রাই-কেশব (লাভ স্টোরি ) কলমে – অপরাজিতা = অন্তিম পর্ব অন্যান্য অপরাজিতা গল্পে-আড্ডায় January 17, 2020 বাড়ি আসার পর রনোর হাতে ব্যান্ডেজ করেছে রাহুল। অদিতিও হেল্প করেছে।ইতিমধ্যে রনো শ্রীকে, আর রাহুল অদিতিকে বলেছে খুব শীঘ্রই বিয়েটা সেরে ফেলবে। দুজনে আর না করেনি। আন্টি মন্দির থেকে ফিরেছেন। রনোর হাতে ব্যান্ডেজ দেখে ভয় পেয়ে গেছেন। অদিতি আর শ্রীকে দেখেন নি। অদিতি চুল দিয়ে সিদুঁর ঢেকেছে। আন্টিকে রনোর হাতকাটা নিয়ে একটু আধটু মিথ্যা বলে ম্যানেজ করা গেছে। এবার শ্রীর দিকে তাকাতেই বললেন সিঁথিতে এটা কি? প্রিয়াঙ্কা – রনো আর শ্রী বিয়ে করেছে। মিসেস মুখার্জী – কি? প্রিয়াঙ্কা – দাড়াও এটাই নয়, ওদিকে রাহুল আর অদিতি। মিসেস মুখার্জী – এসব আবার কখন হলো ? প্রিয়াঙ্কা তার মাকে সব বললো। না হাত কাটা, ক্লোরোফর্ম এসব বাদ দিয়ে। মিসেস মুখার্জী – তার মানে রনোই সে যার সাথে তোর দাদু তোর বিয়ে ঠিক করেছিল ? শ্রী- মাথা নেড়ে হ্যাঁ বললো। মিসেস মুখার্জী বললেন কৃষ্ণ সত্যি আছে রে , নাহলে এত জায়গা থাকতে কেন এখানেই থাকতে যাবে। আর তোমরা ? তোমরা যে বলো ভালো বন্ধু? কবে থেকে চলছে এসব ? রাহুল – এই তো কদিন। এখানে আসর পর। রনো আমার একসাথেই। রনো বল না। রনো – হ্যাঁ মিসেস মুখার্জী কিন্তু এটা তো সিঁদুর নয়।কি পড়িয়েছো ওদের ? প্রিয়াঙ্কা – ও ছাড়ো, শোনো তুমি তোমার পুরুত ঠাকুরের সঙ্গে কথা বলো। বিয়েটা তো আমাদেরকেই দিতে হবে নাকি। মিসেস মুখার্জী – সে তো বলবো। কিন্তু ওদের বাড়িতে তো কথা বলতে হবে। তারা জানবে না? রনো – আমাদের বাড়ি থেকে মানবে না। অতএব আপনি ঐদিকে চাপ নেবেন না। মিসেস মুখার্জী – মানবে না মানে? তাহলে ? রনো – আমরা অ্যাডাল্ট, নিজেদের ইচ্ছাতেই বিয়ে করছি। অদিতি – আন্টি প্লিজ। রাহুলের বাবা এখন আমাদের বিয়ে দেবে না , কেননা ওর দিদির বিয়ে হয়নি। জানলে বিয়েটাও হতে দেবে না। আর রনোর ক্ষেত্রেও তাই, ওর মায়ের শ্রীকে পছন্দ নয়। প্লিজ আন্টি বাড়িতে কিছু জানাবেন না। মিসেস মুখার্জী বললেন ঠিক আছে। পুরুত ঠাকুরের সাথে ফোনে কথা বললেন। পুরুত ঠাকুর জানালেন আজ অতন্ত্য শুভ দিন আজ বিয়ে হলে খুব ভালো, অতএব রাত্রেই বিয়ে হবে। মিসেস মুখার্জী জানালেন চারজনই উপোস থাকবে। প্রিয়াঙ্কা অদিতি আর শ্রীকে নিয়ে শাড়ি, কিছু গয়না ,কনের দরকারি জিনিস কিনবে, আর অনিমেষ রাহুল আর রনোকে নিয়ে গিয়ে ধুতি, পাঞ্জাবি কিনবে। রাহুল – আন্টি সকাল থেকে কিছু খাইনি। রনো – হুম খিদে পেয়েছে তো , সারাদিন খাবোনা মানে ? মিসেস মুখার্জী – খেতে নেই, জুস, চা কফি খাবে শুধু। রনো – এগুলো অত্যাচার। মিসেস মুখার্জী – তাহলে বিয়ে ক্যানসেল করছি। রাহুল – না ঠিক আছে। আমরা আউট হাউস যাচ্ছি। রনোকে ইশারা করে বললো যেতে , দরজা থেকে বেরিয়ে বললো – কাল খাসনি বিরিয়ানি, এখনো আছে তো পুরোটা। ঠান্ডায় কিছু হবে না। চল ওটাই দুজনে খেয়ে নেবো। রনো – কিন্তু ওদেরকেও খেতে দেবে না। বাইরে গিয়ে মিট করে খেয়ে নেবো। রাহুল -ওকে,কিন্তু বিরিয়ানি ফেলে