এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > রাই-কেশব (লাভ স্টোরি ) কলমে – অপরাজিতা = পর্ব ২

রাই-কেশব (লাভ স্টোরি ) কলমে – অপরাজিতা = পর্ব ২


রনো বারান্দায় উঠে দেখলো দরজা বন্ধ ভেতর থেকে। অনেক বার ডাকলো অদিতিকে , না কেউ খুললো না। রগে চোয়াল শক্ত করে বেরিয়ে গেলো বাইক নিয়ে।

এদিকে বাইকের স্টার্ট শুনেই ঘুম ভেঙেছিল রাহুলের। অদিতি ওকে থ্রেট দিয়ে রেখেছিলো-যদি রনো কি করছে তার খবর ওর কাছে না যায় তাহলে ব্রেক আপ করে দেবে। ভয়ে ছেলে কি আর করবে ? আজকে ব্রেস্ট ফ্রেন্ডকে নয় গার্লফ্রেন্ডকেই বেছে নিতে হয়েছিল। অদিতিকে কল করে বলেছিলো রনো বাইক নিয়ে বেরিয়েছে তবে কোথায় গেছে জানে না। অদিতি বুঝে গিয়েছিলো এখানেই আসছে। সেই মতো লক্ষ্য রাখছিলো। আর সেই স বের মাঝেই ফের রাহুল কল করে রনো গেছে নাকি জানতে। আর তখনি ঘটে যায় এইসব। যখনই অদিতি দেখেছে রণকে ডেকেছে।

রনো বাইক রেখে দরজা খুলে ঢুকলো ঘরে। রাহুল বাইরেই ছিল সে দেখে জিজ্ঞাসা করলো ,রং মাখাতে পারলি?কোনো সাড়া না দিয়ে নিজের ঘরে গিয়ে জোরে দরজা বন্ধ করে দিলো রনো। এই রনো কি হলো? রনো। কোনো সাড়া নেই। কিন্তু মুখ দেখি বুঝেছে কিছু একটা হয়েছে। রাহুল ভাবছে – গার্ল ফ্রেন্ড ওর রাগ করলে ওর করা উচিত কিন্তু তা নয়, রনোর কি হলো। রং মাখাতে পারেনি বলে রাগ করেছে ? ওর গালে মাখিয়েছে অদিতি তাই রেগে গেছে ? কি কেস ? ও যেমন স্পোর্টিং ছেলে তাতে রং মাখালে কিছু মনে করবে না ও। তবে কি হলো? তবে কি মালকিন দেখেছে? নাকি যায়নি। দূর। অদিতিকে কল করলো, সেও তুলছে না।

কিছুক্ষন পর বের হলো রনো ঘর থেকে। রাহুল – এই কি হয়েছে ? রেগে আছিস কেন? তোর গালে রং ? কি ব্যাপার বল।

রনো – অদিতিকে কল করে বল কখন ও আসবে? আমাকে সব জানতে হবে। কেন মিথ্যা কথা বলেছিলো অদিতি ,আর কেনই বা ও চড় মারলো।

রাহুল – অদিতি চড় মেরেছে তোকে ? কেন?

রনো – অদিতি নয়, ও ?

রাহুল – ও ,ও টা কে? মালকিন?

রনো – না রে বাবা , ওই মেয়েটা শ্রী

রাহুল – সর্বনাশ – শ্রী? কথা থেকে এলো? আর তোকে চড় মারল কেন?

রনো – মানে তুই ও চিনিস ইও মেয়েটাকে, তাহলে সেদিন অদিতি বললো ও ছাড়া আর কেউ থাকে না ?

রাহুল- আরে অদিতি বলেছি আর কেউ ভাড়া থাকে না। আপাতত। যারা ছিল তারা চলে গেছে। আর শ্রী ভাড়াটে নয়। মিসেস মুখার্জীর কেউ আত্মীয় হবে। কিন্তু ও একটু অন্যরকম,বাইরে বের হয়না ,কথা বলে না। তুই কোথায় পেলি? আর তোকে চড় মারলো কেন?

রনো বললো রাহুলকে কি হয়েছে ওখানে।

রনো বললো –  মেয়েটাকে আমাকে বলতেই হবে আমি সরি বলার পরেও কেন চড় মারলো ?

