এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > রাই-কেশব (লাভ স্টোরি ) কলমে – অপরাজিতা = পর্ব ১১

রাই-কেশব (লাভ স্টোরি ) কলমে – অপরাজিতা = পর্ব ১১


রনো -দেখুন দিদিভাই – আমার এই বাক্সটা দরকার ?

প্রিয়াঙ্কা – কেন?

রনো – আমি শ্রীকে ভালোবাসি, আর আমি জানি …………………………..

প্রিয়াঙ্কা – আচ্ছা ? কবে থেকে ?

রনো – সরি।

প্রিয়াঙ্কা – হুম, ওই যে বললে শ্রী কে ভালোবাসো ,সেটাই জানতে চাইছি কবে থেকে ?

রনো – কবে থেকে জানিনা, কিন্তু ভালোবাসি।

প্রিয়াঙ্কা – ওহ, আমি যা শুনলাম শ্রীর থেকে তাতে তুমি জেনে গেছো ও রাই। মানে যার সাথে তোমার বিয়ে ঠিক করেছিলেন তোমার দাদু। তা তোমার কবে থেকে মনে হলো যে ও আর নষ্ট মেয়ে নেই ?।

রনো – হোয়াট ? কি বলছেন এসব?

প্রিয়াঙ্কা – আকাশ থেকে পড়ছো কেন? কিছু মনে পড়ছে না। হুম অনেকদিন আগেকার কথা তো ? তো এখন কি চাও ?ওকে মেরে ফেলতে ?

রনো – আপনি এসব কি বলছেন ? আমি শ্রী কে ভালোবাসি।

প্রিয়াঙ্কা রেগে তাকালো রনোর দিকে। দাঁতে দাঁত চেপে বললো – একদম নাটক করবে না। তোমার মতো ছেলেরা কাউকে ভালোবাসতে পারে না।

রাহুল এগিয়ে এসে বললো – দিদিভাই আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে।

প্রিয়াঙ্কা – আচ্ছা, তোমার বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করো যে সে বলেছিলো কিনা যে রাই একটা নষ্ট মেয়ে হয়ে গেছে ,আর ওকে বিয়ে করা তার পক্ষে আর সম্ভব নয়।

রনো চেঁচিয়ে বললো আপনি চুপ করুন প্লিজ। আমি এসব কিছু বলিনি। এসব বলা তো দূর, আমি রাই এর সম্পর্কে , শুধু রাই কেন কোনো মেয়ের সম্পর্কে এসব ভাবতেও পারিনা।

প্রিয়াঙ্কা – আচ্ছা , তার মানে তুমি ওর ঠাকুমা কে এসব বলোনি।

রনো – আমি ওর ঠাকুমাকে কখন এসব বললাম? ওর ঠাকুমার সাথে আমার কোনোদিন কথা হয়নি।

প্রিয়াঙ্কা – ওর ঠাকুমার সাথে কথা হয়নি? তোমার দাদু যেদিন মারা যায় ওর ঠাকুমা তোমাদের বাড়িয়ে ফোন করেনি? তুমি ফোনটা ধরো নি ?

রনো – হ্যাঁ ধরেছিলাম। উনি ফোন করার কিছুক্ষন আগেই দাদু মারা গেছে অনেকে কল করছিলেন,.উনিও ফোন করেছিলেন। আমি ফোনটা ধরেছিলাম, ভালো শুনতে পাচ্ছিলাম না , বার বার জিজ্ঞাসা করার পর শুনতে পাই উনি রাইয়ের ঠাকুমা বলছেন। দাদুকে দিতে বললেন। মা আমার কাছেই ছিল মা ফোনটা ধরলো আর আমাকে বললো দাদুর কাছে উপরে যেতে। আমি চলে গেলাম। পরে জানলাম উনি জানতেন না। হোলির শুভেচ্ছা জানানোর জন্য কল করেছিলেন।