দেব? কথা শেষ হতেই দেখলো বিরিয়ানির খালি প্লেট হাতে সীতা আসছে হাতে ডাস্টবিন। সকলে বের হলো,শ্রী অদিতি বলেছে কিছু খাবে না , ওরা খায়নি বলে রনো রাহুল আর খায়নি। শ্রীকে কোনো সাদা রঙের কিছু কিনতে দেয়নি রনো। দুটো লাল বেনারসি নেওয়া হয়েছে। কয়েকটা ইমিটেশন জুয়েলারি। সোনা অদিতি পড়তে ভালোবাসে না। একটা হার আছে পরে নেবে। আর কিনবে না। শ্রী ও পরে না ওর কয়েকটা গয়না আছে ঠাকুমা দিয়েছিলো। রনো রাহুলের ধুতি পাঞ্জাবি হলো। বিকালে সবাই তৈরী হলো। শ্রীকে আজ প্রথম লাল রং পড়তে দেখলো রনো। কি সুন্দর লাগছে ওকে। আর কোনোদিন ওকে আর সাদা পড়তে দেবে না রনো। সবাই মন্দিরে গেলো। সন্ধেতে শুভলগ্নে চারজনের আটহাত এক হলো। পরের দিন কালরাত্রি, আউট হাউসে সদ্য বিবাহিত যুবকরা নিজেদের সদ্য বিবাহিত স্ত্রীদের কথা ভাবতে ভাবতেও সময় কাটাচ্ছে। অবশ্য প্রিয়াঙ্কা, অনিমেষ এসে দেখা করছে।খাবারও দিয়ে যাচ্ছে। প্রিয়াঙ্কা কথা দিয়েছে রাত্রে দরজা খুলে দেবে। তারা নিজেদের স্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করতে পারে। তবে তাদের স্ত্রীরা কি করবে সেটা তাদের ব্যাপার। রনো রাহুল এসেছে রাত্রে চুপি চুপি। প্রিয়াঙ্কা দরজা খুলে দিয়েছে। রনো শ্রীর ঘরের দরজায় টোকা দিলো। শ্রী আজকেও ভেবেছে প্রিয়াঙ্কা। দরজা খুলে রনোকে দেখেই মুখটা কাপড় দিয়ে আড়াল করে বললো – এখানে এলে কেন? রনো – আমার বৌ এখানে আছে তাই বলেই শ্রীকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো। শ্রী- ছাড়ো, রনো – ভাগ, বিয়ে করা বৌ তুমি আমার, যা খুশি করতে পারি। শ্রী- না আজ কালরাত্রি, আজ আমার মুখ দেখতে নেই। প্লিজ যাও। রনো – কি হয় আজ মুখ দেখলে।? শ্রী – খারাপ হয়, আমি তোমাকে আর হারাতে পারবো না প্লিজ যাও প্লিজ। রনো – ঠিক আছে যাচ্ছি কিন্তু ফোন কথা বলবে ঠিক আছে। শ্রী- আমার ফোন নেই। রনো জানি – বলে পকেট থেকে একটা মোবাইল বের করে দিলো। নিজের মোবাইল থেকে কল করে দেখিয়ে বললো এইভাবে কল রিসিভ করবে। শ্রী- জানি রনো – কি করে? আন্টির ফোন ধরি আমি। রনো – সরি। তবে কল না ধরলে আবার আসবো। শ্রী যদিও দরজা খুলেছে। অদিতিকে রাহুল ডাক দিতেই সে জানিয়েছে আজ কালরাত্রি তাই সে দেখা দেবে না। অনেক বার রিকোয়েস্ট করেও লাভ হয়নি। অতএব দুজনেই আউট হাউসে গেলো। ফোনে রনোর সাথে শ্রী, আর রাহুলের সাথে অদিতির কথা হয়েছে। রনোকে শ্রী বলেছে সে জানে ক্লোরোফর্ম দিয়ে অজ্ঞান করে রনো তার ঘর থেকে বাক্স নিয়ে গেছে, মিথ্যা রাগ দেখিয়েছে। রনো ক্ষমা চেয়েছে অনেকবার , কিন্তু কাজ হয়েছে কিনা বোঝেনি।তাছাড়া রনো অনেক কথা বলেছে নাতাশার কথা। নাতাশার সাথে তার সম্পর্কের কথা। রনোর মায়ের কথা। মায়ের সাথে ওর সম্পর্ক ভালো নয় সে কথা, সব। রনোর মা চিরকাল অন্যের থেকে নিজেকে এগিয়ে রেখেছে। তার কাছে নিজের গুরুত্ত্ব বেশি। রনোকে ছোটবেলা থেকেই ইগনোর করেছে বেশি। কেননা তাঁর কাছে লাইফ এনজয় করাটা ছিল বেশি ইম্পর্টেন্ট। পার্টি, বন্ধু বান্ধব, নিজের ফিগার মেনটেন্ট এইসব. দাদু ঠাকুমাকে নিতান্ত গাঁইয়া মনে হতো রনোর মায়ের তাই তাঁর বন্ধু বান্ধবীদের সঙ্গে পরিচয় করাতো না। কোনো কিছু নিয়ম মানত না। যতবার দেশের বাড়ি আসতো দাদু ঠাকুমার সাথে তুমুল ঝগড়া করতো। যে কারণে কলকাতার বাড়িতে দাদু ঠাকুমা যেত না।