রাহুল – দেখ ভাই, ওকে ছাড়. ও একটু অন্যরকম।

রনো – না, ওকে জবাব দিতেই হবে আমাকে।

ফের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিলো।

কি জ্বালা, কিছু একটা তো বাঁধাবেই রনো। সর্বনাশ। অদিতিকে কল করে জানাবে।

অদিতি ফোন ধরে বললো – অনেক কষ্টে সামলেছে শ্রীকে। মিসেস মুখার্জী কিছুই জানেন না। তিনি এইমাত্র এসেছেন। বিকেলে আসছে অদিতি। রনো কি করছে ? জানতে চাইলো।

রাহুল বললো- রনোর বর্তমান অবস্থা।

বিকেলে অদিতি এসেছে। রনো রাহুল আর অদিতি একসঙ্গে বসেছে।

রনো – চল।

অদিতি – কোথায়?

রনো – তোর বাড়ি। আমাকে ও সরি বলবে। কেন চড় মারলো।

অদিতি – শোন্ রনো, দেখ একটু মাথা ঠান্ডা কর।

রনো – কিছু শোনার নেই। তুই আমার সাথে যাবি।

অদিতি আচ্ছা – আমার সব কথাটা শোন্। দেখ ও আমাদের মতো নয়, অন্যরকম। একেবারে অন্যরকম।

রনো – কি রকম ?

অদিতি – রনো, দেখ আমি আজ ২ বছর ওর সাথে আছি। আজ পর্যন্ত ওকে সাদা ছাড়া কোনো রং পড়তে দেখিনি, ওর ঘরে যদি ঢুকিস দেখবি সব সাদা। ও কোনো রং পছন্দ করে না। আমার মনে হয় তুই ওকে লাল রং মাখিয়েছিস বলেই চড় মেরেছে। তুই আজকে তারপর ওকে দেখিস নি , বাথরুমে শাওয়ার খুলে মুখের কিভাবে রং তুলছিলো , মনে হচ্ছিলো কেউ ওর মুখে এমন কিছু দিয়েছে যেটা ও ভীষণ ঘেন্না করে। তারপর জলের নিচে বসে অঝোরে কেঁদে গেছে। তুই দেখলে তোর মায়া হতো ওকে দেখে। আমি বললাম – এটা লাল আবির, এখুনি উঠে যাবে। কিন্তু পাগলের মতো সাবান ঘষছিলো ও। সবটা উঠে যাবার পর বার বার আয়না দেখছিলো আর আছে কিনা ? কিছুক্ষন পর শান্ত হয়ে আমাকে চলে যেতে বললো। বললো আমি স্নান করবো, এন্ড করছেও। ও অনেক সকালে উঠে স্নান করে কাল রাত্রে জ্বর ছিল , আজকে তাই একটু দেরি করে উঠেছে। কিন্তু তাতেও ফের স্নান করেছে।

রনো – কি? শুধু সাদা রং? কেন?

অদিতি – জানিনা।

রনো – তুই জানতে চাসনি?

অদিতি – কথাই বলেনা তো পার্সোনাল কথা বলবে।

রনো -কিন্তু আমাকে বলতেই হবে, কেন মেরেছে আর সরি।

অদিতি – আমার কথা শোন্ রনো – ও খুব ভালো মেয়ে, হঠাৎ করে এইসব হয়েছে ও সিরিয়াসলি না বুঝে মেরেছে। আমি তোর কাছে ক্ষমা চাইছি।

রাহুল – ও একটা সাইকো, ওর কিছু মেন্টাল প্রব্লেম আছে ছেড়ে দে রনো।

অদিতি – অনেকবার তোকে বলেছি রাহুল, ওকে সাইকো বলবি না। ও সাইকো নয়, কোনো একটা ঘটনা যেটা ওকে এমন করে দিয়েছে। ওকে ওর পাস্টটেই আটকে রেখেছে।

রনো –  কি ঘটনা?

অদিতি – জানি না।

রনো –  তুই জানতে চাসনি? বলেনি?

