চিন থেকেই করোনা ভাইরাস গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল। তাই চীনকে শায়েস্তা করার কথা শোনা গিয়েছিল বিশ্বের প্রতিটি দেশের গলাতেই। বর্তমানে এই করোনা ভাইরাস বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি ভারতকেও বিধ্বস্ত করে দিয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের অন্দরমহলে দাবি উঠেছিল যে, চীনকে কোণঠাসা করতে পদক্ষেপ নিক ভারত। বিরোধীদের পক্ষ থেকেও সরকারের উদ্দেশ্যে এই আবেদন এবং দাবি জানানো হচ্ছিল। আর এবার প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের নিয়মে বড়সড় পরিবর্তন আনলো মোদী সরকার।

সূত্রের খবর, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হল, সরকারি অনুমতি ছাড়া সীমান্ত লাগোয়া দেশের নাগরিক বা সংস্থা ভারতে কোনো বিনিয়োগ করতে পারবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এরূপ নির্দেশ আসলে চিনকে চাপে রাখার জন্যই। যখন লকডাউনের জেরে প্রতিটা দেশের অর্থনীতি টালমাটাল, ঠিক তখনই চীন যাতে ঘোলা জলে মাছ ধরতে না পারে, তার জন্যই ভারতের পক্ষ থেকে সীমান্তবর্তী দেশগুলো থেকে প্রত্যক্ষ বিনিয়োগে বন্ধের বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেওয়া হল। আর কেন্দ্রের তরফে এই উদ্যোগ নেওয়াতে এবার তাকে স্বাগত জানিয়েছেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতে দুই পদ্ধতিতে বিদেশি বিনিয়োগ সম্পন্ন হয়। একটি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি, আরেকটি সরকারের অনুমতি নিয়ে। তবে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বিনিয়োগের জন্য সরকারের কোনো অনুমতি লাগে না। তবে প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ করতে গেলে এতদিন ভারতবর্ষের কাছে দুটি দেশকে অনুমতি নিতে হত। যার মধ্যে রয়েছে, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ‌।

কিন্তু এবার এই বিজ্ঞপ্তি জারি করে চীনকেও এই অনুমতি নেওয়ার তালিকায় ফেলে দিল ভারতবর্ষ বলে মত বিশেষজ্ঞদের। আর করোনা পরিস্থিতিতে চিনকে চাপে রাখতে কেন্দ্রের এই উদ্যোগকে এখন সাধুবাদ জানাচ্ছেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী। তবে চীনকে চাপে রাখার জন্য কেন্দ্রের এই উদ্যোগকে বিরোধী দল স্বাগত জানালেও, পরবর্তীতে ভারতের উপরে কোনো চাপ আসে কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।