রনোও বলেছে ও শ্রীকে দেখতে চাইতো। দাদুকে কথা দিয়েছিলো যে শ্রীকে বিয়ে করবে। শ্রীও বলেছে তার কথা। অনেক কথা। কবে কিভাবে দেখা হয়েছিল দাদুর সাথে। প্রথমবার রনোর দাদুর প্রস্তাব শুনে মুখ বেঁকিয়েছিলো শ্রী। মনে মনে ভেবেছিলো কোথাকার কে? করছি বিয়ে।কিন্তু আস্তে আস্তে কখন ভালোবেসেফেলেছে ,কখন নিজের করে নিয়েছে বুঝতে পারেনি। বিশ্বাস করে রনোকে যে সে শ্রীকে নিয়ে ঐসব কথা বলেনি। রনো জিজ্ঞাসা করেছে কবে শ্রী জেনেছে যে রণোই ওর কেশব। শ্রী বলেছে মুখটা দেখে মনে হতো যেন কেশবকেই দেখছে ,তাছাড়া কেশবের নাম যে রনো জানতো শ্রী। কোথাও বঝতে পারছিলো প্রথম থেকেই তাই সামনে আসতে চাইতো না একেবারে। যেদিন অরণ্য নামটা শুনেছে সেদিন পরিষ্কার হয়েছে অনেকটাই। জোর করে বুঝতে চাইনি।মনকে বুঝিয়েছে ও নয় কেশব। এখানে কি করে আসবে। কিন্তু যেদিন মুখটা দেখতে পেয়েছে সেদিন আর কোনো সন্দেহ ছিল না। খুব কষ্ট পেয়েছে। মনে হয়েছে আবার কেন? এখনো কি কোনো কষ্ট পাওয়া বাকি আছে। শ্রী বলেছে সে জানতো রনো অন্য কাউকে ভালোবাসে, শ্রী ভেবেছিলো কদিন পর সেও আসবে। রনো আর সে একসঙ্গে থাকবে। আর সেটাও শ্রীকে দেখতে হবে। তাই অনেক আগে থেকেই ঠিক করেছিল ও দিল্লি চলে যাবে দিদিভাইয়ের কাছে। কথা চলেছে অনেকক্ষন রাত থেকে ভোর হয়ে গেছে। ——————————————————————————————————————————————————- বৌভাতে আন্টির পরিচিত কয়েকজন। রনোর হসপিটালের চেনা জানা ডাক্তার, শ্রীর ইস্কুলের কয়েকজন এসেছেন। আন্টি, রনো রাহুল তিনজনেই এইসব আয়োজন করেছে। রাহুল আর রনো মানা করেছিল। কিন্তু আন্টি বলেছেন অদিতি আর শ্রীও তাঁর মেয়ে তাই কোনো কথা শুনবেন না। রাত হলো। আউট হাউসেই থাকবে ওরা এখন। রনো আর রাহুলের ঘর ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। ঘরে ঢুকে রনো দেখলো শ্রী খাটে বসে আছে। রনো দরজা বন্ধ করে আলমারি থেকে শ্রীর বাক্সটা আর নিজের ওয়ালেট থেকে কিছু একটা নিলো। শ্রীকে বাক্সটা দিয়ে বললো – এই নাও। বাক্সটা দিয়ে শ্রীর কোলে শুয়ে পড়লো। তারপর রনো বাক্সটা খুলে বললো এই আবিরগুলো কিসের ? শ্রী – একটা কাগছ থেকে আবির নিয়ে রনোর গালে মাখিয়ে বললো প্রত্যেক বছর হোলিতে তোমার নাম করে আগে তোমার ফটোতে রং দিতাম, তারপর বাকিটা এখানে রাখতাম। রনো শ্রীকে নিজের কাছে টেনে নিয়ে ওর গালে নিজের গালটা ঘষে রনোর গালে লাগা আবিরটা শ্রীর গালে লাগিয়ে দিয়ে বললো শোধ বোধ। সাথেই বাক্সে থাকা নূপুরটা নিয়ে বললো – এই নূপুরটা ? শ্রী জানতো রনো জানে, তাহলে এমন বলেছে কেন? একটু অভিমান করে বললো জানিনা। রনো – ঠিক কাছে জানতে হবে না, কিন্তু বাক্সে শুধু শুধু পরে আছে, পায়ে পড়লে ভালো দেখাবে? শ্রী- একটা কি করে পরবো ? রনো – দেখছি বলে শ্রীর পায়ে একটা নুপুর পরিয়ে দিলো। আর