অদিতি – না, প্রথম প্রথম তো আমার সাথে কথাও বলতো না। দরকার ছাড়া এখনো তেমন বলে না।

রনো – তাহলে পাস্টটেই প্রব্লেম বুঝলি কি করে ? রাহুল ঠিকই বলেছে পুরো মেন্টাল। আর তাছাড়া যদি সেটাও হয় তবে সবার একটা করে পাস্ট থাকে, ছোট কিংবা বড়। তাতে কেউ এইরকম বিহেভ করে না , ওকে মেন্টাল হসপিটালে এনে ভর্তি করে দে কটা শক খেলে ঠিক হয়ে যাবে।

অদিতি –  ও মেন্টাল নয়, ওর সাথে থাকলে বুঝতিস।

রনো – আচ্ছা ও কি উইডো ? ওর হাসব্যান্ড মারা গেছে বা বয়ফ্রেন্ড? যে কারণে এমন।

অদিতি – জানি না। ওর কাছে শুনেছি ৬-৭ বছর এসেছে এখানে। এখন থেকেই মাস্টার্স করে একটা স্কুলে জব করছে। আর আগে যারা ছিল তারা বলেছিলো ও এসে থেকে এখনো অব্দি বাড়ি যায়নি। আমি এসেও বাড়ি যেতে দেখিনি। ইনফ্যাক্ট ওর বাড়ি থেকে শুধু ওর দাদাকে আসতে দেখেছি। তাছাড়া বিয়ে হয়েছিল এমন কিছু তো শুনিনি। তবে হতে পারে কিছু একটা ও নন ভেজও খায় না।

রনো – বাড়ি যায়না কেন?

অদিতি – হাউ ডু আই নো। বলছি কিছু বলে না। তবে আমি সিওর মিসেস মুখার্জী সব জানে , তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম এজ এ ডাক্তার কিন্তু সেও চুপ, বললো ওকে ওর মতো থাকতে দাও।ও মেন্টাল পেসেন্ট নয়। রনো বিষয়টাকে ছেড়ে দে না।

রাহুল – তুই এত কথা বলিস নি তো ?

অদিতি – তুই ওকে নিয়ে কোনো কথা শুনতে চেয়েছিস? ওর কথা বললেই তো বলিস ও সাইকো।

রনো – ভুল কিছু বলেনি। সাইকোই, আমি শুধু রং মাখিয়েছিলাম যেমন মুখটা করেছিল মনে হচ্ছিলো যেন এসিড মেরেছি।

অদিতি – ওকে তাই, সাইকো এবার ব্যাপারটা এখানেই স্টপ কর, এই রনো, তুই আমার ভালো বন্ধু, আমার হবু বরের ভালো বন্ধু আমার ভাই তুই, আমার বরের ভাই তুই।

রনো – চুপ কর, ছাড়। আর শোন্ আমি ওই বাড়িতে কিছুতে থাকবো না। ওকে দেখলে আমার মাথা আরো গরম হয়ে যাবে। আমি সাইকো হয়ে যাবো।

অদিতি  – অ্যাডভান্স দেওয়া হয়ে গেছে। আর এত তাড়াতাড়ি তুই অন্য ঘর কোথায় পাবি। প্লিজ রনো। এই মাটারটা এখানেই স্টপ কর।

রনো –  তবে আমি এই মাসটা থেকে পরের মাসে ওই বাড়ি ছেড়ে অন্য বাড়ি যাবো। রাহুল যা করবে ওর ইচ্ছা। আমি ওই সাইকো মেয়েটার সাথে একসঙ্গে থাকতে পারবো না ব্যাস।

অদিতি – ওকে তাই হবে আর তুই ওখান থাকলেও ওকে দেখতে পাবি না খুব একটা। বাড়ি থাকলে ও ঘর থেকে বের হয়না দরকার ছাড়া ও ঘরে খায়, খুব সকালে উঠে স্নান সেরে নিয়ে স্কুলে বের হয়ে যায়। সেই বিকালে আসে। তোর সাথে দেখা হবে কোনো সম্ভাবনা নেই।

রনো – আমার দেখা হওয়ার কোনো ইচ্ছাও নেই।

সেদিনের মতো মিটলো পর্ব। পরের দিন হসপিটালে রনোকে ডেকে অদিতি একটা চিঠি দিলো।

অদিতি – আজ নিজে থেকে এটা দিয়েছে আমাকে , বলছে ওর হয়ে ক্ষমা চেয়ে নিতে আর এই চিঠিটা দিয়েছে তোকে দিতে। শান্তি!  এবার সব রাগ ঝেড়ে ফেল।

