এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রেলকে ইস্যু করে তৃনমূলকে টেক্কা বিজেপির! বাড়ছে পারদ!

রেলকে ইস্যু করে তৃনমূলকে টেক্কা বিজেপির! বাড়ছে পারদ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট: 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। যে নির্বাচনে তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করে রাজ্যের ক্ষমতা দখল প্রধান টার্গেট হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপোষন সহ একাধিক অভিযোগ তুলে ধরে বর্তমানে ময়দানে নেমে জোর প্রচার চালাচ্ছে গেরুয়া শিবির। তবে এবার উত্তরবঙ্গের অন্যতম রেল শহর মালদহে আগামী বিধানসভায় সাফল্য পেতে রেল পরিষেবাকেই প্রধান ইস্যু করতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

জানা গেছে, ইতিমধ্যেই রেল মন্ত্রকের উদ্যোগে মালদার ইংলিশবাজার সহ বেশ কিছু অঞ্চলে নতুন করে কাজ শুরু হয়েছে। রথবাড়ি মোড়ে আন্ডারপাস থেকে শুরু করে রেল পার্কের সংস্কার, রেল হাসপাতাল ঢেলে সাজানো সহ জনসাধারনের দাবি মেনে রাজধানী এক্সপ্রেসের রুটে মালদহকে যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ। আর মালদহ শহরকে উত্তরবঙ্গের অন্যতম রেল যোগাযোগের মাধ্যম বলে এতদিন গণ্য করা হলেও, এবার সেখানে আরও রেল পরিষেবা দিয়ে বিধানসভার আগে মানুষের মন পেতে চাইছে ভারতীয় জনতা পার্টি বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, 1982 সালে বরকত গনি খান চৌধুরী রেলমন্ত্রী হয়ে মালদহকে ভারতের মানচিত্রে উল্লেখযোগ্য স্থানে পৌঁছে দিয়েছিলেন। গৌড় এক্সপ্রেস ট্রেন সহ একাধিক নতুন ট্রেন চালু করে মালদহের মানচিত্রে শ্রেষ্ঠ জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তাতে ব্যাপক সাফল্যও পাওয়া গিয়েছিল। পরবর্তীতে গণিখান সাহেব প্রয়াত হলেও, প্রতিবছর রেল বাজেটের সময় মালদহের জন্য কোনো না কোনো ট্রেন থাকবে বলে আশা করা হয়। আর এবার সেই রেলকে হাতিয়ার করেই ময়দানে নেমে মালদহের সব কটি বিধানসভা কেন্দ্র নিজেদের দখলে আনতে চাইছে বিজেপি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এই গোটা ব্যাপারটি নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে সাংসদ খগেন মুর্মু কেন্দ্রের দ্বারস্থ হলেও তৃণমূল এবং বিজেপির তরজা চরমে উঠতে শুরু করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, “রেলমন্ত্রক দিয়ে আমরা মালদহবাসীর প্রত্যাশা অনেকটাই পূরণ করতে পারি। আমরা সেই পথেই হাঁটছি। নির্বাচনী প্রচারে আমরা নিঃসন্দেহে রেল পরিষেবা উন্নত করার বিভিন্ন দিক তুলে ধরব।” এদিকে এই ব্যাপারে বিজেপিকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভার সংসদ তথা জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর বলেন, “বিজেপি সরকার রেল পরিষেবার ক্ষেত্রে বাংলাকে বঞ্চিত করেছে। মালদহ টাউন স্টেশন সময়ের নিয়মে আধুনিক হয়েছে। কিন্তু জেলার অন্যান্য স্টেশনগুলো চরম অবহেলার শিকার। মালদহ থেকে একটি নতুন ট্রেনও চালু করতে পারেনি বিজেপি সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিশ্রুতি ছাড়া মালদহ সহ সারা রাজ্যকে কিছুই দেয়নি।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজ্যের কোন বিধানসভা অঞ্চলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রেল ইস্যু হতে চলেছে, তা এখনও পর্যন্ত নির্ধারণ করা না গেলেও, মালদহ জেলার প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রধান অস্ত্র যে রেল পরিষেবা হতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকার সময় রেল পরিষেবার উন্নতি হয়েছে বলে পাল্টা যুক্তি দেওয়া হবে বলেই মনে করছে একাংশ। সব মিলিয়ে আগামী বিধানসভায় মালদহে সাফল্য পেতে বিজেপির রেল ইস্যু কতটা সার্থকতা লাভ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!