একটা নুপুর পকেট থেকে বের করে হাতে নিয়ে বললো – একই দেখতে এটা অন্য পায়ে পড়লে কেউ কিছু বুঝতে পারবে না। শ্রীর চোখে জল, বললো এটা সত্যি তোমার কাছে ছিল ? রনো – কুড়িয়ে পেয়েছিলাম আমার ঘরের বিছানায়। মনে হতো যার এটা তাকে একবার দেখতে পেলে। তোমার আমাকে সামনে সামনি দেখতে ইচ্ছা করতো না? শ্রী- করতো তো, খুব দেখতে ইচ্ছা করতো। রনো – আর? আর কি ইচ্ছা করতো ? শ্রী- জানিনা। বলে রনোকে খুব জোরে চেপে জড়িয়ে ধরলো। রনোও তার শ্রীকে জড়িয়ে ধরেছে। রনো বুঝতে পারছে শ্রী কাঁদছে। রনো – শ্রী? এই মেয়েটা? কাঁদছো কেন? মুখ তোলো। বলো কাঁদছো কেন? রাই? রনো শ্রী কে ছাড়িয়ে নিতে গেলো। শ্রী বাধা দিয়ে বললো। একটু এইভাবে তোমাকে জড়িয়ে ধরে থাকতে দাও। সেদিনের পর থেকে এইভাবে কাছে পাওয়া তো অনেক দূর কোনোদিন তোমাকে দেখতে পাবো সেটাই ভাবিনি।একটু ফিল করতে দাও তুমি শুধু আমার। শুধু আমার। রনো আরো শক্ত করে শ্রী জড়িয়ে ধরে বললো – তোমারি তো। শুধু তোমার। আমাকে খুব গালাগালি দিয়েছো এতদিন? শ্রী – না, আমি গালাগালি দিই নি তোমাকে কোনোদিন। রনো – কেন? তুমি তো জানতে যে আমি ঐসব বলেছি তোমার নামে। শ্রী – প্রথমে যখন শুনেছিলাম বিশ্বাস করতে পারিনি তুমি এমন বলতে পারো। পরে মনে হয়েছিল যে বলতে পারো হয়তো। কিন্তু তোমার দোষ কি? আমি তোমাকে না দেখে ভালোবেসেছি বলেই তোমাকেও ভালোবাসতে হবে তার কোনো কথা নেই। রনো – এত ভালোবাসতে? শ্রী – ভালোবাসি। রনো – সরি, সত্যি আমি জানলে হয়তো এতটা কষ্ট পেতে না তুমি। শ্রী- ঠাকুমা বলতো যা হয় ভালোর জন্যই হয়, তখন যদি বিয়ে ঠিক হয় বা বিয়ে হতো হয়তো তোমার মনে হতো জোর করে আমাকে তোমার ঘাড়ে চাপিয়ে দিলো। রনো – সে তো ঘাড়ে চাপলেই? বলে মুচকি হেসে আরো চেপে জড়িয়ে ধরলো। শ্রী- কি? ভালো তো ছাড়ো আমাকে ছাড়বো তো আগে আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দাও, আমার ঘরের বিছানার মাঝামাঝি জায়গায় তুমি কি এমন করছিলে যাতে নুপুর খুলে গেলো। শ্রী রনোকে ছেড়ে উঠে পরে বললো কি করবো? রনো – সেটাই তো জানতে চাইছি যে কি করছিলে ? শ্রী- কিছু করিনি। এমনিই খুলে গেছে। রনো -সত্যি করে বলো। আমাকে ভেবে কি করছিলে। শ্রী দুইকান চাপা দিয়ে বললো- ইসশ, চুপ করো।যা মুখে আসছে বলে যাচ্ছে। রনো – চুপ করবো কেন? তুমি করতে পারো আর আমি বললেই দোষ বলে বাক্সটা পাশের টেবিলে রেখে দিয়ে শুয়ে পড়লো। শ্রীর হাতটা ধরে টেনে নিজের কাছে শ্রীকে টেনে বললো – কি ভাবছিলে বলো, আমি আছি ওখানে , আমার সাথে ………………………. সেই সময়েই রনোর ফোনটা বেজে উঠলো। শ্রী নামটা দেখতে পাচ্ছে ‘মা ” রনো বললো – এখন আবার কি চাই? ফোনটা না ধরে শ্রীকে বললো তুমি ধরো ফোনটা। কে বলছো জিজ্ঞাসা করলে বলো – আমি রনোর ওয়াইফ, রাই। শ্রী- না আমি পারবো না। রনো – আবার? ধরো। এই হ্যাঁ না -এর চক্করে ফোনটা কেটে গেলো। সঙ্গে সঙ্গেই ফের ফোন এলো। এবার রনো বললো আমার দিব্বি, কথা বলো। বলে ফোনটা ধরে লোড স্পীকারে দিয়ে দিলো। শ্রী ভয়ে ভয়ে বললো – হ্যালো রনোর মা – হ্যালো, হ্যালো