রনো দেখলো – চিঠিটা অন্যরকম ভাবে ভাজ করা।

চিঠিতে লেখা

” কালকের ব্যবহারের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। ”

শ্রী

 

অদিতি –  তুই এর পরেও বলবি ও মেন্টাল, সাইকো।

রনো – এতে প্রমান হলো, ও শুধু মেন্টাল,সাইকো নয়, ফুল মেন্টাল, সাইকো। চিঠিটা পকেটে ঢুকিয়ে নিলো রনো।

অদিতি – আমার কিছু বলার নেই। আমি রাউন্ডে যাচ্ছি বলে চলে গেলো অদিতি।

কাল রাত্রে রনো অনেক ভেবেছে, খালি রং মাখা মুখটা মনে পড়েছে, কেন? অমন করছিলো? কি আছে রঙে ?কেন সাদা পরে থেকে? কেন ওর জীবনে কোনো রং নেই? জবাব নেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

————————————————————————————–

 

রনোরা শিফট করে গেছে মিসেস মুখার্জীর আউট হাউস এ। না শ্রীর সাথে তেমন দেখা হয়নি , অদিতি যেমন বলেছিলো তেমনটাই। বাড়িতে আছে কিনা সেটাই বোঝা যায় না। রনো দু চারবার বাড়ি থেকে বের হতে ঢুকতে আর দেখেছে।

আস্তে আস্তে দেখাসোনা বেড়েছে। একদিন রাস্তায় দেখেছে ওকে। রাস্তার দিকে তাকিয়ে আনমনে হাঁটছে। কোনো তাড়া নেই। তবে রাস্তার পাশের রাধা কৃষ্ণের মন্দিরের সামনে খুব তাড়াতাড়ি হাঁটে যেন ছুটে পার হতে চায়। কেন? প্রশ্ন এসেছে রনোর মনে।

রনোদের বাড়িতে রাধা কৃষ্ণের মন্দির আছে। নিত্যপূজা হয় সেখানে। রানোর দাদু রাধা কৃষ্ণের ভক্ত ছিল। রনোরা বাইরে থাকলেও দাদু যতদিন বেঁচে ছিল প্রত্যেকবার হোলির সময়ে বাড়ি যেত। রনো ওর দাদুকে খুব ভালোবাসতো। দাদু মারা যাবার পর অনেক দিন হোলিও খেলেনি। এখন আবার খেলে। এখানকার রাধা কৃষ্ণের মন্দিরটা একটু উপরে। রনো মাঝে মাঝেই যায় ওখানে। মন্দিরের রাস্তার পাশেই একটা চায়ের দোকান আছে বেশ ভালো চা বানায়। রনো হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে ওখানে চা খায়। সেদিন চা খাবে বলে দাঁড়িয়েছিল। দেখলো শ্রী আসছে।

শ্রী মন্দিরের সামনে আসতেই মন্দিরের ঘন্টা বেজে উঠলো। মন্দিরে প্রায়ই ঘন্টা বাজে, বাজবে সেটাই স্বাভাবিক তেমন কোনো উল্লেক্ষযোগ্য ব্যাপার নয়। কিন্তু ঘন্টার আওয়াজ শুনে সেদিন দাঁড়িয়ে পড়লো শ্রী। মন্দিরের দিকে তাকিয়ে দেখলো কিছুক্ষন। মুখে একটা রাগ, দুঃখ, কষ্ট সব বেরিয়ে আসছে। ফের হাতের মুঠো শক্ত করে তাড়াতাড়ি পার হয়ে গেলো। না রনোকে দেখে চেনে নি ও হেলমেট পড়েছিল। শ্রী আসছে দেখে হেলমেট খোলেনি রনো। ক্রমশ রহস্যময়ী মনে হচ্ছে শ্রীকে। কেন? কি ? শ্রীকে যত দেখছে রনো ততই তাকে জানার ইচ্ছা প্রবল হচ্ছে রনোর। মনে মনে ভেবেছে হুম দেখলেই বোঝা যায় কিছু একটা প্রব্লেম আছে। যতই অদিতি বলুক রাহুলই ঠিক ও সিরিয়াসলি মেন্টাল।অদিতির উচিত ছিল ওকে এর থেকে বের করা। করেনি, ঠিক আছে রনোই দেখবে ব্যাপারটা। কদিন নজরে রাখতে হবে।