প্রিয়াঙ্কা – বাহ্ , বেশ গুছিয়ে মিথ্যা কথা বলো তো তুমি।

রনো – আপনি বিশ্বাস করুন আমি ওর ঠাকুমাকে কোনো খারাপ কথা কেন? কোনো কথাই বলিনি।

প্রিয়াঙ্কা – ওর ঠাকুমাকে নয়, তোমার মাকে বলেছিলে, তোমার মা ভায়া হয়ে সেটা রাইয়ের ঠাকুমাকে বলেছিলো। এটা তফাৎ।

রনো – কি মা ?মা বলেছে আমি এসব বলেছি। রাই এর কি হয়েছে না হয়েছে আমি কাল সন্ধেয় অবধি জানতাম না। কালরাতে ও জ্বরের ঘোরে অনেক কিছু বলে , যে কারণে আন্টি আমাদের সব বলেন।

প্রিয়াঙ্কা – কি?

রাহুল – হুম । ও জানতো ও না যে শ্রী ই রাই। কালকেই সব পরিষ্কার হয়েছে। এবার একে একে সব কথা বললো রাহুল সেই দোলের দিন শ্রীকে রনোর রং মাখানো থেকে শুরু করে। আজ সকালের কথা সব।

রনো – দিদিভাই,আমি ভালো ছেলে নয়, আমি অনেক ছেলের মাথা ফাটিয়েছি, নাক ফাটিয়েছি, পাইপ বেয়ে আমাদের হোস্টেলের ঘরে গেছি।বন্ধুর গার্ল ফ্রেন্ডকে বিয়ের মণ্ডপ থেকে ভাগিয়ে এনে বিয়ে দিয়েছি। কিন্তু কোনো মেয়েকে কোনোদিন অসম্মান করিনি। দাদু আমাকে সেই শিক্ষা দেয়নি।

রাহুল – হ্যাঁ দিদিভাই, আমি আর রনো একসঙ্গেই পড়াশোনা করেছি। কিন্তু রনো কে কোনোদিন কোনো মেয়ের সম্পকে কোনো খারাপ কথা বলতে শুনিনি। আমরা ভালো ছেলে নয়, কিন্তু মেয়েদেরকে ছোট করবো এমন নয় দিদিভাই। আমি রনোকে চিনি রনো এই কথা বলেনি, বলতে পারে না।

রনো – আপনি আমাকে বলবেন প্লিজ, সেদিন ঠিক কি কথা হয়েছিল ওর ঠাকুমার সাথে আমার মায়ের।

প্রিয়াঙ্কা – আমি যতদূর জানি। ওই ঘটনার পর শ্রীকে ওদের বাড়ি থেকে অন্য জায়গায় পাঠিয়ে দেবার কথা হয়। শ্রীকে মারধর ও করা হয়। ওর ঠাকুমা কোনো উপায় না দেখে তোমার দাদুর সাথে কথা বলার জন্য ফোন করেন তোমাদের বাড়িতে।
তুমি ফোনটা তুলেছিলে। তোমাকে সব বলে কি হয়েছে না হয়েছে। আর তোমার দাদুর সাথে কথা বলতে চান। তুমি কোনো সারা দাওনি। তোমার মাকে ফোনটা দিয়েছিলে। তিনি বলেন তোমার দাদু মারা গেছে। আর তুমি অন্য একজনকে পছন্দ করো তাকে বিয়ে করবে।
শ্রীর ঠাকুমা প্রায় তোমার মায়ের পায়ে ধরতে বাকি রাখেন তিনি জানান ছেলেকে জিজ্ঞাসা করে পরে জানাচ্ছেন। কিছুক্ষন পরে তোমার মা ফোন করে জানান যে ,তুমি বলেছো রাই নষ্ট হয়ে গেছে ,আর তাকে তোমার পক্ষে বিয়ে ওরা সম্ভব নয়, দাদু কাকে কি কথা দিয়েছে বলে তুমি তোমার লাইফটা হেল করবে না। দাদু মারা গেছে তার সঙ্গে দাদুর দেওয়া কথাও। তবুও শ্রীর ঠাকুমা অনেক কান্নাকাটি করছিলেন কিন্তু তোমার মায়ের স্পষ্ট কথা ছিল যে তুমি রাজি নও। আর শ্রীকে নিয়ে তোমার বা তোমার বাড়ির লোকের কিছু করার নেই।