শ্রী- হ্যালো রনোর মা – এটা রনো মানে ডাক্তার অরণ্যর নাম্বার তো। শ্রী- হ্যাঁ। রনোর মা – আপনি কে? রনো শ্রীকে ইশারা করলো বলো – আমি আমি র র রনোর ওয়াইফ শ্রী, রনোর মা – কি? কি যা তা বলছো? ওর এখনো বিয়ে হয়নি , কে তুমি, পুলিশ কেস করবো তোমার নামে। টাকা হাতানোর ধান্দা সব। রনো কোথায়? ফোনটা চুরি করেছো নাকি ? রনো পাস্ থেকে বললো – মা ও সত্যি বলেছে আমি বিয়ে করেছি। রনোর মা – বিয়ে করেছি মানে, কাকে? রনো – তুমি চেনো ওকে, ও রাই, শ্রীরাধা, দাদু যার সাথে আমার বিয়ে ঠিক করেছিল, আমি যাকে বিয়ে করবো বলে দাদুকে কথা দিয়েছিলাম সেই শ্রী। রনোর মা – কি সব উল্টোপাল্টা কথা বলছো তুমি? রনো -সত্যি কথাটাই বললাম বিশ্বাস করা না করা তোমার ব্যাপার। আচ্ছা আজ আমাদের ফুলসজ্জা, রাখছি। পরে কথা হবে বলে ফোনটা কেটে দিয়ে সাইলেন্ট করে দিলো। শ্রী- এবার কি হবে ? রনো – ফুলসজ্জা। শ্রী- যাহ রনো – যাহ, মানে ? রীতিমতো উপোস করে নিয়ম মেনে বিয়ে করেছি, কালকে কালরাত্রি কাটিয়েছি, আজ ফুলসজ্জা , সো ফুলসজ্জা করে নিয়ম পালন করতে হবে না ? শ্রী- মা মানবে না। রনো – মায়ের কথা কালকে ভাববো।তবে প্রস্তুত থাকো , কাল পরশু আসবেই, যাই বলুক ভ্যা ভ্যা করে কাঁদবে না। দরজায় টোকা রাহুল ডাকলো – এই রনো, তোর মা কল করছে , কি করবো। রনো – কেটে দিয়ে ফোনটা সাইলেন্ট করে ফুলসজ্জা কর। রাহুল – ওকে, বলে চলে গেলো। শ্রী কি একটা বলতে গেলো রনো আর কথা বলতে দিলো না। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - —————————————————————————————————————————– রাহুল ঘরে ঢুকে দেখেছে অদিতি ওর মায়ের সাথে কথা বলছে। অদিতি বাড়িতে বলেছিলো তার এক কলিগের বিয়ে আছে সেখানে গেছে, ফিরে এসে কল করবে। তাই রাত্রে কথা বলছে। ফোনটা রেখেই ভ্যা ভ্যা করে কাঁদতে লাগলো। রাহুল – আছে কাঁদছিস কেন? অদিতি -লোকে কেন কাঁদে? কান্না পাচ্ছে তাই কাঁদছি। মা জানেই না যে আমার বিয়ে হয়ে গেছে, রাহুল সেটাই তো কথা ছিল এখন বলবি না। অদিতি- সব তোর জন্য। রাহুল অদিতিকে জড়িয়ে ধরলো রাহুল, বললো – আমার বাড়িতেও তো জানে না বল। বাবা জানলে কি হবে বুঝতে পারছিস। আমার মুখও দেখবে না আর। সেই সময়েই রনোর মায়ের ফোন এসেছে রাহুলের ফোনে। অদিতি বলেছে আগে রনোকে জিজ্ঞাসা কর ওর মায়ের ফোন ধরবি কিনা? ধরলে কি বলবি, তারপর বাকি কথা। রাহুল -দূর ছাড় অদিতি -তুই যাবি নাকি আমি যাবো? রনোর মা রনোর ফোন পায়নি বলে রাহুলকে কল করেছিল। অদিতি রাহুলকে জোর করে পাঠিয়েছে রনোকে বলতে। যতই ডাকাবুকো হোক বৌকে সে ভয় পায় তাই এসেছে। ঘরে গিয়ে অদিতিকে আর কথা বলতে দেয়নি রাহুল। ————————————————————————————————————————————————— সকালে শ্রী,অদিতি তাড়াতাড়ি উঠে এই বাড়িতে এসে আন্টিকে ব্রেকফাস্ট বানাতে সাহায্য করছে। রনোরা তখনও ফ্রেশ হয়ে ব্রেকফাস্ট করতে আসেনি , একটু পরেই হয়তো আসবে। একটা গাড়ি এসে দাঁড়ালো। এক ভদ্রলোক আর ভদ্রমহিলা এলেন। দরজায় বেল বাজালেন। মিসেস মুখার্জী যেতেই জিজ্ঞাসা করলেন – অরণ্য