আস্তে আস্তে শ্রী এর সাথে রনো জড়াচ্ছে। কিন্তু সে জানে কি? না জানে না। সে ডাক্তার তাই একটা অসুস্থ মানুষকে সুস্থ করতে চায় –  এটা ওর ধারণা। অদিতি এই পরিবর্তনটা লক্ষ্য করেছ। কিন্তু বলতে সাহস করেনি। কেননা যদি উল্টো বোঝে।

রনো ডাক্তারি পড়ার সময় একজনের সাথে জড়িয়েছিল। নাতাশা – সেও ডাক্তারি পড়তো রণদের সাথে। দুজনের বিয়েও ঠিক হয়েছিল বাড়ি থেকে। কিন্তু নাতাশার বরাবরের ইচ্ছা ছিল বাইরে সেটেল্ড করবে। রনোকে অনেকবার বলেছে, জোড় করেছে কিন্তু রনো বাবা মাকে ছেড়ে বাড়ির রাধা কৃষ্ণকে ছেড়ে বাইরে যাবে না কিছুতেই। তাই নাতাশা ডাক্তারি পাস করে এক এনআরআইকে বিয়ে করে আমেরিকা, লন্ডন, কোথাও একটা চলে যায়।   আর কারুর সাথে জড়াইনি, জড়াতে চায় ও নি। বন্ধুরা অনেকবার বলেছে ও না করেছে।

সেদিন তাড়াতাড়ি হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে পড়লো রনো। অদিতি, রাহুল তখন রয়েছে হসপিটালে। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে রাস্তার পাশে একটা বড় লেক আছে। বেশ বাঁধানো বসার জায়গাও আছে সেখানে। বাইরে থেকে দেখেছে কিন্তু যায়নি কোনোদিন। আজ একটু ফ্রেশ হতে ইচ্ছা করলো ওর। ভেতরে গেলো। বাইরে থেকে দেখে এতটা বোঝা যায়না যে ভেতরটা আরো সুন্দর। বেশ ভালো বাঁধানো বসার জায়গা। সাথেই বাঁধানো চেয়ার টেবিল। লোকে প্রেম করে, হাঁটে, রনো এমনিই কিছু কাজ ছিল না সেখানে গেছে একটু ফ্রেশ হতে। একটু এগিয়ে যেতেই দেখেছে লেকের ধারে বাঁধানো চেয়ারে বসে আছে শ্রী। কে আসছে কে যাচ্ছে কোনো দিকে খেয়াল নেই। লেকের জলের দিকে তাকিয়ে কি যেন খুঁজছে ও? কিছু না ভেবেই ওর কাছে গেছে রনো। শ্রীর পাশে বসেছেও। না শ্রী বোঝেনি, তার কোনো পরিবর্তন লক্ষ করা গেলো না।

রনো – এখানে কি রোজই আসা হয়?

না শ্রীর কানে যায়নি কথাটা। রনো শ্রীর চোখের সামনে হাত নাড়ালো। চমকে উঠলো শ্রী। রনো ফের বললো – এখানে কি রোজই আসা হয়?

রনো দেখলো শ্রী ওর মুখের দিকে তাকিয়ে কিছু একটা খুঁজছে? যেন কোনো চেনা মানুষকে ওর মুখের সাথে খুঁজছে।

রনো বললো – আমি রনো, আমি মিসেস মুখার্জীর আউট হাউসে রয়েছি ,রাহুলের সাথে। হ্যালো

শ্রী কোনো সাড়া দিলো না। টেবিলে রাখা নিজের ব্যাগটা নিয়ে উঠে চলে গেলো।

না আরো কসরত করতে হবে এত সহজে হবে না। একবার সমীরের সাথে কথা বলতে হবে। সমীর সাইক্রাইটিস পাশাপাশি রনোর ফ্রেন্ড।

————————————————————————————–

আগের পর্ব – রাই-কেশব – কলমে – অপরাজিতা = পর্ব ১

 

পরের পর্ব  – রাই-কেশব (লাভ স্টোরি ) কলমে – অপরাজিতা = পর্ব ৩

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!