এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রাহুল গান্ধীর ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’-এর পাল্টা তীব্র আক্রমণাত্মক উত্তর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির

রাহুল গান্ধীর ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’-এর পাল্টা তীব্র আক্রমণাত্মক উত্তর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির


লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ যতোই এগিয়ে আসছে ততোই বিজেপি বনাম কংগ্রেসের আক্রমণ তথা পাল্টা আক্রমণে সরগরম হয়ে উঠছে জাতীয় রাজনীতি। এতোদিন ‘চৌকিদার’ এবং ‘চোর’ এই দুটি শব্দকে হাতিয়ার করে দফায় দফায় মোদীকে আক্রমণ শানিয়েছেন রাহুল গান্ধী। বিভিন্ন জনসভার মঞ্চ থেকে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে তিনি বলেছেন,”চৌকিদার চোর হ্যায়।”এবার নিজস্ব স্টাইলে এই বিতর্কিত মন্তব্যেরই পাল্টা দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

গতকাল ওড়িশার বারিপদায় একটি জনসভার বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাহুলের বিরুদ্ধে সরব হলেন মোদী। কটাক্ষে জানালেন,”একমাত্র চোরই চায় চৌকিদারকে তাড়াতে।” কারখানা হোক বা সমাজ,সর্বত্রই এই নিয়ম চলছে বলে অভিযোগের আঙুল তোলেন তিনি। এর সঙ্গে জুড়ে আরো জানালেন, ”যতক্ষণ চৌকিদার রয়েছে, তখন চোর তার কাজ করতে পারে না। তাই চোর তার কাজ সহজে করতে সবসময় চৌকিদারকে তাড়ানোর ষড়যন্ত্র করে।”

গতবছর রাফাল ইস্যু নিয়েও উত্তপ্ত ছিল রাজনৈতিক ক্ষেত্র। এই কেলেঙ্কারিকেই বিজেপির বিরুদ্ধে অন্যতম প্রধান অস্ত্র হিসাবে কাজে লাগিয়েছে কংগ্রেস। যুদ্ধবিমান কেনার এই রাফাল চুক্তি করার সময় দুর্নীতি করেছেন মোদী,এমনটা অভিযোগ তুলেই সরাসরি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রাহুল।

জাতীয় কংগ্রেস সুপ্রিমোর সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে জবাব দিতে সভামঞ্চ থেকেই প্রাক্তন ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন মোদী। দাবীতে জানান,২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশের সেনাবাহিনীকে দূর্বল করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে ইউপিএ সরকার। দেশের সেনাবাহিনীকে সেই অবস্থা থেকে বের করে আনার চেষ্টায় রয়েছে বিজেপি। সেটা দেশের সাধারণ মানুষ দেখতে,বুঝতে সবটাই পারছে।

অন্যদিকে,রাফাল ইস্যুতে সরাসরি পাল্টা দিতে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অগাস্টা ওয়েস্টল্যান্ড চপার কেলেঙ্কারি নিয়ে সম্প্রতি ময়দানে নেমেছে বিজেপি। এদিন বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখে উঠে আসে সেই প্রসঙ্গও। গান্ধী পরিবারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে প্রশ্ন তোলেন,ইউপিএ জামানায় সরকারের রাশ কার হাতে ছিল? কংগ্রেস তখন সরকার চালাচ্ছিল নাকি ক্রিস্টিয়াল মিশেল,সেই প্রশ্নই ছুড়ে দিন তিনি রাহুল-সোনিয়া গান্ধীর দিকে।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রধানমন্ত্রীর দাবী,মিশেলের সঙ্গে কংগ্রেসের নেতা ও মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠতা অনেক বেশি ছিল। তাই হয়তো ইউপিএ প্রধানমন্ত্রীর (মনমোহন সিং) থেকে বেশি জানতেন মিশেল,এমনভাবেই কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেন মোদী। এরপরই পরোক্ষভাবে কংগ্রেসকে হুঁসিয়ারী দিয়ে জানান,যাঁরা দেশের স্বার্থকে ভুলে মধ্যস্থতাকারীদের রক্ষা করার চেষ্টা করছেন তাঁদের কোনোভাবেই মাফ করা হবে না। দেশের তদন্তকারী সংস্থা এবং সাধারণ মানুষ তাঁদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবেন। দেশের সুরক্ষার প্রশ্নে কেন্দ্র বরাবরই কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেই জানান তিনি।

উল্লেখ্য,হাতে গোনা আর কয়েকমাস বাকি লোকসভা ভোটের। এই মুহূর্তে অবিজেপি রাজনৈতিকদল গুলো যেভাবে বিজেপি বিরোধীতায় সরব হয়েছে তাতে দলীয় ভাবমূর্তি রক্ষায় আরো তৎপর হতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। পেট্রোপন্যের মূল্যবৃদ্ধি,রাফাল কেলেঙ্কারি,বেকারত্ব,জিএসটি ইত্যাদি একাধিক ইস্যুকে হাতিয়ার করে বিজেপি সরকারকে তুলোধনা করছে বিরোধীরা।

তারপর হিন্দিবলয়ের বিধানসভা ভোটে বিজেপির নজিরবিহীন খারাপ ফলাফল বিরোধীদের আক্রমণের পথকে আরো প্রশস্ত করে দিয়েছে। এই অবস্থায় ২০১৪ সালের সেই ম্যাজিক ফিরে পেতে চান মোদী। কেন্দ্রের রাশ নিজের হাতে রাখতেই এদিন কংগ্রেসকে যোগ্য জবাব দিয়ে ফ্রন্টফুটে খেলতে দেখা গেল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!