এইখানেই থাকে ? মিসেস মুখার্জী – হ্যাঁ ,আপনারা ? ভদ্রমহিলা – ওর বাবা মা, একটু ডেকে দেওয়া যাবে। মিসেস মুখার্জী – ডাকছি, আসুন বসুন। তাঁরা ভেতরে এলেন। কিচেনে অদিতিকে দেখে থমকে দাঁড়ালেন। বললেন অদিতি না ? অদিতি – হ্যাঁ আন্টি, ভালো আছেন ? ভদ্রমহিলা – না , ভালো নেই বিয়ে করলে কবে ? রাহুলকেই করেছো নাকি অন্য কাউকে ? অদিতি – হ্যাঁ রাহুলকেই , আর রনো একে। ভদ্রমহিলা – কি? রনো সত্যি বিয়ে করেছে? এই মেয়ে কে তুমি? কি চাও। প্রিয়াঙ্কা রনোর বাবা মা এসেছে শুনেই রনোকে কল করলো। শ্রী প্রণাম করতে গেলো।উনি পা সরিয়ে নিলেন। বললেন কে তুমি? কি যোগ্যতা আছে তোমার? কোথায় বাড়ি? শ্রী- আমায় শ্রীরাধা, রাই, দাদু। …………………………… ভদ্রমহিলা – রাই মানে? সেই নষ্ট মেয়েটা। শ্রী মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইলো . চোখ দিয়ে জল গড়াচ্ছে। সকালে মুখে যে খুশি,আনন্দ ভরা ছিল নিমেষেই উধাও। ভদ্রমহিলা বলেই চললেন, কি দিয়ে বস করেছো তুমি আমার ছেলেকে , নিজেকে কি ভাব ?তুমি আমার ছেলের যোগ্য। যে ভদ্রলোক এসেছেন তিনি বললেন.শোনো এইসব বিয়ে আমরা মানিনা। যদি বিয়ে হয়েও থাকে , কিছুদিন পর রনো ডিভোর্স দিয়ে দেবে ,কিছু টাকা দিয়ে দেব ঝামেলা করো না আর। রনো, রাহুল এসেছে কিন্তু কোনো কথা বলেনি. শুনছে কি বলছে। ভদ্রমহিলা যাবে বললেন – তোমার লজ্জা করেনা। এবার বুঝতে পারছি এমন গায়ে পড়া বলেই ওই ছেলেটা তোমার সাথে নোংরামি করেছিল, নাহলে কোনো মেয়ের গায়ে কেউ এমনি এমনি হাত দেয়। এবার রনো বাস্ট করলো – চিৎকার করে বললো – এনাফ , আমার ওয়াইফকে একটা বাজে কথা বললে আমি কিন্তু সম্পর্ক ভুলে যাবো। এমন কিছু করে বসবো যেটা তোমার ভালো লাগবে না। সো প্লিজ লিভ। ভদ্রমহিলা – রনো তুমি এই মেয়েটার জন্য আমাকে এইসব বলছো। অনেক হয়েছে আমি কোনো কথা শুনবো না ,ব্যাগ প্যাক করো। এখুনি আমাদের সাথে তুমি কলকাতা ফিরবে। আর ডিভোর্স করবে ওই মেয়েটাকে। রনো- আমাকে তোমার এখনো ক্লাস ফাইভ এ পড়া বাচ্চা ছেলে মনে হয় ? ভদ্রলোক – তোমার মা ঠিক বলেছে, আমরা ওকে মানব না। রনো – হু কেয়ারস, আমি মানি ও আমার ওয়াইফ আর ও মানে আমি ওর হাসব্যান্ড। ব্যাস এনাফ। ভদ্রমহিলা – আমি এই বিয়ে মানব না রনো, আমি সুনিতাকে কথা দিয়েছি, রেনেসাঁকে তুমি বিয়ে করবে। কেউ কিছু জানবে না , চলো শ্রী ঘরে চলে যাচ্ছিলো রনো বললো রাই ঘরে যাবে না। দাড়াও এখানে। শ্রী কথা শুনলো না। শ্রী ঘরে গেলো – অদিতি পিছু পিছু ছুটলো। রনো ওর মাকে বললো – যদি রাই এর কিছু হয় তোমাকে আমি ছাড়বোনা মা, একবার ক্ষমা করেছি আর নয়। ভদ্রমহিলা – কিসের ক্ষমা? কি করেছি আমি? তোমার ভালো চেয়েছি। ভদ্রলোক – এতটা নিচে নেমেছ ওই মেয়েটার জন্য। নিজের মায়ের সম্পর্কে এই সব বলতেও মুখে বাঁধছে না। ছিঃ বলো কি করেছে তোমার মা? রনো সবাইকে বললো- আপনারা একটু ভেতরে যাবেন আমি একটু একা কথা বলতে চাই। . সবাই যে যার ঘরে চলে গেলো। রনো আস্তে আস্তে বললো, দাদুকে খুন করেছে মা। ভদ্রমহিলা -রনো ? রনো -তুমি জানতে দাদুকে