এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এখনও সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন রাহুল গান্ধী! লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধীদের নতুন আক্রমনের নিশানায় কংগ্রেস সভাপতি

এখনও সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন রাহুল গান্ধী! লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধীদের নতুন আক্রমনের নিশানায় কংগ্রেস সভাপতি

লোকসভা ভোটের আগে তিন তিনটি রাজ্যে বিজেপিকে ছাপিয়ে কংগ্রেসের জয় সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। বিজেপির মনোবলে জোর আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছেন রাহুল গান্ধী,এমনটাই চর্চা শুরু হয়েছে সমালোচকমহলে। এমনকি ২০১৯’এর নির্বাচনী লড়াইটা আসলে বিজেপি বনাম কংগ্রেসের,এমনটাও বলতে শুরু করেছেন অনেকেই।

কিন্তু বিগত বিধানসভা নির্বাচনগুলোতে কংগ্রেস সত্যিই কি তাঁর শক্তির প্রদর্শন করতে পরেছে নাকি সবটাই বিজেপির গাফিলতির ফল? এমন প্রশ্নও নিয়েও চর্চা চলছে সমানে। তবে তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে যেভাবে কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশে এল, তা সাফ ইঙ্গিত করে রাহুলের সিদ্ধান্তহীনতাকে।

হিন্দিবলয়ের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের ভোট জয়ের পর রাহুল গান্ধীকে দুটি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হত। প্রথম, প্রবীণ-নবীনের ব্যক্তিগত স্বার্থকে দূরে সরিয়ে সকলকে সঙ্ঘবদ্ধ করা। দ্বিতীয়ত,পরিবারের ঘনিষ্টমহলের বাইরে গিয়ে নতুনদের ক্ষমতায় আনা। রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে শচীন পাইলট এবং জ্যোতিরাদিত্য সিদ্ধিয়ার মতো দুজন সুযোগ্য নেতা হাতে ছিল রাহুলের। সুযোগ ছিল তরুণ তুর্কি নেতাদের যথাযোগ্য ক্ষমতায় এনে কংগ্রেসের চিরাচরিত ঐতিহ্যে ভেঙে নতুন মাইলস্টোন তৈরি করা।

নবীন-প্রবীণ প্রজন্মের মেলবন্ধন ঘটিয়ে দলীয় সংগঠনকে মজবুত করার যে কাজটা রাহুল করেছেন তাতে সত্যিই তিনি গোষ্ঠীকোন্দল দমনে একটি যথার্থ পদক্ষেপ নিয়েছেন,একথা বলাই যায়। মধ্যপ্রদেশে যেভাবে দিগ্বিজয় সিংয়ের মতো বর্ষীয়ান নেতাকে নেপথ্যে পাঠিয়ে সিন্ধিয়া-কমলনাথদের এক ছাতার তলায় এনে গোটা দলকে একত্রিত করেছিলেন রাহুল তাতে সত্যিই লেটার মার্কস দিতে হয় তাঁকে। একই সমীকরণ মেনে পাইলট-গেহলটকেও সঙ্ঘবদ্ধ করেছেন তিনি রাজস্থানে।

কিন্তু সমস্যাটা তৈরি হয়েছে অন্য জায়গায়। রাজস্থান,মধ্যপ্রদেশ হিন্দিবলয়ের এই দুটি রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া দাবী করেছেন সিন্ধিয়া, কমলনাথ অন্যদিকে পাইলট, গেহলট উভয়ই। একদিকে প্রবীণদের অভিজ্ঞতা, অন্যদিকে নবীনদের নতুন দায়িত্বে আসার ইচ্ছা কাকে প্রাধাণ্য দেবেন রাহুল? তা নিয়ে দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে গিয়েছে কংগ্রেসের হাইকমান্ডার। নব্য দুই যুবক দুজনই রাহুলের স্নেহভাজন।

অন্যদিকে প্রবীণদের সঙ্গে বেশ সখ্যতা রয়েছে তাঁর মা সোনিয়া গান্ধীর। পাইলট এবং সিন্ধিয়াকেই রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্যে বেশি পছন্দ ছিল রাহুলের। কারণ নবীন প্রজন্মকে সুযোগ দেওয়ার কথাই তিনি বলতেন সবসময়। কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে করে দেখাতে পারলেন না সেটা।

মা তথা প্রাক্তন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর ঘনিষ্ঠ দুই নেতাকেই মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্যে বাছতে হল তাকে। আর পাইলট এবং সিন্ধিয়ার মন রাখতে তাঁদেরকে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে বসানো হল। তাছাড়া মুখ্যমন্ত্রী বাছাই করতে গিয়ে যেভাবে মা সোনিয়া গান্ধি এবং বোন প্রিয়াংকার সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করতে হয়েছে তাঁকে, তাতে তাঁর চূড়ান্ত সিদ্ধান্তহীনতাকেই দর্শায়।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তাছাড়া কংগ্রেসের কোনো পদে না থেকেও মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ের জন্যে বোন প্রিয়াংকার পরামর্শ দেওয়ার ব্যাপার নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে সমালোচকমহলে। আর সোনিয়া গান্ধির ঘনিষ্টরা দুটি রাজ্যের শীর্ষ ক্ষমতায় এটাই প্রমাণ করল, রাহুলের নিজস্ব কোনো সিদ্ধান্ত নেই। সর্ব ভারতীয় কংগ্রেস সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকেও সিদ্ধান্ত নিতে গেলে তাঁকে মা-বোনের সাহায্য নিতে হচ্ছে! ইনি প্রধানমন্ত্রী পদের দাবীদার কীভাবে হতে পারবেন! এ নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন বিরোধীরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!