রনো – ছিঃ , মাকে এর জবাব দিতেই হবে আমাকে। এতটা নিচে কি করে নামলো মা , আমাকেও টেনে নামালো এতটা নিচে।

রাহুল – রনো প্লিজ, সামলা, এখুনি কিছু করিস না।

রনো – এখন ই , মা এখনই আমাকে উত্তর দেবে কেন করলো? মা সবটা জেনেছিলো শ্রীর সাথে কি হয়েছে তবুও, হয়তো তখনই বিয়ে হতো না কিন্তু একটা অসহায় মানুষ কে ঐভাবে ছিঃ। সব শেষ করে দিলে তুমি মা। সব

রাহুল – রনো দেখ এখন এত রাত্রে , কালকে বলবি যা বলার।

রনোর মাথায় যেন বাজ পড়েছে। ওর মুখ দেখলেই বোঝা যাচ্ছে কতটা কষ্ট পেয়েছে ও। বললো – তুই ভাবতে পারছিস শ্রী আমাকে নিয়ে কি ভাবে? কতটা ঘৃণা করে আমাকে ? আর আমি ভাবছি শ্রী আমাকে ভালোবাসে ? মা আমাকে এতটা নিচে নামিয়ে দিলো , নিজের ছেলেকে। আমি মায়ের কাছে শুধু টাকা রোজকারের মেশিন হয়ে রয়ে গেলাম রাহুল। শুধু টাকা রোজগারের মেশিন বলে রাহুলকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললো।

রাহুল- রনো সামলা নিজেকে , কি হচ্ছে এগুলো।

রনো নিজেকে সামলে বললো- দিদিভাই আমি খুব খারাপ কিন্তু এতটাও খারাপ নয়, আমি সত্যি বলিনি।

একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ঘর থেকে বাড়িয়ে গেলো।

রাহুল পিছু পিছু গেলো। বাক্স পরে রইলো।

রনো যেতে যেতেই পকেট থেকে ফোন বের করতেই রাহুল ফোনটা কেড়ে নিলো। রনো দাঁড়িয়ে পড়লো বাইরের লনে, দাঁড়ালো রাহুলও।

রনো – ফোন দে, মাকে আমাকে এর জবাব দিতেই হবে।

রাহুল – তোর মা স্বীকার করবে ,যে এই কথাগুলো তোর মা বলেছে শ্রীর ঠাকুমাকে , উল্টে অনেকে খারাপ কথা বলবে, হয়তো এখানে এসে শ্রীকে যাচ্ছেতাই করবে। তোদের দুজনের দূরত্ত্বতা আরো বাড়বে।

রনো – তাহলে কি বলছিস? সব জেনে চুপ থাকবো।

রাহুল – না, তুই শ্রীর সাথে কথা বল, সব ভুলবোঝাবুঝি মিটিয়ে নে। ওকে বিয়ে কর তারপর তোর মাকে সারপ্রাইস দে। উনি তো এতকিছু করেছেন যাতে তোর সাথে শ্রীর বিয়ে না হয় তার জন্য।

রনো – দিদিভাইই বিশ্বাস করছে না তো শ্রী, সব শেষ হয়ে গেলো রাহুল, সব। মা আমাকে শেষ করে দিলো। মায়ের সাথে আমার যতই দূরত্ত্ব থাকুক কোথাও একটা সুতো ছিল যেটা বেঁধে রেখেছিলো আমাকে মায়ের সাথে। আজ সেটাও ছিঁড়ে গেলো রাহুল। শুধু স্বার্থের জন্য মা হয়ে ছেলেকে এতটা নিচে নামাতে পারলো মা।

রাহুল – দেখ আমি সব জানি, আমাকে আর নতুন করে কিছু বলতে হবে না।

প্রিয়াঙ্কা দাঁড়িয়ে সব শুনেছে। মানুষ চেনে প্রিয়াঙ্কা। বললো মায়ের এগেনস্টে গিয়ে বিয়ে করতে পারবে শ্রীকে।

রনো চমকে উঠে বললো- আপনি বিশ্বাস করেছেন আমাকে ?