সেইমাত্র প্রেসারের ওষুধ খাইয়েছে কাকিমা, তারপরেও কেন খাওয়ালে ওই একই ওষুধ? ভদ্রমহিলা থতমত খেয়ে বললেন – আমি জানতাম না , রনো – জানতে, আমি জানি জানতে। ভদ্রমহিলা বললেন – আমি জানতাম না, জানলে খাওয়াতাম না। ভদ্রলোক – মানে? বাবাকে ভুল ওষুধ দিয়ে ? রনো – আমি জানি তুমি ইচ্ছা করে দিয়েছিলে, ছোটমা তোমাকে বলেছিলো আমার সামনে যে প্রেসারের ওষুধ খেয়ে দিয়েছি, দিদিভাই জ্বর আবার এলে প্যারাসিটামল খাইয়ে দিও। আমি খেয়ে আবার আসছি। তুমি ইচ্ছা করে প্যারাসিটামল না খাইয়ে, সেই ওষুধ ফেলে দিয়ে ফের প্রেসারের ওষুধ খেয়ে দিয়েছিলে। ভদ্রলোক – চন্দ্রিমা? তুমি?ছিঃ ভদ্রলোক বেরিয়ে গেলেন। ভদ্রমহিলা মাথা নিচু করে বললেন, আমি তোমার ভালো চেয়েছিলাম, উনি বেঁচে থাকলে তোমার বিয়ে যার তার সাথে দিয়ে দিতেন।তোমাকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিতেন। রনো – তুমি পারলে না মা আটকাতে । বিয়ে আমার তার সাথেই হলো যার সাথে দাদু আমার বিয়ে ঠিক করেছিল। ভেবোনা এই কথাগুলো কেউ শুনতে পায়নি। কেউ তোমার নামে পুলিশে রিপোর্ট করবে না। ভদ্রমহিলা আস্তে আস্তে ঘর থেকে বেরিয়ে চলে গেলেন। রনো শ্রীর ঘরে গিয়ে দেখলো অদিতি শ্রীকে সামলাচ্ছে। আর শ্রী কাঁদছে। অদিতি রনোকে দেখে ঘর থেকে দরজা বন্ধ করে বেরিয়ে গেল । রনো ইচ্ছা করলে আরো ওর মাকে অপমান করতে পারতো। কিন্তু এতগুলো লোকের সামনে আর নিচে নামাতে ইচ্ছা করলো না। রনো বলতে পারতো- ওর মা ইচ্ছা করে শ্রীর ঠাকুমাকে ঐসব বলেছিলো, বলতেই পারতো রনোকে মিথ্যা বলেছিলো শ্রীর বিয়ে হয়ে গেছে। নাতাশাকে পছন্দ ছিল , কেননা ওর বাবা কলকাতার বড়বাজারের একজন বড় ব্যবসায়ী ,ছেলে থাকলেও একমাত্র মেয়ে নাতাশা। আর ওই সুনিতা না অনিতার মেয়ে সেও কোটিপতি বাবার একমাত্র মেয়ে। রনো শ্রীকে ডাকলো , শ্রী ? কেন কাঁদছো? আমি তোমাকে বলেছিলাম তো যে এমন কিছু একটা হবে। শ্রী -তোমার মা আমাকে এতটা ঘৃণা করে ? রনো – যে নিজে নোংরা তার তো সবাইকে নোংরাই মনে হবে। শ্রী মানে ? রনো – দাদু মারা যাওয়ার কথাটা বললো। বললো আগে থেকেই মায়ের সাথে তেমন ভালো সম্পর্ক ছিল না। দাদুকে আমি খুব ভালোবাসতাম। মা সেদিন দাদুকে ওষুধ খাওয়াচ্ছে দেখেছিলাম। কিন্তু বুঝতে পারিনি যে ফের প্রেসারের মেডিসিন টা দিচ্ছে। দাদু মারা যাবার অনেকদিন পর কথা প্রসঙ্গে একদিন ছোট কাকিমা বলে যে বাবা কি একটা প্রেসারের ওষুধ বেশি খেয়ে নিয়েছিলেন একটা প্রেসারের ওষুধ কম ছিল। ছোট কাকিমা দাদুর দেখভাল করতো তাই সে ভালো করে জানতো যে দাদুর কত কি মেডিসিন আছে, আর কি আনতে হবে। সাথেই বলেছিলো একটি প্যারাসিটামল পিল কম ছিল। আর দাদুর ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে আলমারির পিছন থেকে একটি প্যারাসিটামল পিল পাওয়া গেছে। কথাটা শুনেই মায়ের মুখটা বদলে গিয়েছিলো। ছোট কাকিমা জিজ্ঞাসা করেছিল মাকে – দিদিভাই বাবাকে তুমি কোনো ওষুধ খাইয়েছিলে? ? মা বলেছিলো না। আর কিছু বুঝতে বাকি ছিল না আমার। সেদিন থেকে মাকে আমি ঘৃণা করতাম। কিন্তু