এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রাহুল-মমতাকে সুকৌশলে এড়িয়ে আসলে কি বিরোধী হিসাবে তাঁদেরকেই মান্যতা দিলেন অমিত শাহ? বাড়ছে জল্পনা

রাহুল-মমতাকে সুকৌশলে এড়িয়ে আসলে কি বিরোধী হিসাবে তাঁদেরকেই মান্যতা দিলেন অমিত শাহ? বাড়ছে জল্পনা


২০১৯ এ রাজধানীর মসনদ বদলের লক্ষ্যে অনেক আগেই বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার প্রতিশ্রুতিতে আবদ্ধ হয়েছে। আর ১৯ জানুয়ারীর তৃণমূলের ডাকে সর্বভারতীয় ব্রিগেড সমাবেশের পর থেকে দিল্লির সিংহাসন থেকে মোদী সরকারকে উৎখাত করতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা প্রত্যেক অবিজেপি নেতার মুখে মুখে ফিরছে। কিন্তু এর মাঝেই যে প্রশ্নটা মাঝে মাঝেই উঠছে সেটা হল ১৯’এর লোকসভা ভোটের পর মহাজোট ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী কে হবে?

কিন্তু এ প্রশ্নের উত্তরে বরাবরই কোনো স্বচ্ছ ধারণা দিতে পারেনি মহা জোটের নেতৃত্বরা। এ নিয়ে বহুবার বিজেপির প্রতিনিধিদের ব্যঙ্গ করতেও দেখা গিয়েছে। বিজেপি কখনো বলছে মহাঘোটালা,কখনো বলছে ‘মজবুর জোট’। তাঁদের দাবী,মহাজোটের মতো নির্দিষ্ট অভিমুখ নেই। তাঁদের লক্ষ্য স্পষ্ট নয়। আর মহাজোটের এই ব্যর্থতাকেই লোকসভা ভোটের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে বিজেপি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

নির্দিষ্ট কোনো নেতা না থাকায় স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে বিজেপিকে। এদিন জাতীয় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ মহাজোটকে কটাক্ষ করে বললেন,’মহাজোট ক্ষমতায় এলে সপ্তাহে ৬ দিন ৬টা প্রধানমন্ত্রী পাবে দেশ। আর রবিবার? বিজেপি সভাপতি বলছেন, রবিবার আসতে আসতে গোটা দেশ ছুটিতে চলে যাবে।’

সম্প্রতি গোয়ায় বিজেপি বুথকর্মীদের একটি সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মহাজোটের তীব্র সমালোচনা করেন অমিত শাহ। বলেন,’আসন্ন লোকসভা ভোটে মহাজোট ক্ষমতায় এলে তাঁরা দেশকে একজন আদর্শ প্রধানমন্ত্রী কখনোই দিতে পারবে না। এ ক্ষমতা শুধু রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর। মহাজোট ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী পদের দাবীদার কে হবে তা নিয়েও বিরোধীদের তীব্র কটাক্ষ করেন শাহ।

বলেন,’মহাজোট ক্ষমতায় এলে সোমবার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেশ পাবে মায়াবতীকে, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী হবেন অখিলেশ, দেবগৌড়া বুধবার, চন্দ্রবাবু নায়ডু বৃহস্পতিবার, এম কে স্ট্যালিন শুক্রবার এবং শরদ পওয়ার শনিবার প্রধানমন্ত্রী হবেন। রবিবার আসতে আসতে গোটা দেশের ছুটি হয়ে যাবে।’ এটা বলার পর মহাজোটকে দূর্বল নেতৃত্ব বলে ব্যাখ্যা করে ফের বিজেপি সরকার কেন্দ্রের ক্ষমতায় আনার পক্ষে সওয়াল তোলেন তিনি।

তবে নজরে আসার মতো বিষয় হল,অমিত শাহের বলা প্রধানমন্ত্রী পদাধিকারী তালিকায় নাম ছিল না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী জোটের মধ্যমনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ছিল না জাতীয় কংগ্রেস সুপ্রিমো রাহুল গান্ধীর নামও। অথচ বিরোধী জোট ক্ষমতায় এলে এই দুজন নেতারই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। তাহলে এই দুজন নেতার নাম কেন এড়িয়ে গেলেন অমিত শাহ?

তিনি কি স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এড়িয়ে গেলেন নাকি এমনিই মনে যাঁর যাঁর নাম এসেছে তাঁদের নাম পর পর বলে গিয়েছেন বিজেপি সুপ্রিমো? এই প্রশ্নকে ঘিরে জল্পনা শুরু হয়ে রাজনৈতিকমহলে। তবে বিজেপির তরফ থেকে আসা নয়া কটাক্ষ মহাজোট কীভাবে সামলাবে তা নিয়েও চর্চার অন্ত নেই বিরোধীশিবিরে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!