প্রিয়াঙ্কা – যা জিজ্ঞাসা করছি তার উত্তর দাও।

রনো – পারবো, শ্রীকে আমি আগলে রাখবো দিদিভাই। মায়ের সাথে আমার সম্পর্ক ভালো নয় কোনো কালেই ভালো ছিলোনা। আর আমি দাদুকে কথাও দিয়েছিলাম যে আমি শ্রীকে বিয়ে করবো। যা নিয়েই আরো দূরত্ব বেড়েছিল আমার সাথে মায়ের। আর সেই কারণেই মা শ্রীর ঠাকুমাকে আমার নামে ঐসব বলেছে।

প্রিয়াঙ্কা – তুমি শ্রীকে বিয়ে করতে চেয়েছিলে?

রাহুল – হুম , রানোর দাদুর সাথে রনোর যা কথা হয়েছিল সব বললো। নুপুরের কথাটাও , এমনকি নাতাশার সাথে জড়াতে চাইনি, মা বলেছিলো শ্রীর বিয়ে হয়ে গেছে তাই, তবু নাতাশার সাথে দূরত্ত্ব ছিল সব কথা বললো।

প্রিয়াঙ্কা – দাড়াও আমি আসছি। কিছুক্ষন পরে বাক্সটা নিয়ে এসে রনোর হাতে দিয়ে বললো চাবি খুলে দিয়েছি।

রনো – থ্যাংক ইউ, দিদিভাই

রাহুল – থ্যাংক ইউ, কিন্তু চাবি খোলার দরকার ছিল না কেননা স্ক্রু ডাইভার দিয়ে খুলে নিতো রনো লকটা।

প্রিয়াঙ্কা – কি?

রনো রাহুলের দিকে তাকালো, একটা ইশারা করে বললো। ও মজা করছে দিদিভাই।

প্রিয়াঙ্কা – একটা কথা, শ্রীর ঘরে ঢুকে আলমারি খুললে ও কিছু বুঝতে পারলো না কেন? আর দরজা খুলে দিলো কে?

রনো – অদিতি দরজা খুলে দিয়েছে, আর

প্রিয়াঙ্কা – আর ?

রনো মাথা নিচু করে বললো – ক্লোরোফর্ম দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছি তাই বুঝতে পারেনি, কাল সকালে উঠে পড়বে । খুব অল্প দিয়েছি।

পিয়াঙ্কা – মানে? মা ঠিক বলে তোমরা দুটো ডাকাত। যাও এখন অনেক রাত হয়েছে। আমি কাল কথা বলবো শ্রীর সাথে।
রনো – থ্যাংক ইউ দি

——————————————————————————————————————-

 

রনো ঘরে গিয়ে বাক্সটা খুললো। অনেক কিছু আছে সেখানে। ডাইরিটা তুলে নিলো রনো। ডাইরিটা অনেক দিন আগেকার। ডাইরির প্রথমেই কতকগুলো ফটো। একটা রনোর ফটো। কলেজে সেই ভর্তি হয়েছে রনো তখনকার ফটো। আরো কতকগুলো ফটো। একটা বয়স্ক ভদ্রলোক আর ভদ্রমহিলার। রনোর বুঝতে অসুবিধা হলো না ওনারা শ্রীর দাদু ঠাকুমা। আর একটা ফটো রনোর দাদু ঠাকুমার। আর একটা ফটো শ্রীর বাড়ির লোকের।শ্রীর একটা ফটো একটা প্রাণবন্ত মেয়ে, ক্লাস ৯-১০ হবে, সদ্য শাড়ী পড়ছে। খুব মিষ্টি লাগছে।

রনো নিজের ফটোটা উল্টে পিছনে দেখলো কিছু লেখা আছে।

ওপরের দিকে লেখা —-

” ভালোবেসে সখী, নিভৃতে যতনে
আমার নামটি লিখো-তোমার
মনের মন্দিরে।”

কিন্তু সেটা লাল কালি দিয়ে কাটা।

আর নিচের দিকে লেখা —-

“তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম
তুমি রবে নীরবে।”