বলতে পারিনি কোনোদিন কাউকে। কেউ জান্তব না আমি ছাড়া। আজ বাবা জন্য। প্লিজ তুমি এটা কাউকে বোলো না। মাকে সবার সামনে এতটা ছোট হতে দেখতে পারবো না। শ্রী- বললো না। রনো -আমি ভীষণ একা শ্রী তোমার মতোই, তুমি,রাহুল অদিতি ছাড়া আর কেউ নেই। আর তুমি যখন ছিলে না তখন রাহুল, অদিতি ছিল শুধু। শ্রী রনোকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বললো। আমি আছি তো। রনোও ওকে নিজের মধ্যে চেপে জড়িয়ে ধরলো। ———————————————————————————————————————————————————- কদিন পর রনোর বাবা ফোন করেছিল, বলেছে আমি তোমাদের বিয়ে মেনে নিয়েছি, ভালো থেকো , যখন খুশি রাইকে নিয়ে বাড়িতে আসতে পারো। এটা তোমার বাড়ি আগে যেমন ছিল তেমনি আছে। রনোর মা তার পর থেকে আর ফোন করেনি। শরীর খুব খারাপ করেছিল। রনো ফোন করেছিল। তিনিও জানিয়েছেন তিনি শ্রীকে মেনে নিয়েছেন। সাথেই রনোর থেকে ক্ষমা চেয়েছেন। শ্রীর কাছেও ক্ষমা চেয়েছেন। এদিকে রাহুলের দিদির বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে, রাহুলের বাবা ছেলেকে জানিয়েছেন দিদির বিয়ে হলেই ওদের বিয়ে দিয়ে দেবেন। রাহুল ভয়ে ভয়ে বলেছে ওরা বিয়ে করে নিয়েছে। কদিন কথা বলেননি। তারপর মেয়ের বিয়ের আনন্দে মেনে নিয়েছেন। ছেলের বোনও বাড়িথেকে বেরিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছে ফলে আর মুখ পড়ার ভয় নেই। মেনে নিয়েছেন। অদিতির বাড়ি থেকে মেনে নিয়েছে। তারা অনেক আগেই চাইতেন যে অদিতি রাহুল বিয়ে করুক। শ্রীর মা বাবার তরফ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। কিন্তু শ্রীর জ্যাঠার ছেলে অনেক আশীর্বাদ করেছেন ,এসেছিলেন গিফট নিয়ে, ঠাকুমা মারা যাবার আগে শ্রীর নাম নিজের গয়না তার হাতে দিয়ে গিয়েছিলেন। সেগুলো দিয়ে গেছেন।সাথেই জানিয়েছে যে, প্রবীর এখন জেলে আছে। ওর নামে একটি মেয়ে সেক্সচুয়ালি হারাসমেন্টের অভিযোগ জানিয়েছিল। আর সেই কারণেই ডাক্তারির রেজিস্ট্রেশন বাতিল হতে পারে। রনোরা বড়সড় ছুটি নিয়েছে। রাহুলের দিদির বিয়ে, তারপর কোলকাতা নিজের বাড়ি, আর তারপর দেশের বাড়ি সব ঘুরবে। মিসেস মুখার্জী অদিতি আর শ্রীকে দুটো রাধাকৃশেনর মূর্তি দিয়েছেন। এখন আর কোনো বাধা নেই। মন থেকেই পুজো করে শ্রী, অদিতি। আর সাদা রংটা এখন যেন বেখাপ্পা লাগে শ্রীর। একেবারেই পরে না। মিসেস মুখার্জীর বাড়িতে আরো নতুন মেয়েরা এসেছে। রণদের এইবাড়ির দোতলার দুটো ঘর দিয়েছে। নিজে অন্যমেয়েদের সাথে থাকেন। আউট হাউসেও ভাড়া দেবেন লোক খুঁজছেন। ৩ টি ছেলে এসেছিলো দেখা করতে কি হয়েছে এখনো খবর পাওয়া যায়নি। হয়তো আবার কোনো প্রেমকাহিনী শুরু হবে মিসেস মুখার্জীর বাড়িতে। হলে অবশ্যই জানাবো। ততক্ষন ভালো থাকুন, সাথে থাকুন, পাশে থাকুন। আগের পর্ব –রাই-কেশব (লাভ স্টোরি ) কলমে – অপরাজিতা = পর্ব ১৩ আমাদের অন্যান্য গল্প পড়তে ক্লিক করুন – অপরাজিতা ফিরে আসছি আবার কোনো নতুন প্রেমকাহিনী নিয়ে। সাথে থাকুন , পাশে থাকুন, — প্রিয়বন্ধু বাংলা আপনার মতামত জানান -