল্লিক স্কয়ার থেকে ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া পর্যন্ত চিটফান্ড সংস্থাগুলির হাতে প্রতারিতদের ক্ষতিপূরণ ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে মিছিল করার কথা রয়েছে কংগ্রেসের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশের মতে, কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধীর সবুজ সংকেত পেয়েই হয়তো বা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এই চিটফান্ড কেলেঙ্কারি ইস্যুতে পথে নামছে কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, “সিবিআইয়ের মত স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাকে দিয়ে ধ্বংসের খেলায় মেতেছেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যাঁরা কংগ্রেসের শরিক হবেন, তাঁদের পক্ষে আমাদের নৈতিক সমর্থন থাকবে। কিন্তু এইরাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের অগণতান্ত্রিক আচরণ এবং আর্থিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চলার ব্যাপারে কোনোরকম আপোস করা হবে না।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, জাতীয় রাজনীতিতে যে সমীকরণই চলুক না কেন, বাংলায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কংগ্রেস যে এবার লোকসভা নির্বাচনের প্রবলভাবে ঝাপাতে চলেছে তা সোমেন মিত্র, আব্দুল মান্নানদের এই নীতি থেকেই ফের আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল।

কেননা কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে সিবিআইকে দিয়ে যেভাবে তৃণমূলের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে এবং তাকে কেন্দ্র করে যখন ধরনায় বসেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক তখনই চিটফান্ড কেলেঙ্কারি ইস্যুটিকে নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে সেই রাজ্যের উপরই চাপ বাড়াতে চলেছে কংগ্রেস। আর লোকসভা ভোটের আগে এই জোড়া ফলাকে ঠিক কিভাবে মেকআপ দেয় রাজ্যের শাসক দল এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!