ডাইরির পাতা উল্টালো রনো। একের পর এক ভালোবাসার কথা লেখা। পাগলের মতো কেউ কাউকে ভালোবাসলে লেখে এইসব, অনেক গল্প, অনেকে কথা, অনেক কষ্ট লেখা। আর প্রত্যেকটাই কেশবকে লেখা। যেন কেশবকে চিঠি লিখেছে শ্রী। কোথাও ঝগড়া করেছে, কোথাও রাগ করেছে , কোথাও নিজের ভালোলাগার কথা। কেশবের কথা।ওর মা ভালোবাসে না সেই কষ্টের কথা , কেশব ওকে যেন আগলে রাখে সেই কথা, গোটা টা জুড়েই শুধু কেশবের কথা। রোজকার লেখা নয়, কোনো বড় বড় ঘটনা নিয়ে লেখা। দিদির বিয়েতে লেখা -“আজ যেমন জামাইবাবু দিদিকে বিয়ে করে নিয়ে গেলো তুমি আসবে একদিন আমাকে এইভাবেই নিতে আমি জানি।”

প্রবীরের কথা। প্রবীর ওর কাকিমার সেই দাদার ছেলে। সে চেনে কেশবকে, তার কাছে কেশবের কথা শুনতে যায় শ্রী। সে কি বলেছে কেশবকে নিয়ে সেটাও লেখা।

দাদু ওকে রনোকে নিয়ে কি বলেছে সে সব লেখা। যেন রনোকেই বলছে ও সেইভাবেই লেখা। রনোদের বাড়িতে ওর নুপুর ফেলে আসা, একটুর জন্য ওর সাথে একটুর জন্য দেখা না হওয়া সব লেখা, ওর নুপুর ওর কেশব খুঁজে পেয়েছে সেটাও লেখা।

সবশেষে – প্রবীর ওর সাথে কি করেছে সেটা লেখা। তার সঙ্গে রনো ওকে বলেছে- ও নষ্ট হয়েগেছে সেসব লেখা। সব শেষে লেখা – আজ ওর জীবন থেকে সব রং মুছে গেলো,আজ সবার সাথে ওর বিচ্ছেদ, ও একা। আজ সবাই ছেড়ে চলে গেছে ওকে , দাদু, aকেশব, আর ও নিজে আজ রাধা -কৃষ্ণের সাথে সব সম্পর্ক শেষ করে দিয়েছে। ওর আর কেউ নেই শুধু স্মৃতি ছাড়া। ওর কেশব যেন ভালো থাকে। আজ থেকে ও কেশবকেও মুক্তি দিলো।

আর কিছু লেখা নেই ডাইরিতে।

ডাইরিটা বিছানায় রেখে বাক্সোতে দেখলো ৩ – ৪ তে কাগজে মোড়া আবির। একটা রুমালে মোড়া দুটো সোনার চুড়ি জাতীয় কিছু।  ওগুলো ঠাকুমার চুড়ি রনো চিনতে পেরেছে। দাদু একবার বলেছিলো এগুলো রাইকে দেবে আশীর্বাদ স্বরূপ , রনো মানা করেছিল – বলেছিলো এখনই এত বাড়াবাড়ির দরকার নেই। যখন বিয়ে হবে তখন দেবে। দাদু দিয়েছিলো কিনা জানতো না রনো। আজ দেখছে দিয়েছে। আর একটা রুমালে সেই নুপুরের একটা, যার একটা আছে রনোর কাছে। আর বাক্সে রয়েছে কতকগুলো শুকনো ফুল। একটা কাঠের পেন, পেনটা চেনে রনো। দাদু দীঘা বেড়াতে গিয়ে এনেছিল রনোর জন্য। রনোর ঘরে ছিল।আর কিছু নেই বাক্সোতে। রনো সব কিছু একে একে ভেতরে রেখে দিয়ে বাক্সটা বন্ধ করে দিলো। শুধু শ্রীর ফটোটা বাইরে রাখলো।

 

———————————————————————————————————————————

 

আগের পর্ব –রাই-কেশব (লাভ স্টোরি ) কলমে – অপরাজিতা = পর্ব ১০

 

 

পরের পর্ব- রাই-কেশব (লাভ স্টোরি ) কলমে – অপরাজিতা = পর্ব ১২

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!